ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

অবৈধ তারের রমরমা বাণিজ্য, ৪ বান্ডেলের ৩টিই নকল

  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন নামি-দামি ব্যান্ডের নকল তার তৈরির কাজ চলছিল। পরে এসব নকল তার নবাবপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হতো। এক বান্ডেল আসল বিআরবি ক্যাবল তৈরি করা হলে তিন বান্ডেল নকল বিআরবি ক্যাবল তৈরি করা হতো। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এর আগে সিআইডির অভিযানে তিনটি নকল তারের কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল তার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রো সিআইডি মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বংশাল থানার ১৯/২ নম্বর কাজী আবদুল হামিদ লেনের চান্দনা মার্কেটের চতুর্থ ও ষষ্ঠ তলায় তিনটি নকল তারের কারখানায় অভিযান চালায়।
অভিযানে তিনটি কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল বিআরবি ক্যাবল ও বিজলী ক্যাবল পাওয়া যায়। সেখান থেকে নকল তার সম্বলিত ববিন, বিআরবি নকল তার তৈরির ডাইস এবং নকল তার তৈরির মেশিন জব্দ করা হয়। এ সময় কারখানা থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মো. সোহেল রানা, মো. আবুল কালাম, মো. রাজিব মোল্লা, মো. জসিম উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম সুমন, মো. নাজির হোসেন, মো. শাহিন শেখ, মো. লিখন, আরিফ ও মো. হাবিবুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে ইমাম হোসেন বলেন, অভিযানে আটকরা এ ধরনের বৈদ্যুতিক তার তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অভিযানে তিনটি কারখানা থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার নকল তার জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, সম্প্রতি ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের ফলে মারাত্মক অগ্নিকা- ঘটে। এতে মানুষের জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের সিআইডি এসব আগুনের ঘটনার ছায়া তদন্ত করে। তদন্তে দেখা যায়, নকল ভেজাল ক্যাবল এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা পণ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগুনের অন্যতম কারণ। এসব কারখানায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত নকল তার তৈরি করা হতো। পরে সেগুলো নবাবপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হতো। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিআরবি এবং বিজলী নকল তার তৈরি করে আসছিল। এ ধরনের নকল তার ব্যবহারের ফলে শিল্প কলকারখানাসহ আবাসিক ভবনে মারাত্মক অগ্নিকা-ের ঝুঁকি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বংশাল থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জিসানুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধ তারের রমরমা বাণিজ্য, ৪ বান্ডেলের ৩টিই নকল

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন নামি-দামি ব্যান্ডের নকল তার তৈরির কাজ চলছিল। পরে এসব নকল তার নবাবপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হতো। এক বান্ডেল আসল বিআরবি ক্যাবল তৈরি করা হলে তিন বান্ডেল নকল বিআরবি ক্যাবল তৈরি করা হতো। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এর আগে সিআইডির অভিযানে তিনটি নকল তারের কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল তার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রো সিআইডি মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বংশাল থানার ১৯/২ নম্বর কাজী আবদুল হামিদ লেনের চান্দনা মার্কেটের চতুর্থ ও ষষ্ঠ তলায় তিনটি নকল তারের কারখানায় অভিযান চালায়।
অভিযানে তিনটি কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল বিআরবি ক্যাবল ও বিজলী ক্যাবল পাওয়া যায়। সেখান থেকে নকল তার সম্বলিত ববিন, বিআরবি নকল তার তৈরির ডাইস এবং নকল তার তৈরির মেশিন জব্দ করা হয়। এ সময় কারখানা থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মো. সোহেল রানা, মো. আবুল কালাম, মো. রাজিব মোল্লা, মো. জসিম উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম সুমন, মো. নাজির হোসেন, মো. শাহিন শেখ, মো. লিখন, আরিফ ও মো. হাবিবুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে ইমাম হোসেন বলেন, অভিযানে আটকরা এ ধরনের বৈদ্যুতিক তার তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অভিযানে তিনটি কারখানা থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার নকল তার জব্দ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, সম্প্রতি ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের ফলে মারাত্মক অগ্নিকা- ঘটে। এতে মানুষের জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের সিআইডি এসব আগুনের ঘটনার ছায়া তদন্ত করে। তদন্তে দেখা যায়, নকল ভেজাল ক্যাবল এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা পণ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগুনের অন্যতম কারণ। এসব কারখানায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত নকল তার তৈরি করা হতো। পরে সেগুলো নবাবপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হতো। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিআরবি এবং বিজলী নকল তার তৈরি করে আসছিল। এ ধরনের নকল তার ব্যবহারের ফলে শিল্প কলকারখানাসহ আবাসিক ভবনে মারাত্মক অগ্নিকা-ের ঝুঁকি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বংশাল থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জিসানুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।