ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

অবাস্তব দাবি নিয়ে সংলাপের কোনও প্রয়োজন দেখি না: আইনমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের কোনও আবশ্যকতা নেই উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘নির্বাচনই সমাধান। নির্বাচন হবে, সেটাই সমাধান। আমার মনে হয় না অবাস্তব কোনও দাবি নিয়ে সংলাপের কোনও প্রয়োজন আছে। পরিষ্কার বলে দিচ্ছি—প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোনও সংলাপ হবে না।’
গতকাল রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সংলাপ না হলে সমাধান কীভাবে হবে’—সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী। আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খর্ব করা হয় কখন? যখন ক্ষমতা থাকে, তা নিয়ে নেওয়া হয়। ব্যাপারটা হচ্ছে ১৯৭২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী আর্টিকেল ৯১-এ নির্বাচন কমিশনকে কোনও গ-গোলের কারণে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেখানে কিন্তু কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। এখানে কোনও (ক্ষমতা) কমানো হয়নি, কোনও দাঁড়ি-কমাও সরানো হয়নি। সেই ক্ষমতা যেমন আছে, ঠিক তেমনই আছে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যখন আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব দেয়, তখন নতুন একটা সাব আর্টিকেল ৯১-এ ‘এ’ সন্নিবেশিত করা হয়। নির্বাচনে পোলিং একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোনও পোলিং সেন্টারে কোনোরকম গ-গোল বা সহিংসতা যদি হয়, তাহলে তারা সেই নির্বাচনি এলাকার সম্পূর্ণ নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলবো—আমার এলাকায় ১১৪টা পোলিং সেন্টার। এখন এরমধ্যে ১৪টি সেন্টারে যদি গ-গোল হয়, আর একশ’টিতে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে পুরো আসনের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া কি গণতান্ত্রিক হবে? সেটা গণতান্ত্রিক হবে না। সেটা জনগণের ভোটাধিকার ব্যাহত হবে। যেসব পোলিং সেন্টারে গ-গোল হবে সেটা বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। আরপিও সংশোধনের ফলে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা দুই মাসের মধ্যে শেষ করে রায় দিতে বিচারক ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছে সরকার। বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নাই। তার উদাহরণ অনেক আছে।’ তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত কোনও পত্র যদি তারা দেখাতে পারেন তাহলে তা নিয়ে তাদের সঙ্গে বাহাস হবে। আমার মনে হয় অন্য কোনে ইস্যু না খুঁজে পেয়ে মিথ্যা ইস্যু বানানোর জন্য ওনারা সচেষ্ট আছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এমন কোনও চিঠি বা মৌখিক আদেশও দেওয়া হয়নি।’ এর আগে বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবাস্তব দাবি নিয়ে সংলাপের কোনও প্রয়োজন দেখি না: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের কোনও আবশ্যকতা নেই উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘নির্বাচনই সমাধান। নির্বাচন হবে, সেটাই সমাধান। আমার মনে হয় না অবাস্তব কোনও দাবি নিয়ে সংলাপের কোনও প্রয়োজন আছে। পরিষ্কার বলে দিচ্ছি—প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোনও সংলাপ হবে না।’
গতকাল রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সংলাপ না হলে সমাধান কীভাবে হবে’—সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী। আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খর্ব করা হয় কখন? যখন ক্ষমতা থাকে, তা নিয়ে নেওয়া হয়। ব্যাপারটা হচ্ছে ১৯৭২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী আর্টিকেল ৯১-এ নির্বাচন কমিশনকে কোনও গ-গোলের কারণে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেখানে কিন্তু কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। এখানে কোনও (ক্ষমতা) কমানো হয়নি, কোনও দাঁড়ি-কমাও সরানো হয়নি। সেই ক্ষমতা যেমন আছে, ঠিক তেমনই আছে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যখন আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব দেয়, তখন নতুন একটা সাব আর্টিকেল ৯১-এ ‘এ’ সন্নিবেশিত করা হয়। নির্বাচনে পোলিং একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোনও পোলিং সেন্টারে কোনোরকম গ-গোল বা সহিংসতা যদি হয়, তাহলে তারা সেই নির্বাচনি এলাকার সম্পূর্ণ নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলবো—আমার এলাকায় ১১৪টা পোলিং সেন্টার। এখন এরমধ্যে ১৪টি সেন্টারে যদি গ-গোল হয়, আর একশ’টিতে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে পুরো আসনের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া কি গণতান্ত্রিক হবে? সেটা গণতান্ত্রিক হবে না। সেটা জনগণের ভোটাধিকার ব্যাহত হবে। যেসব পোলিং সেন্টারে গ-গোল হবে সেটা বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। আরপিও সংশোধনের ফলে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা দুই মাসের মধ্যে শেষ করে রায় দিতে বিচারক ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছে সরকার। বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নাই। তার উদাহরণ অনেক আছে।’ তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত কোনও পত্র যদি তারা দেখাতে পারেন তাহলে তা নিয়ে তাদের সঙ্গে বাহাস হবে। আমার মনে হয় অন্য কোনে ইস্যু না খুঁজে পেয়ে মিথ্যা ইস্যু বানানোর জন্য ওনারা সচেষ্ট আছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এমন কোনও চিঠি বা মৌখিক আদেশও দেওয়া হয়নি।’ এর আগে বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।