ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

অবৈধ কোরবানির হাটে লাখ লাখ টাকা আয়

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ‘মোল্লার হাটে’ ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগল ওঠে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ হাটের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। এদিকে রশিদ ব্যবহার করে আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গতকাল শনিবার দুপুরে দক্ষিণ চর বংশির ইউনিয়নের মোল্লার হাটে গেলে চোখে পড়ে তিনটি পয়েন্টে গরু, একটিতে ছাগল এবং একটিতে মহিষ বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। এ জন্য মানুষের মাঝে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, মোল্লার হাট সপ্তাহে দুই দিন বসে। শনিবার ও মঙ্গলবার। এ হাটের পুরো নাম ‘বাহার আলী মোল্লার হাট’। কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে জেলার সবচেয়ে বড় প্রাণীর হাট বসে এখানে। সরকারিভাবে এখানে কোরবানির প্রাণীর হাটের অনুমতি নেই। তবুও প্রভাবশালী একটি চক্র অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা টোল আদায় করছে। এ হাটে জেলার বাইরে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার খামারি ও ব্যাপারীরা গরু নিয়ে আসেন। এ হাট থেকে ১-২ কিলোমিটার দূরত্বে মেঘনা নদী। এজন্য নৌপথে গরু আনা-নেওয়া খুব সহজ হয় খামারিদের। ২০১৪ সালের পর থেকে সরকার এই হাটের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত। জানা গেছে, সরকার বছরে প্রায় দুই থেকে তিন কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে এ হাট থেকে। আর স্থানীয় একটি গোষ্ঠী বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ হাট নিয়ন্ত্রণ করেন রশিদ মোল্লা তার ছেলে মনির হোসেন মোল্লা, দিদার মোল্লা, হারুন মোল্লাসহ একটি গোষ্ঠী। এ বিষয়ে মনির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘বাহার আলী ওয়াক্ফ এস্টেটের নামে এ বাজার। প্রাণীর হাট থেকে যে টোল আদায় করা হয় সেই টাকা মোল্লার হাট জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। দৃশ্যমান টোল আদায় হয় না। সামান্য কিছু টাকা ওঠে।’ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ‘যেসব স্থানে পশুর হাটের অনুমতি নেই, সেখানে কেউ অবৈধভাবে হাট বসালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ জানান, অবৈধ পশুর হাটের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তাৎক্ষণিক জেলা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে অর্ধশতাধিক স্থানে বসবে কোরবানির প্রাণীর হাট। জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ৫ জুন তার কার্যালয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি বিষয়ক সভায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধ কোরবানির হাটে লাখ লাখ টাকা আয়

আপডেট সময় : ১২:৫২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ‘মোল্লার হাটে’ ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগল ওঠে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ হাটের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। এদিকে রশিদ ব্যবহার করে আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গতকাল শনিবার দুপুরে দক্ষিণ চর বংশির ইউনিয়নের মোল্লার হাটে গেলে চোখে পড়ে তিনটি পয়েন্টে গরু, একটিতে ছাগল এবং একটিতে মহিষ বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। এ জন্য মানুষের মাঝে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, মোল্লার হাট সপ্তাহে দুই দিন বসে। শনিবার ও মঙ্গলবার। এ হাটের পুরো নাম ‘বাহার আলী মোল্লার হাট’। কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে জেলার সবচেয়ে বড় প্রাণীর হাট বসে এখানে। সরকারিভাবে এখানে কোরবানির প্রাণীর হাটের অনুমতি নেই। তবুও প্রভাবশালী একটি চক্র অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা টোল আদায় করছে। এ হাটে জেলার বাইরে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার খামারি ও ব্যাপারীরা গরু নিয়ে আসেন। এ হাট থেকে ১-২ কিলোমিটার দূরত্বে মেঘনা নদী। এজন্য নৌপথে গরু আনা-নেওয়া খুব সহজ হয় খামারিদের। ২০১৪ সালের পর থেকে সরকার এই হাটের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত। জানা গেছে, সরকার বছরে প্রায় দুই থেকে তিন কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে এ হাট থেকে। আর স্থানীয় একটি গোষ্ঠী বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ হাট নিয়ন্ত্রণ করেন রশিদ মোল্লা তার ছেলে মনির হোসেন মোল্লা, দিদার মোল্লা, হারুন মোল্লাসহ একটি গোষ্ঠী। এ বিষয়ে মনির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘বাহার আলী ওয়াক্ফ এস্টেটের নামে এ বাজার। প্রাণীর হাট থেকে যে টোল আদায় করা হয় সেই টাকা মোল্লার হাট জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। দৃশ্যমান টোল আদায় হয় না। সামান্য কিছু টাকা ওঠে।’ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ‘যেসব স্থানে পশুর হাটের অনুমতি নেই, সেখানে কেউ অবৈধভাবে হাট বসালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ জানান, অবৈধ পশুর হাটের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তাৎক্ষণিক জেলা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে অর্ধশতাধিক স্থানে বসবে কোরবানির প্রাণীর হাট। জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ৫ জুন তার কার্যালয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি বিষয়ক সভায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।