ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

অবশেষে পাঠ্যবই সরবরাহ সম্পন্ন, স্কুল খুললেই পাবে শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট সময় : ০৭:২২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রায় তিন মাস পর অবশেষে সব পাঠ্যবই বিতরণ শেষ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ঈদের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি সব বইয়ের ছাড়পত্র (পিডিআই) দিয়েছে। ছুটির মধ্যেও উপজেলাপর্যায়ে বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো স্কুলেও পৌঁছে গেছে।

কোথাও কোথাও ছুটিতেও শিক্ষার্থীদের ডেকে বই বিতরণ করা হয়েছে। আবার কোথাও ছুটি শেষে বই বিতরণ করছে স্কুলগুলো। তবে সব বই স্কুলপর্যায়ে অথবা উপজেলায় পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেছে এনসিটিবি।

এনসিটিবির কর্মকর্তার জানান, গত ২৪ মার্চ সব বই ছাড় করা শেষ হয়। ঈদের ছুটির মধ্যেও ছাপাখানাগুলো উপজেলা পর্যায়ে বই পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে। কোথাও বই না পৌঁছানোর ব্যাপারে তাদের কাছে অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই আগেই বিতরণ শেষ হয়েছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কিছু বই বাকি ছিল। সেগুলো মার্চের ২০ তারিখের মধ্যে ছাড় করা হয়েছে।

অন্যদিকে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই সবার আগে বিতরণ শেষ করে এনসিটিবি। এরপর ষষ্ঠ-সপ্তমের বই অগ্রাধিকার দিয়ে সরবরাহ করা হয়। অষ্টম-নবমের বই নিয়ে সংকট ছিল। সেটাও মার্চের শেষ সপ্তাহে সব উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মাদরাসার ইবতেদায়ি ও দাখিলের বইও সরবরাহ শেষ। আজ মাদরাসা খোলার পর তা বিতরণ করা হয়ে যাবে। তবে কোথাও কোথাও কারিগরি স্তরের নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সব বই পেতে অসুবিধায় পড়েছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ৩৯ কোটির বেশি বই ছাপানো হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিকে ইবতেদায়িসহ মোট বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ৬৯২টি। আর প্রাথমিকে মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।

প্রতিবার বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয় সরকার। শুরুতে সব বই না দেওয়া গেলেও জানুয়ারির মধ্যেই অধিকাংশ সময় তা শেষ হয়। এবার শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু কারণে বই পেতে প্রায় তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকার।

এনসিটিবির চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে রয়েছেন শিক্ষাক্রম ইউনিটের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি বলেন, পাঠ্যবই সবই সরবরাহ শেষ। হয়তো কোথাও কোথাও স্কুলে ছুটি চলায় শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। চলতি সপ্তাহে সবাই বই হাতে পেয়ে যাবে বলে আশা করছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গণভোটে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব অন্তুর্ভুক্ত করার দাবি জামায়াতের

অবশেষে পাঠ্যবই সরবরাহ সম্পন্ন, স্কুল খুললেই পাবে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৭:২২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রায় তিন মাস পর অবশেষে সব পাঠ্যবই বিতরণ শেষ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ঈদের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি সব বইয়ের ছাড়পত্র (পিডিআই) দিয়েছে। ছুটির মধ্যেও উপজেলাপর্যায়ে বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো স্কুলেও পৌঁছে গেছে।

কোথাও কোথাও ছুটিতেও শিক্ষার্থীদের ডেকে বই বিতরণ করা হয়েছে। আবার কোথাও ছুটি শেষে বই বিতরণ করছে স্কুলগুলো। তবে সব বই স্কুলপর্যায়ে অথবা উপজেলায় পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেছে এনসিটিবি।

এনসিটিবির কর্মকর্তার জানান, গত ২৪ মার্চ সব বই ছাড় করা শেষ হয়। ঈদের ছুটির মধ্যেও ছাপাখানাগুলো উপজেলা পর্যায়ে বই পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে। কোথাও বই না পৌঁছানোর ব্যাপারে তাদের কাছে অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব বই আগেই বিতরণ শেষ হয়েছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কিছু বই বাকি ছিল। সেগুলো মার্চের ২০ তারিখের মধ্যে ছাড় করা হয়েছে।

অন্যদিকে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই সবার আগে বিতরণ শেষ করে এনসিটিবি। এরপর ষষ্ঠ-সপ্তমের বই অগ্রাধিকার দিয়ে সরবরাহ করা হয়। অষ্টম-নবমের বই নিয়ে সংকট ছিল। সেটাও মার্চের শেষ সপ্তাহে সব উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মাদরাসার ইবতেদায়ি ও দাখিলের বইও সরবরাহ শেষ। আজ মাদরাসা খোলার পর তা বিতরণ করা হয়ে যাবে। তবে কোথাও কোথাও কারিগরি স্তরের নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সব বই পেতে অসুবিধায় পড়েছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ৩৯ কোটির বেশি বই ছাপানো হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিকে ইবতেদায়িসহ মোট বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ৬৯২টি। আর প্রাথমিকে মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।

প্রতিবার বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেয় সরকার। শুরুতে সব বই না দেওয়া গেলেও জানুয়ারির মধ্যেই অধিকাংশ সময় তা শেষ হয়। এবার শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু কারণে বই পেতে প্রায় তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকার।

এনসিটিবির চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে রয়েছেন শিক্ষাক্রম ইউনিটের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি বলেন, পাঠ্যবই সবই সরবরাহ শেষ। হয়তো কোথাও কোথাও স্কুলে ছুটি চলায় শিক্ষার্থীরা বই পায়নি। চলতি সপ্তাহে সবাই বই হাতে পেয়ে যাবে বলে আশা করছি।