ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

অবিবাহিতদের বিষণ্নতার ঝুঁকি প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি

  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যারা এখনও বিয়ে করেননি, বিবাহিত ব্যক্তিদের তুলনায় তাদের বিষণ্নতার মতো অভিজ্ঞতায় পড়ার ঝুঁকি প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি, এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। গবেষণা অনুসারে, পুরুষ ও যারা তুলনামূলক বেশি পড়াশোনা করেছেন, এমন অবিবাহিত ব্যক্তিদের ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতায় পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা এ অবস্থার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, এ গবেষণার ফলাফল এমন লোকজন শনাক্ত করতে সহায়ক হতে পারে। এ গবেষণার লেখক বলেছেন, বিবাহিত ব্যক্তিদের ডিপ্রেশনের মাত্রা কম হওয়ার সম্ভাব্য কারণ, যুগল বা দম্পতিরা সামাজিকভাবে একে অপরকে সাহায্য করতে পারে, তাদের আর্থিক উৎসও তুলনামূলক ভালো ও একে অপরের সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে থাকা ইতিবাচক সম্পর্ক। এ গবেষণায় সাতটি দেশের এক লাখের বেশি মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা, যার মধ্যে প্রায় সাত হাজার জন ছিলেন যুক্তরাজ্য থেকে।
২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যে পরিচালিত ‘অ্যাডাল্ট সাইকিয়াট্রিক মরবিডিটি সার্ভে (এপিএমএস)’ নামের জরিপ অনুসারে, দেশটির প্রায় ২২২ জন ব্যক্তির এমন বিষণ্নতার লক্ষণ ছিল। এর মধ্যে ৭৩জন ছিলেন বিবাহিত, ৬২জন অবিবাহিত, ৫৫জন তালাকপ্রাপ্ত বা আলাদা হয়ে যাওয়া এবং ৩২জন বিধবা বা বিপত্নীক। “বিভিন্ন দেশে পরিচালিত আমাদের এ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, অবিবাহিত ব্যক্তিরা সম্ভবত ডিপ্রেশনের বড় ঝুঁকিতে থাকেন। এ ঝুঁকি নিরসনের যে কোনো প্রচেষ্টাকে ওই ব্যক্তির সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মাদক ব্যবহারের ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া উচিৎ,” বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার হিউম্যান বিহেইভিয়র’-এ লেখেন চীনের ‘ম্যাকাও পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি’র সহকারী অধ্যাপক কেফেং লি ও তার সহকর্মীরা। ডিভোর্সপ্রাপ্ত বা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া মানুষের মধ্যে বিষণ্নতার ঝুঁকি ৯৯ শতাংশ বেশি থাকে বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।
এ গবেষণা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মানুষের চার থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত আগের তথ্য খতিয়ে দেখেছে, তাতে বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিতদের ডিপ্রেশনে পড়ার লক্ষণ ৭৯ শতাংশ বেশি ছিল। এ গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যাদের ডিভোর্স হয়েছে বা সম্পর্ক ভেঙে গেছে, তাদের মধ্যে ডিপ্রেশনের লক্ষণ দেখানোর ঝুঁকি ৯৯ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, বিবাহিতদের তুলনায় বিধবা বা বিপত্নীক ব্যক্তিদের বিষণ্নতায় পড়ার ঝুঁকি ৬৪ শতাংশ বেশি। গবেষণা অনুসারে, প্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় পশ্চিমা দেশগুলোয় অবিবাহিত লোকজন ডিপ্রেশনের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিএইচও’র তথ্য অনুসারে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২৮ কোটি মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছেন, যা গোটা বিশ্বের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় পাঁচ শতাংশ। গবেষকরা আরও উল্লেখ করেন, এ তথ্য সংগৃহীত হয়েছে স্বেচ্ছায় দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ডিপ্রেশনের ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিস থেকে নয়। আর এই গবেষণায় অংশ নেওয়া সকল দম্পতিই বিপরীতকামী বা ‘হেটেরোসেক্সুয়াল’।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবিবাহিতদের বিষণ্নতার ঝুঁকি প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : যারা এখনও বিয়ে করেননি, বিবাহিত ব্যক্তিদের তুলনায় তাদের বিষণ্নতার মতো অভিজ্ঞতায় পড়ার ঝুঁকি প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি, এমনই উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। গবেষণা অনুসারে, পুরুষ ও যারা তুলনামূলক বেশি পড়াশোনা করেছেন, এমন অবিবাহিত ব্যক্তিদের ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতায় পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যারা এ অবস্থার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, এ গবেষণার ফলাফল এমন লোকজন শনাক্ত করতে সহায়ক হতে পারে। এ গবেষণার লেখক বলেছেন, বিবাহিত ব্যক্তিদের ডিপ্রেশনের মাত্রা কম হওয়ার সম্ভাব্য কারণ, যুগল বা দম্পতিরা সামাজিকভাবে একে অপরকে সাহায্য করতে পারে, তাদের আর্থিক উৎসও তুলনামূলক ভালো ও একে অপরের সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে থাকা ইতিবাচক সম্পর্ক। এ গবেষণায় সাতটি দেশের এক লাখের বেশি মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা, যার মধ্যে প্রায় সাত হাজার জন ছিলেন যুক্তরাজ্য থেকে।
২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যে পরিচালিত ‘অ্যাডাল্ট সাইকিয়াট্রিক মরবিডিটি সার্ভে (এপিএমএস)’ নামের জরিপ অনুসারে, দেশটির প্রায় ২২২ জন ব্যক্তির এমন বিষণ্নতার লক্ষণ ছিল। এর মধ্যে ৭৩জন ছিলেন বিবাহিত, ৬২জন অবিবাহিত, ৫৫জন তালাকপ্রাপ্ত বা আলাদা হয়ে যাওয়া এবং ৩২জন বিধবা বা বিপত্নীক। “বিভিন্ন দেশে পরিচালিত আমাদের এ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, অবিবাহিত ব্যক্তিরা সম্ভবত ডিপ্রেশনের বড় ঝুঁকিতে থাকেন। এ ঝুঁকি নিরসনের যে কোনো প্রচেষ্টাকে ওই ব্যক্তির সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মাদক ব্যবহারের ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া উচিৎ,” বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার হিউম্যান বিহেইভিয়র’-এ লেখেন চীনের ‘ম্যাকাও পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি’র সহকারী অধ্যাপক কেফেং লি ও তার সহকর্মীরা। ডিভোর্সপ্রাপ্ত বা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া মানুষের মধ্যে বিষণ্নতার ঝুঁকি ৯৯ শতাংশ বেশি থাকে বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।
এ গবেষণা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মানুষের চার থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত আগের তথ্য খতিয়ে দেখেছে, তাতে বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিতদের ডিপ্রেশনে পড়ার লক্ষণ ৭৯ শতাংশ বেশি ছিল। এ গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যাদের ডিভোর্স হয়েছে বা সম্পর্ক ভেঙে গেছে, তাদের মধ্যে ডিপ্রেশনের লক্ষণ দেখানোর ঝুঁকি ৯৯ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, বিবাহিতদের তুলনায় বিধবা বা বিপত্নীক ব্যক্তিদের বিষণ্নতায় পড়ার ঝুঁকি ৬৪ শতাংশ বেশি। গবেষণা অনুসারে, প্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় পশ্চিমা দেশগুলোয় অবিবাহিত লোকজন ডিপ্রেশনের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিএইচও’র তথ্য অনুসারে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২৮ কোটি মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছেন, যা গোটা বিশ্বের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় পাঁচ শতাংশ। গবেষকরা আরও উল্লেখ করেন, এ তথ্য সংগৃহীত হয়েছে স্বেচ্ছায় দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ডিপ্রেশনের ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিস থেকে নয়। আর এই গবেষণায় অংশ নেওয়া সকল দম্পতিই বিপরীতকামী বা ‘হেটেরোসেক্সুয়াল’।