ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

অবৈধ ইটভাটা এবং কাঠ পোড়ানো বন্ধে হাই কোর্টের নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে অবৈধ ইটভাটা এবং ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধে সাত দিনের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকের প্রতি নির্দেশনা জারি করতে সরকারের তিন সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার এ বিষয়ক এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। দেশের সব জেলায় অবৈধ ইটভাটা এবং বিভিন্ন ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন ও ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, পরিচালকসহ ২১ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। শুনানি শেষে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা অবৈধ। আর ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু শীত মৌসুমকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ ইটভাটা চালু করা হয়েছে। আর বৈধ-অবৈধ সব ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ।
“এতে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তেমনি ভাটা মালিকদের মুনাফার লোভে উজাড় হচ্ছে গাছপালা, বন। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমনটা ঘটলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত রুলসহ অন্তর্র্বতী আদেশ দিয়েছে।”
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১৩ অক্টোবর রিট আবেদনটি করা হয়। বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর পক্ষে এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও সঞ্জয় ম-ল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধ ইটভাটা এবং কাঠ পোড়ানো বন্ধে হাই কোর্টের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০২:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে অবৈধ ইটভাটা এবং ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধে সাত দিনের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকের প্রতি নির্দেশনা জারি করতে সরকারের তিন সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার এ বিষয়ক এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। দেশের সব জেলায় অবৈধ ইটভাটা এবং বিভিন্ন ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন ও ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, পরিচালকসহ ২১ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। শুনানি শেষে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা অবৈধ। আর ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু শীত মৌসুমকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ ইটভাটা চালু করা হয়েছে। আর বৈধ-অবৈধ সব ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ।
“এতে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তেমনি ভাটা মালিকদের মুনাফার লোভে উজাড় হচ্ছে গাছপালা, বন। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমনটা ঘটলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত রুলসহ অন্তর্র্বতী আদেশ দিয়েছে।”
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১৩ অক্টোবর রিট আবেদনটি করা হয়। বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর পক্ষে এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও সঞ্জয় ম-ল।