ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

অবমূল্যায়নের শিকার হয়েছেন শ্রীদেবী ও মাধুরী

  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। লেখা দিয়ে তিনি মন জয় করেছেন সিনেমা ও গানে। সমাজের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যও সুনাম রয়েছে তার। সম্প্রতি তার মেয়ে চিত্রনাট্যকার জোয়া আখতারের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় শোবিজ ওয়ার্ল্ডের কিছু না বলা গল্প শেয়ার করেছেন তিনি। বর্তমানে একজন তারকা হতে কী লাগে সে বিষয়েও আলোচনা করেছেন কিংবদন্তি লেখক জাভেদ আখতার। তাছাড়া স্টারডম সমাজের উপর কী ভূমিকা পালন করে, তার উপরও নিজের মতামত দিয়েছেন। জাভেদ আখতার অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয় ‘অ্যাংরি ইয়াং মেন’ এই ভাবমূর্তির পতনের কথাও উল্লেখ করেছেন। অমিতাভের ছবিগুলোতে দেখানো হত রাগ, গভীর আঘাত থেকে তার এই লুক আসতে আসতে তৈরি হচ্ছে। তখন তার ছবি সাদারণ খেটে খাওয়া মানুষের যাপনের কথা বলত। কিন্তু পরে সময় যত বদলাতে থাকে তত চরিত্রগুলো গভীরতা হারিয়ে যায় শুধুমাত্র রাগই চরিত্রের কেন্দ্রে চলে আসে। ফলে চরিত্রটি শেষ পর্যন্ত বিবর্ণ হয়ে যেতে শুরু করে। জাভেদ আখতার আরও জানান যে, সিনেমায় সামাজিক প্রতিফলন শুধুমাত্র পুরুষ সুপারস্টারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, জাভেদ আখতার জানিয়েছিলেন কীভাবে শ্রীদেবী এবং মাধুরী দীক্ষিতের মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের এমন একটি সমাজিক অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল যেখানে তাদের মেধার বিকাশ ঘটানো হয়নি। তিনি তাদের মীনা কুমারী, নার্গিস এবং ওয়াহিদা রহমানের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে তুলনা করেন। জাভেদ আখতার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শ্রীদেবী এবং মাধুরী সমানভাবে প্রতিভাবান হলেও তারা একইভাবে সেই জায়গা করে নিতে পারেননি। কারণ সেই সময়ে নারীকেন্দ্রীক গল্প বলা হতো না। এই অভিনেত্রীদের আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হতো না। বলা ভালো নারী চরিত্রের প্রতি আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হতো না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, এখনও ভারতীয় সিনেমা আধুনিক নারীর সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছে। তাই সমসাময়িক নারীদের ছবি তুলে ধরার জন্য তিনি তার মেয়ে জোয়া আখতারের চলচ্চিত্রের প্রশংসা করেছেন। জোয়া অনেক সংকটের মাঝেও নারীদের তুলে ধরতে কাজ করেন। তার এই সাক্ষাৎকার বেশ আলোচনায় এসেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মা মাটি মোহনা, বিদেশিদের দেব না-স্লোগানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোর্ডমার্চ শুরু

অবমূল্যায়নের শিকার হয়েছেন শ্রীদেবী ও মাধুরী

আপডেট সময় : ১১:৪৯:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। লেখা দিয়ে তিনি মন জয় করেছেন সিনেমা ও গানে। সমাজের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যও সুনাম রয়েছে তার। সম্প্রতি তার মেয়ে চিত্রনাট্যকার জোয়া আখতারের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় শোবিজ ওয়ার্ল্ডের কিছু না বলা গল্প শেয়ার করেছেন তিনি। বর্তমানে একজন তারকা হতে কী লাগে সে বিষয়েও আলোচনা করেছেন কিংবদন্তি লেখক জাভেদ আখতার। তাছাড়া স্টারডম সমাজের উপর কী ভূমিকা পালন করে, তার উপরও নিজের মতামত দিয়েছেন। জাভেদ আখতার অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয় ‘অ্যাংরি ইয়াং মেন’ এই ভাবমূর্তির পতনের কথাও উল্লেখ করেছেন। অমিতাভের ছবিগুলোতে দেখানো হত রাগ, গভীর আঘাত থেকে তার এই লুক আসতে আসতে তৈরি হচ্ছে। তখন তার ছবি সাদারণ খেটে খাওয়া মানুষের যাপনের কথা বলত। কিন্তু পরে সময় যত বদলাতে থাকে তত চরিত্রগুলো গভীরতা হারিয়ে যায় শুধুমাত্র রাগই চরিত্রের কেন্দ্রে চলে আসে। ফলে চরিত্রটি শেষ পর্যন্ত বিবর্ণ হয়ে যেতে শুরু করে। জাভেদ আখতার আরও জানান যে, সিনেমায় সামাজিক প্রতিফলন শুধুমাত্র পুরুষ সুপারস্টারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, জাভেদ আখতার জানিয়েছিলেন কীভাবে শ্রীদেবী এবং মাধুরী দীক্ষিতের মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের এমন একটি সমাজিক অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল যেখানে তাদের মেধার বিকাশ ঘটানো হয়নি। তিনি তাদের মীনা কুমারী, নার্গিস এবং ওয়াহিদা রহমানের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে তুলনা করেন। জাভেদ আখতার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শ্রীদেবী এবং মাধুরী সমানভাবে প্রতিভাবান হলেও তারা একইভাবে সেই জায়গা করে নিতে পারেননি। কারণ সেই সময়ে নারীকেন্দ্রীক গল্প বলা হতো না। এই অভিনেত্রীদের আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হতো না। বলা ভালো নারী চরিত্রের প্রতি আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হতো না।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, এখনও ভারতীয় সিনেমা আধুনিক নারীর সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছে। তাই সমসাময়িক নারীদের ছবি তুলে ধরার জন্য তিনি তার মেয়ে জোয়া আখতারের চলচ্চিত্রের প্রশংসা করেছেন। জোয়া অনেক সংকটের মাঝেও নারীদের তুলে ধরতে কাজ করেন। তার এই সাক্ষাৎকার বেশ আলোচনায় এসেছে।