ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

অফিসে ফেরার রূপরেখা দিলেন গুগলের সুন্দার পিচাই

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে


প্রযুক্তি ডেস্ক : সম্প্রতি কর্মীদের একটি ইমেল পাঠিয়েছেন গুগল প্রধান সুন্দার পিচাই। লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সপ্তাহে গড়ে তিন দিন অফিসে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।
এপ্রিলে গুগল তার অফিস ফের খুলতে শুরু করে। এবার অফিস আর বাসা-থেকে-কাজ এর মিশেলে প্রতিষ্ঠানটি দৈনন্দিন কাজগুলো কীভাবে সম্পাদন করবে তার একটি পরিকল্পনা বিস্তারিত জানাতে শুরু করেছে। ইমেইলে সুন্দার পিচাই অফিসে থেকে কাজের বেশ কিছু সুবিধার কথা বলেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। অবশ্য, সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলির সবাই যে একই লাইনে ভাবছে, এমন নয়। টুইটার বলেছে তাদের কর্মীরা স্থায়ীভাবেই বাসা-থেকে-কাজ করতে পারবেন। ফেইসবুক আবার বলেছে, তাদের কর্মীরা বাড়ি ভিত্তিকও হতে পারে। গত বছর মহামারীর শুরুর সময় গুগল অন্যতম প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাসা-থেকে-কাজের প্রস্তাব দিয়েছিল। এর আগে গুগল কর্মীরা, যারা গুগলার নামে পরিচিত, তারা যদি দুই সপ্তাহের বেশি অফিসের বাইরে থেকে কাজ করতে চাইতেন তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে হত। সেই সময়সীমা এখন চার সপ্তাহে বাড়ানো হয়েছে। গুগল প্রধান অফিসে কাজ করার বিষয়ে লিখেছেন: ‘২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের কর্মীরা চমৎকার সব সমস্যা সমাধানের জন্য অফিসে এসেছেন – কখনও ক্যাফেতে, কখনও হোয়াইটবোর্ডের চারপাশে, অথবা বিচ ভলিবল বা ক্রিকেটের পিক-আপ খেলার পাশাপাশিই তারা কাজ করেছেন।’
তিনি বলেন, যে সকল এলাকায় অফিস ইতোমধ্যে খোলা হয়েছে, সেখানে ‘আমরা দেখেছি প্রায় ৬০ শতাংশ গুগলার ফিরে আসার বিষয়টি পছন্দ করেছেন।’ পিচাই আরও বলেন, তিনি এমন একটি কর্মীদলের কথা ভাবছেন যেখানে ৬০ ভাগ কাজ অফিস ভিত্তিক, ২০ ভাগ নতুন অফিসে এবং বাকী ২০ ভাগ বাড়ি থেকে কাজ করছেন। পিচাই ব্যাখ্যা করে বলেন, এই শতাংশ ভাগ তিনি দিনের সংখ্যার দিক থেকে করেছেন। এর মানে হচ্ছে, কর্মীরা সপ্তাহে ‘প্রায় তিন দিন’ অফিসে আসবে এবং বাকী দুই দিন ‘যেখানেই তাদের সবচেয়ে উপযুক্ত’ সেখানে কাজ করবে। ‘যদিও কিছু দলকে কাজের প্রকৃতির কারণেই সপ্তাহে তিন দিনের বেশি অফিসে থাকতে হবে।’ মেইলে পিচাই কর্মীদের একটি সহজ অনুরোধ করেছেন– ‘দয়া করে নিজেদের এবং প্রিয়জনদের যতœ নিন। আমরা আপনাদের সহায়তা করবো, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আমার এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকা- চলবে না: ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

অফিসে ফেরার রূপরেখা দিলেন গুগলের সুন্দার পিচাই

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১


প্রযুক্তি ডেস্ক : সম্প্রতি কর্মীদের একটি ইমেল পাঠিয়েছেন গুগল প্রধান সুন্দার পিচাই। লকডাউন শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সপ্তাহে গড়ে তিন দিন অফিসে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।
এপ্রিলে গুগল তার অফিস ফের খুলতে শুরু করে। এবার অফিস আর বাসা-থেকে-কাজ এর মিশেলে প্রতিষ্ঠানটি দৈনন্দিন কাজগুলো কীভাবে সম্পাদন করবে তার একটি পরিকল্পনা বিস্তারিত জানাতে শুরু করেছে। ইমেইলে সুন্দার পিচাই অফিসে থেকে কাজের বেশ কিছু সুবিধার কথা বলেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। অবশ্য, সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলির সবাই যে একই লাইনে ভাবছে, এমন নয়। টুইটার বলেছে তাদের কর্মীরা স্থায়ীভাবেই বাসা-থেকে-কাজ করতে পারবেন। ফেইসবুক আবার বলেছে, তাদের কর্মীরা বাড়ি ভিত্তিকও হতে পারে। গত বছর মহামারীর শুরুর সময় গুগল অন্যতম প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাসা-থেকে-কাজের প্রস্তাব দিয়েছিল। এর আগে গুগল কর্মীরা, যারা গুগলার নামে পরিচিত, তারা যদি দুই সপ্তাহের বেশি অফিসের বাইরে থেকে কাজ করতে চাইতেন তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে হত। সেই সময়সীমা এখন চার সপ্তাহে বাড়ানো হয়েছে। গুগল প্রধান অফিসে কাজ করার বিষয়ে লিখেছেন: ‘২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের কর্মীরা চমৎকার সব সমস্যা সমাধানের জন্য অফিসে এসেছেন – কখনও ক্যাফেতে, কখনও হোয়াইটবোর্ডের চারপাশে, অথবা বিচ ভলিবল বা ক্রিকেটের পিক-আপ খেলার পাশাপাশিই তারা কাজ করেছেন।’
তিনি বলেন, যে সকল এলাকায় অফিস ইতোমধ্যে খোলা হয়েছে, সেখানে ‘আমরা দেখেছি প্রায় ৬০ শতাংশ গুগলার ফিরে আসার বিষয়টি পছন্দ করেছেন।’ পিচাই আরও বলেন, তিনি এমন একটি কর্মীদলের কথা ভাবছেন যেখানে ৬০ ভাগ কাজ অফিস ভিত্তিক, ২০ ভাগ নতুন অফিসে এবং বাকী ২০ ভাগ বাড়ি থেকে কাজ করছেন। পিচাই ব্যাখ্যা করে বলেন, এই শতাংশ ভাগ তিনি দিনের সংখ্যার দিক থেকে করেছেন। এর মানে হচ্ছে, কর্মীরা সপ্তাহে ‘প্রায় তিন দিন’ অফিসে আসবে এবং বাকী দুই দিন ‘যেখানেই তাদের সবচেয়ে উপযুক্ত’ সেখানে কাজ করবে। ‘যদিও কিছু দলকে কাজের প্রকৃতির কারণেই সপ্তাহে তিন দিনের বেশি অফিসে থাকতে হবে।’ মেইলে পিচাই কর্মীদের একটি সহজ অনুরোধ করেছেন– ‘দয়া করে নিজেদের এবং প্রিয়জনদের যতœ নিন। আমরা আপনাদের সহায়তা করবো, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন।’