ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

অফিসে হাসিখুশি থাকার উপকারিতা

  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমেরিকার বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মেল ব্রুকস একবার বলেছিলেন ‘হাসি হলো চাপ, ব্যথা এবং দ্বন্দ্বের একটি শক্তিশালী প্রতিষেধক। আমাদের মন এবং শরীরকে ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে হাসির চেয়ে দ্রুত বা নির্ভরযোগ্যভাবে অন্য কিছুই কাজ করে না।’
হাসির ক্ষমতা আছে বাধা ভেঙে ফেলার। চাপের মাত্রা কমানো, ইতিবাচকতা ও সৃজনশীলতার পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এই হাসি কার্যকরী। কর্মক্ষেত্রে হাসিকে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, কর্মীরা হাসিখুশি থাকলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে! কিন্তু গবেষকরা বলছেন, হাসি কর্মীদের মনোবল এবং উৎপাদনশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
হাসির একটি প্রধান সুবিধা হলো এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কাজ চাপযুক্ত হতে পারে, এবং ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকা কর্মীদের বার্নআউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যা উৎপাদনশীলতা এবং কাজের মান কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, হাসি এন্ডোরফিন নিঃসরণকে ট্রিগার করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে এবং সুখ ও বিশ্রামের অনুভূতি বাড়াতে পারে।
মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি, হাসি সহকর্মীদের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। মানুষ যখন একসঙ্গে হাসে, তখন তাদের মধ্যে বন্ধন এবং বন্ধুত্বের অনুভূতি তৈরি হয়। যা তাদের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ ও সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করে। সেইসঙ্গে দলগতভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেয়। তাই কর্মক্ষেত্রে হাসিখুশি থাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হাসিখুশি থাকার মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, সমস্যা সমাধান সহজ হয় এবং আরও ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি হয়।
হাসির সঙ্গে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের সম্পর্ক রয়েছে। কর্মীর মানসিক অবস্থা ইতিবাচক এবং স্বস্তিদায়ক থাকলে বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার এবং সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। হাসি মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করতেও সাহায্য করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক কাজের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়োগকর্তারা কর্মক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি করে হাসিখুশি থাকাকে উৎসাহিত করতে পারে। সামাজিক ইভেন্ট, কর্মীদের কৃতিত্ব উদযাপন এবং কর্মীদের জোকস বা মজার গল্পগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দলনেতাকেও হাসিখুশি থাকতে হবে। তাহলে কর্মীরাও মন খুলে হাসতে ভয় পাবেন না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অফিসে হাসিখুশি থাকার উপকারিতা

আপডেট সময় : ১১:৫৯:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমেরিকার বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মেল ব্রুকস একবার বলেছিলেন ‘হাসি হলো চাপ, ব্যথা এবং দ্বন্দ্বের একটি শক্তিশালী প্রতিষেধক। আমাদের মন এবং শরীরকে ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে হাসির চেয়ে দ্রুত বা নির্ভরযোগ্যভাবে অন্য কিছুই কাজ করে না।’
হাসির ক্ষমতা আছে বাধা ভেঙে ফেলার। চাপের মাত্রা কমানো, ইতিবাচকতা ও সৃজনশীলতার পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এই হাসি কার্যকরী। কর্মক্ষেত্রে হাসিকে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, কর্মীরা হাসিখুশি থাকলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে! কিন্তু গবেষকরা বলছেন, হাসি কর্মীদের মনোবল এবং উৎপাদনশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
হাসির একটি প্রধান সুবিধা হলো এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কাজ চাপযুক্ত হতে পারে, এবং ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকা কর্মীদের বার্নআউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যা উৎপাদনশীলতা এবং কাজের মান কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, হাসি এন্ডোরফিন নিঃসরণকে ট্রিগার করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে এবং সুখ ও বিশ্রামের অনুভূতি বাড়াতে পারে।
মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি, হাসি সহকর্মীদের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। মানুষ যখন একসঙ্গে হাসে, তখন তাদের মধ্যে বন্ধন এবং বন্ধুত্বের অনুভূতি তৈরি হয়। যা তাদের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ ও সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করে। সেইসঙ্গে দলগতভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেয়। তাই কর্মক্ষেত্রে হাসিখুশি থাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হাসিখুশি থাকার মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, সমস্যা সমাধান সহজ হয় এবং আরও ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি হয়।
হাসির সঙ্গে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের সম্পর্ক রয়েছে। কর্মীর মানসিক অবস্থা ইতিবাচক এবং স্বস্তিদায়ক থাকলে বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার এবং সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। হাসি মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করতেও সাহায্য করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক কাজের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়োগকর্তারা কর্মক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি করে হাসিখুশি থাকাকে উৎসাহিত করতে পারে। সামাজিক ইভেন্ট, কর্মীদের কৃতিত্ব উদযাপন এবং কর্মীদের জোকস বা মজার গল্পগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দলনেতাকেও হাসিখুশি থাকতে হবে। তাহলে কর্মীরাও মন খুলে হাসতে ভয় পাবেন না।