নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধী তালিকাভুক্ত ২২ এক্টিভিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। কিন্তু এরপরও প্রচুর সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী পালিয়েছেন। তারা কীভাবে কোন সীমান্ত দিয়ে দেশ থেকে পালালেন তা জানে না বিজিবি। তবে বাহিনীটি বলছে, এর দায় শুধু বিজিবির কেন? আর অবশ্যই তদন্ত হবে, তদন্ত হচ্ছে। কোন বিওপি’র আওতাভুক্ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা পালিয়েছেন তা তদন্ত করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মহাপরিচালক(ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে পালানোর ঘটনায় বিজিবির দায় আছে। তো শুধু কি বিজিবিই দায়বদ্ধ? কোন সীমান্ত দিয়ে কে গেলেন তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’ ৬ আগস্ট থেকে যে স্ক্রল দেখেছেন যে, সীমান্ত পথে পালানো রোধে বিজিবিকে সহায়তা করুন, এই কাজ৷ নির্দেশনা কেউ বিজিবিকে দেয়নি। নিজ উদ্যোগে করেছি। তখন থেকে আমরা চেষ্টা করছি। তথ্য দেওয়ার যে সব সংস্থা আছে তারাও যদি তথ্য দেন তাহলে কাজটা সহজ হয়। সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার মনে হয় না। জনবহুল এই দেশে কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন। মাদক ব্যবসায়ী বদিকে ধরার জন্য বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। শোনা গেলো তিনি ট্রলারে করে মিয়ানমার গেছেন। কিন্তু গ্রেফতার হলেন সীতাকুণ্ড থেকে। এরকম একদিকে যাবার আওয়াজ দিয়ে অন্য দিক থেকে পালানোর চেষ্টা করছে অনেকে। তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের কাছেও তথ্য থাকে। বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নিবো। আমরা পালানো রোধে বদ্ধপরিকর।
যেভাবে কৌশলে আন্দোলনের পক্ষে কাজ করেছে, জানালো বিজিবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ ঠেকাতে সরকার বিজিবিকে দায়িত্ব দিয়েছিল, কিন্তু তা না করে ছাত্র-জনতার পক্ষে বিজিবি কৌশলগতভাবে কাজ করেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিজিবি সদর দফতরে কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে ইচ্ছে করেই ঝুঁকি কমাতে বিজিবি ভারী গোলা মোতায়েন করেনি। বিজিবিকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু সেটি করিনি আমরা। সরকারি আদেশ মান্য করার পাশাপাশি অভ্যুত্থানে বিজিবি ছাত্রদের সহায়তা করেছে।’ তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ ঠেকাতে বিজিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অনেক বড় বড় জায়গা থেকে রিকোয়েস্ট করা হয়েছিল। অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে কৌশলগতভাবে কাজ করেছে বিজিবি। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। সাবোটাজ হতে পারে।
অবৈধভাবে কীভাবে পালালেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানে না বিজিবি, হচ্ছে তদন্ত
জনপ্রিয় সংবাদ