ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

অপরিচিত ভাইরাস ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্ত বহু নারী-কন্যা

  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: উগান্ডার বুন্দিবুগিও জেলার রীতিমতো আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে অপরিচিত একটি ভাইরাস। জেলায় একের পর এক নারী ও মেয়েরা আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে।
বৈজ্ঞানিকভাবে এখনো ভাইরাসটি পরিচয় নির্ধারণ করা যায়নি। স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ নামে। বাংলা ভাষায় যার অর্থ ‘নৃত্যের মতো কাঁপতে থাকা’। এ পর্যন্ত বুন্দিবুগিও জেলার ৩০০ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী এবং মেয়ে।
প্রবল জ্বর এবং জ্বরের ঘোরে ব্যাপকমাত্রায় কাঁপুনি রোগটির প্রধান উপাসর্গ। এখন পর্যন্ত ডিঙ্গা ডিঙ্গায় কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছেন, তাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে।
বুন্দিবোগিও জেলার চিকিৎসা কর্মকতর্কা ডা. ক্রিস্টোফার সংবাদমাধ্যমকে জানান, অনেকেই স্থানীয় কবিরাজদের পরামর্ষে ভেষজ ওষুধ সেবন করছেন। কিন্তু এ ধরনের ওষুধে কোনো উপকার হয়— বৈজ্ঞানিকভাবে এখনো এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আমরা সুনির্দিষ্টভাবে চিকিৎসা করছি এবং অধিকাংশ রোগীই এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আমি স্থানীয় লোকজনকে অনুরোধ করব, অসুস্থতা দেখা দেওয়া মাত্র নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
এখনে উল্লেখ্য যে, এখন পর্যন্ত বুন্দিবুগিও জেলার বাইরে কোনো রোগী ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেনÑ এমন সংবাদ পাওয়া যায়নি। আক্রান্তদের শারীরিক পরীক্ষার নমুনা উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত সেগুলোর ডায়াগনসিস হয়নি।
উগান্ডার নারীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা: উগান্ডার নারীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা অবশ্য খুব সন্তোষজনক নয়।

দেশটির সরকারি পরিসসংখ্যান বলছে, দেশটিতে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে মৃত্যু হয় ৪৪০ জনের। অনিরাপদ গর্ভপাত, সংক্রমণ, সন্ত্রান জন্ম দেওয়ার সময় অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণ এবং গর্ভধারণ অবস্থায় ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার নারীর মৃত্যু হয় উগান্ডায়।
বর্তমানে দেশটির নারীদের গড় আয়ু ৫৮ বছর ৯ মাস। ২০০০ সালের তুলনায় এ আয়ু ১৪ বছর ৪ মাস বেড়েছে। সূত্র: মিন্ট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অপরিচিত ভাইরাস ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্ত বহু নারী-কন্যা

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক: উগান্ডার বুন্দিবুগিও জেলার রীতিমতো আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে অপরিচিত একটি ভাইরাস। জেলায় একের পর এক নারী ও মেয়েরা আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে।
বৈজ্ঞানিকভাবে এখনো ভাইরাসটি পরিচয় নির্ধারণ করা যায়নি। স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ নামে। বাংলা ভাষায় যার অর্থ ‘নৃত্যের মতো কাঁপতে থাকা’। এ পর্যন্ত বুন্দিবুগিও জেলার ৩০০ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী এবং মেয়ে।
প্রবল জ্বর এবং জ্বরের ঘোরে ব্যাপকমাত্রায় কাঁপুনি রোগটির প্রধান উপাসর্গ। এখন পর্যন্ত ডিঙ্গা ডিঙ্গায় কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছেন, তাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে।
বুন্দিবোগিও জেলার চিকিৎসা কর্মকতর্কা ডা. ক্রিস্টোফার সংবাদমাধ্যমকে জানান, অনেকেই স্থানীয় কবিরাজদের পরামর্ষে ভেষজ ওষুধ সেবন করছেন। কিন্তু এ ধরনের ওষুধে কোনো উপকার হয়— বৈজ্ঞানিকভাবে এখনো এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আমরা সুনির্দিষ্টভাবে চিকিৎসা করছি এবং অধিকাংশ রোগীই এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আমি স্থানীয় লোকজনকে অনুরোধ করব, অসুস্থতা দেখা দেওয়া মাত্র নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
এখনে উল্লেখ্য যে, এখন পর্যন্ত বুন্দিবুগিও জেলার বাইরে কোনো রোগী ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেনÑ এমন সংবাদ পাওয়া যায়নি। আক্রান্তদের শারীরিক পরীক্ষার নমুনা উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত সেগুলোর ডায়াগনসিস হয়নি।
উগান্ডার নারীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা: উগান্ডার নারীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা অবশ্য খুব সন্তোষজনক নয়।

দেশটির সরকারি পরিসসংখ্যান বলছে, দেশটিতে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে মৃত্যু হয় ৪৪০ জনের। অনিরাপদ গর্ভপাত, সংক্রমণ, সন্ত্রান জন্ম দেওয়ার সময় অতিমাত্রায় রক্তক্ষরণ এবং গর্ভধারণ অবস্থায় ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার নারীর মৃত্যু হয় উগান্ডায়।
বর্তমানে দেশটির নারীদের গড় আয়ু ৫৮ বছর ৯ মাস। ২০০০ সালের তুলনায় এ আয়ু ১৪ বছর ৪ মাস বেড়েছে। সূত্র: মিন্ট।