আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অফিস টাইমে লম্বা সময় বাথরুমে থাকার অপরাধে চাকরি হারিয়েছিলেন এক তরুণ। কিন্তু আদালতে মমলা করায় সেই প্রতিষ্ঠানের থেকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ পাচ্ছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব চিনের জিয়াংসু প্রদেশে এবং সেই তরুণের নাম লি।
জানা গেছে, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এক সংস্থায় কাজ করছেন লি। চাকরিতে যোগ দেওয়ার চার বছর পর সংস্থাটি লির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে। যে পদে কাজে কারতেন, সেখানে তাকে ডাকলেই উপস্থিত হওয়া লাগতো। প্রথমদিকে তার কাজ নিয়ে খুশি ছিলেন ঊর্ধ্বতনরা।
কিন্তু গত এক বছর ধরে তরুণকে নিয়ে একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে। কাজ চলাকালীন নাকি লির দেখা মেলে না। এমনকি, ফোন অথবা মেসেজ করার পরেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাত্তা পাওয়া যায় না। এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয় না।
অভিযোগের ভিত্তিতে দফতরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে জানা যায়, কাজের মাঝে লম্বা বিরতি নিয়ে শৌচালয়ে চলে যান তরুণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শৌচালয়েই কাটান তিনি। এমনকি, একটানা চার ঘণ্টাও বাথরুমের ভিতর ছিলেন লি। এমন অপেশাদার আচরণের জন্য সংস্থার তরফে তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরে সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন লি। আদালতের তরফে সংস্থাকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আদালতে গিয়ে লি জানান ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অর্শরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। লির দাবি, সে কারণে মাঝেমধ্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাথরুমে যেতে হতো। এমনকি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অস্ত্রোপচারও হয় লির।
প্রেসক্রিপশন থেকে শুরু করে হাসপাতালের সমস্ত বিল আদালতে পেশ করেন তিনি। সংস্থার দাবি, লি তার অসুস্থতার কথা কখনও অফিসে জানাননি। এমনকি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে কখনও আলাদা ভাবে ‘সিক লিভ’ও নেননি। বিষয়টি নিয়ে একেবারেই অবগত ছিলেন না সংস্থার ঊর্ধ্বতনেরা।
শেষ পর্যন্ত আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, লিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সংস্থার তরফে লিকে ৩০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার
ওআ/আপ্র/১৫/১২/২০২৫
























