ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

অবসরে আইপিএল নিলামের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মরিস

  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা হয় না আড়াই বছর ধরে। তবে ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ক্যারিয়ার ছিল সচল। এবার সব কিছুর ইতি টেনে দিলেন ক্রিস মরিস। সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মঙ্গলবার অবসরের ঘোষণা দেন ৩৪ বছর বয়সী মরিস। কোচিং ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া দল টাইটান্সের হয়ে কাজ করবেন। ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সবশেষ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন মরিস। ওই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৯ ম্যাচ খেলে তার মোট উইকেট ৯৪টি। পেস বোলিংয়ের সঙ্গে লোয়ার-অর্ডারে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে দ্রুত রান এনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল মরিসের। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে বেশ চাহিদাও ছিল তার। আইপিএল ইতিহাসে তো তার পারিশ্রমিক রেকর্ডগড়া। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের গত আসরের নিলামে ৭৫ লাখ রুপি ভিত্তি মূল্যের মরিসকে ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে দলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটার এবং সব আসর মিলিয়ে নিলামে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড গড়েন তিনি। ২০০৯ সালে ২২ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ার শুরু করেন মরিস। প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেন এর দুই বছর পর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মরিস পা রাখেন টি-টোয়েন্টি দিয়ে, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। পরের বছর হয়ে যায় ওয়ানডে অভিষেকও। তবে টেস্টের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হয় তাকে।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া মরিসের টেস্ট ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয় কেবল দেড় বছর। এই সময়ে ৪ ম্যাচ খেলে উইকেট নেন ১২টি, এক ফিফটিতে রান করেন ১৭৩। ওয়ানডে খেলেন ৪২টি, যেখানে ৩৬.৫৮ গড়ে উইকেট তার ৪৮টি। এক ফিফটিতে রান ৪৬৭। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচে ২০.৫০ গড়ে উইকেট নেন ৩৪টি, রান করেন ১৩৩, ফিফটি একটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মরিসের সেঞ্চুরিও আছে। ৬০ ম্যাচ খেলে ৪ সেঞ্চুরি ও ১১ ফিফটিতে তার রান ২ হাজার ৫৭১, উইকেট ১৯৬টি। ১২ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে সবশেষ ম্যাচ তিনি খেলেন এই সংস্করণেই, গত নভেম্বরে টাইটন্সের হয়ে বোল্যান্ডের বিপক্ষে। লিস্ট ‘এ’ তে ১০৫ ম্যাচ খেলে উইকেট নেন ১২৬টি, রান ৪ ফিফটিতে ১ হাজার ৩৫৯। টি-টোয়েন্টিতে বেশি সফল ছিলেন মরিস। এই সংস্করণে মোট ২৩৪ ম্যাচে ২২.২১ গড়ে তার উইকেট ২৯০টি। ১৫০.০৪ স্ট্রাইক রেট ও তিন ফিফটিতে রান ১ হাজার ৮৬৮। আইপিএলে রাজস্থান ছাড়াও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন তিনি। সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়র্টস, বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারের হয়েও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। ইংল্যান্ডে সারে ও হ্যামশায়ারের হয়ে খেলেছেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

অবসরে আইপিএল নিলামের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মরিস

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা হয় না আড়াই বছর ধরে। তবে ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ক্যারিয়ার ছিল সচল। এবার সব কিছুর ইতি টেনে দিলেন ক্রিস মরিস। সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মঙ্গলবার অবসরের ঘোষণা দেন ৩৪ বছর বয়সী মরিস। কোচিং ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া দল টাইটান্সের হয়ে কাজ করবেন। ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সবশেষ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন মরিস। ওই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৯ ম্যাচ খেলে তার মোট উইকেট ৯৪টি। পেস বোলিংয়ের সঙ্গে লোয়ার-অর্ডারে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে দ্রুত রান এনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল মরিসের। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে বেশ চাহিদাও ছিল তার। আইপিএল ইতিহাসে তো তার পারিশ্রমিক রেকর্ডগড়া। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের গত আসরের নিলামে ৭৫ লাখ রুপি ভিত্তি মূল্যের মরিসকে ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে দলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটার এবং সব আসর মিলিয়ে নিলামে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড গড়েন তিনি। ২০০৯ সালে ২২ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ার শুরু করেন মরিস। প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেন এর দুই বছর পর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মরিস পা রাখেন টি-টোয়েন্টি দিয়ে, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। পরের বছর হয়ে যায় ওয়ানডে অভিষেকও। তবে টেস্টের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হয় তাকে।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া মরিসের টেস্ট ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয় কেবল দেড় বছর। এই সময়ে ৪ ম্যাচ খেলে উইকেট নেন ১২টি, এক ফিফটিতে রান করেন ১৭৩। ওয়ানডে খেলেন ৪২টি, যেখানে ৩৬.৫৮ গড়ে উইকেট তার ৪৮টি। এক ফিফটিতে রান ৪৬৭। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচে ২০.৫০ গড়ে উইকেট নেন ৩৪টি, রান করেন ১৩৩, ফিফটি একটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মরিসের সেঞ্চুরিও আছে। ৬০ ম্যাচ খেলে ৪ সেঞ্চুরি ও ১১ ফিফটিতে তার রান ২ হাজার ৫৭১, উইকেট ১৯৬টি। ১২ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে সবশেষ ম্যাচ তিনি খেলেন এই সংস্করণেই, গত নভেম্বরে টাইটন্সের হয়ে বোল্যান্ডের বিপক্ষে। লিস্ট ‘এ’ তে ১০৫ ম্যাচ খেলে উইকেট নেন ১২৬টি, রান ৪ ফিফটিতে ১ হাজার ৩৫৯। টি-টোয়েন্টিতে বেশি সফল ছিলেন মরিস। এই সংস্করণে মোট ২৩৪ ম্যাচে ২২.২১ গড়ে তার উইকেট ২৯০টি। ১৫০.০৪ স্ট্রাইক রেট ও তিন ফিফটিতে রান ১ হাজার ৮৬৮। আইপিএলে রাজস্থান ছাড়াও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন তিনি। সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়র্টস, বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডারের হয়েও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। ইংল্যান্ডে সারে ও হ্যামশায়ারের হয়ে খেলেছেন তিনি।