ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

অপরিচ্ছন্ন টয়লেট নিয়েও ‘সন্তুষ্ট’ তারা

  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের ভিত গড়ে ওঠে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। কিন্তু সেখানেও কেবল নেই আর নেই। এমনকি রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দেখা গেলো না একটা পরিচ্ছন্ন টয়লেটও! নোংরা, স্যাঁতস্যাঁতে টয়লেট পরিষ্কারের জন্য কেউ নেই এসব স্কুলে। অনেক শিশু তাই স্কুলের পুরোটা সময় টয়লেটেই যায় না। যদিও এসব টয়লেট নিয়েই সন্তুষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একটি জরিপ চালায় সংবাদসংস্থা বাংলা ট্রিবিউন। জরিপে ৮০ শতাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন তাদের বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত টয়লেট রয়েছে।
সরেজমিনে ভিন্ন চিত্র : ২০২২ সালের ২৬ জুন জরিপে অংশ নেওয়া কয়েকটি স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উল্টো চিত্র। পুরান ঢাকার কয়েকটি স্কুলে দেখা গেলো শিক্ষার্থী অনুপাতে নেই পর্যাপ্ত টয়লেট। যে কয়েকটি আছে সেগুলোও অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন। টয়লেটের মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত।
ওয়ারী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে টয়লেট আছে ২টি। বকশীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচশ’রও বেশি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ৬টি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪৪ শিক্ষার্থীর বিপরীতে আছে ৪টি,
ভজহরি সাহা স্ট্রিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩টি, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৬৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৬টি ও জিন্দাবাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৭ জন শিক্ষার্থী ও ছয় জন শিক্ষকের বিপরীতে আছে মাত্র একটি টয়লেট।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর সাবান দিয়ে বেসিনে হাত ধোয়ার সাবানও রাখা নেই। বেশ কয়েকটি স্কুলে হাত ধোয়ার বেসিনও নেই। আরও দেখা যায়, অধিকাংশ স্কুলেই প্রয়োজন রয়েছে সংস্কারের। কয়েকটি স্কুলের দরজা জানালা ও বেঞ্চ ভাঙা।
স্কুলগুলোতে ওয়াশ-ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে এবং তা আরও হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরেরর উপপরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) ড. মো. নুরুল আমিন চৌধুরী। অপর্যাপ্ত ও অপরিচ্ছন্ন টয়লেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমাদের টার্গেট ৫৮ হাজার ওয়াশব্লক করা। বন্যার কারণে প্লাবিত এলাকায় কাজ বন্ধ আছে। তবে যেসব এলাকায় বন্যা নেই সেসব এলাকায় কাজ চলছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অপরিচ্ছন্ন টয়লেট নিয়েও ‘সন্তুষ্ট’ তারা

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের ভিত গড়ে ওঠে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। কিন্তু সেখানেও কেবল নেই আর নেই। এমনকি রাজধানীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দেখা গেলো না একটা পরিচ্ছন্ন টয়লেটও! নোংরা, স্যাঁতস্যাঁতে টয়লেট পরিষ্কারের জন্য কেউ নেই এসব স্কুলে। অনেক শিশু তাই স্কুলের পুরোটা সময় টয়লেটেই যায় না। যদিও এসব টয়লেট নিয়েই সন্তুষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একটি জরিপ চালায় সংবাদসংস্থা বাংলা ট্রিবিউন। জরিপে ৮০ শতাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন তাদের বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত টয়লেট রয়েছে।
সরেজমিনে ভিন্ন চিত্র : ২০২২ সালের ২৬ জুন জরিপে অংশ নেওয়া কয়েকটি স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উল্টো চিত্র। পুরান ঢাকার কয়েকটি স্কুলে দেখা গেলো শিক্ষার্থী অনুপাতে নেই পর্যাপ্ত টয়লেট। যে কয়েকটি আছে সেগুলোও অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন। টয়লেটের মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত।
ওয়ারী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে টয়লেট আছে ২টি। বকশীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচশ’রও বেশি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ৬টি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪৪ শিক্ষার্থীর বিপরীতে আছে ৪টি,
ভজহরি সাহা স্ট্রিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩টি, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৬৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৬টি ও জিন্দাবাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৭ জন শিক্ষার্থী ও ছয় জন শিক্ষকের বিপরীতে আছে মাত্র একটি টয়লেট।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর সাবান দিয়ে বেসিনে হাত ধোয়ার সাবানও রাখা নেই। বেশ কয়েকটি স্কুলে হাত ধোয়ার বেসিনও নেই। আরও দেখা যায়, অধিকাংশ স্কুলেই প্রয়োজন রয়েছে সংস্কারের। কয়েকটি স্কুলের দরজা জানালা ও বেঞ্চ ভাঙা।
স্কুলগুলোতে ওয়াশ-ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে এবং তা আরও হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরেরর উপপরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) ড. মো. নুরুল আমিন চৌধুরী। অপর্যাপ্ত ও অপরিচ্ছন্ন টয়লেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমাদের টার্গেট ৫৮ হাজার ওয়াশব্লক করা। বন্যার কারণে প্লাবিত এলাকায় কাজ বন্ধ আছে। তবে যেসব এলাকায় বন্যা নেই সেসব এলাকায় কাজ চলছে।’