ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

অপরাধের ধরন-মাধ্যম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে

  • আপডেট সময় : ০১:০৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অপরাধ দমন একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত অপরাধের ধরন ও মাধ্যম পরিবর্তন করছে। ফলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তাল মেলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও তদন্তকারী সংস্থা হিমশিম খাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব সদরদপ্তরে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহার র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর‌্যায়ে বিস্তৃত করার লক্ষে ‘র‌্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এনটিএমসি পরিচালক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই বেশি সতর্ক ও অভিজ্ঞ হতে হবে। এজন্য প্রয়োজন পর‌্যাপ্ত তথ্য-ভা-ার সমৃদ্ধ ইন্টিগ্রিটেড ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম এবং এটি পরিচালনার জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। এ প্রযুক্তিগত উন্নতি যদি আমরা না ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ক্রাইম আরও বাড়বে। ক্রাইম কন্ট্রোলের জন্য বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগত শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, আমরা যে ইন্টিগ্রিটিড সল্যুশনস কাঠামো তৈরি করেছি, এর মাধ্যমে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করা যাবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেন, তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মনে অনেক ধরনের ধারণা থাকতেই পারে। অনেকেই মনে করতে পারেন, তার সব তথ্য মনে হয় নিয়ে গেলো। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। তবে আমাকে বুঝতে হবে, এ তথ্য যেন কোনো অপরাধ সংঘটিত না করে। তথ্যের সংবরণ ও নিরাপত্তার বিষয়েও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরতা সক্ষম এবং এর অপব্যবহার রোধ সক্ষম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা তৎপর। এনটিএমসি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থাকে সব সময় তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে। র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি অপারেশন্স) কর্নেল কে এম আজাদ প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অপরাধের ধরন-মাধ্যম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে

আপডেট সময় : ০১:০৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অপরাধ দমন একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত অপরাধের ধরন ও মাধ্যম পরিবর্তন করছে। ফলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তাল মেলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও তদন্তকারী সংস্থা হিমশিম খাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব সদরদপ্তরে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহার র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর‌্যায়ে বিস্তৃত করার লক্ষে ‘র‌্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এনটিএমসি পরিচালক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই বেশি সতর্ক ও অভিজ্ঞ হতে হবে। এজন্য প্রয়োজন পর‌্যাপ্ত তথ্য-ভা-ার সমৃদ্ধ ইন্টিগ্রিটেড ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম এবং এটি পরিচালনার জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। এ প্রযুক্তিগত উন্নতি যদি আমরা না ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ক্রাইম আরও বাড়বে। ক্রাইম কন্ট্রোলের জন্য বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগত শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, আমরা যে ইন্টিগ্রিটিড সল্যুশনস কাঠামো তৈরি করেছি, এর মাধ্যমে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করা যাবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেন, তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মনে অনেক ধরনের ধারণা থাকতেই পারে। অনেকেই মনে করতে পারেন, তার সব তথ্য মনে হয় নিয়ে গেলো। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। তবে আমাকে বুঝতে হবে, এ তথ্য যেন কোনো অপরাধ সংঘটিত না করে। তথ্যের সংবরণ ও নিরাপত্তার বিষয়েও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরতা সক্ষম এবং এর অপব্যবহার রোধ সক্ষম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা তৎপর। এনটিএমসি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থাকে সব সময় তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে। র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি অপারেশন্স) কর্নেল কে এম আজাদ প্রমুখ।