ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

অন্য গাড়ির দূষণ ‘হজম’ করে ফেলবে যে গাড়ি!

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : গুডউড ফেস্টিভাল অফ স্পিডে এমন একটি গাড়ি দেখানো হয়েছে যা বাতাসের দূষণ ‘খেয়ে ফেলতে পারে’!
ব্রিটিশ ডিজাইনার টমাস হিদারউইকের নকশা করা ‘অ্যারো’ নামের এই গাড়ির উৎপাদন ২০২৩ সাল নাগাদ চীনে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। নির্মাতার পরিকল্পনা রয়েছে অন্তত ১০ লাখ গাড়ি তৈরি করার। চমকপ্রদ এই নকশার গাড়ি কেবল যে দূষণ কমাবে, তা নয়। ‘জায়গার সঙ্কট’ সমাধানও এর উদ্দেশ্যে। অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, এটি কনসেপ্ট কারই থেকে যাবে, বাস্তব গাড়ি হয়ে উঠবে না। লন্ডনের রুটমাস্টার বাসের নতুন সংস্করণ ডিজাইন করেছেন বটে, তবে নকশাবিদ হিদারউইক আরও বেশি পরিচিত ক্যালিফোর্নিয়া এবং লন্ডনে গুগল সদর দপ্তরের মতো স্থাপত্য প্রকল্পের জন্য। তিনি বিবিসিকে বলেন, যদিও তিনি এর আগে কখনো গাড়ির নকশা করেননি, কিন্তু সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেখে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন।
“আমি যখন বড় হয়ে উঠছি তখন গাড়ির মাধ্যমেই অনেক সাড়া জাগানো নকশা উঠে এসেছে, সেটা ১৯৮০-এর দশকে ফোর্ড সিয়েরা হোক বা ফিয়াট প্যান্ডা। গাড়িকে আশ্রয় করেই প্রধান কিছু ধারণা উঠে আসছিল।”
“যখন চীনের আইএম মোটর্স আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলো, আমরা বললাম- আমরা গাড়ির ডিজাইনার নই! তারা বললো- সেই কারণেই আমরা তোমাদের চাই।’ এপ্রিলে সাংহাই কার শোতে প্রথম দেখানো এই গাড়িটির একটি বড় কাচের ছাদ রয়েছে। এর ভেতরটা একটি ঘরের মতো করে নকশা করা হয়েছে। ‘অ্যাডজাস্টেবল’ সিটগুলো বিছানায় রূপান্তর করা যায়। আবার মিটিং বা খাবারের জন্য একটা টেবিলও বানিয়ে ফেলা যায়। স্টিয়ারিং হুইল লুকানো যায় গাড়ির ড্যাশবোর্ডে। আর এর বাইরের অংশটি তরঙ্গের মতো ঢেউ খেলানো নকশার। হিদারউইক বলেন, “গাড়ি নির্মাতারা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করতে যেন একজন আরেকজনের ওপর পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু, একটি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি কেবল খানিকটা ভিন্ন চেহারার একই জিনিস হওয়া উচিত নয়।”
তিনি বিবিসিকে বলেন, “গাড়ির উপর দিয়ে বায়ু প্রবাহের প্রতিফলন ঘটানোর পাশাপাশি সামনের গ্রিলে একটি এয়ার ফিল্টার লাগানো হবে যা “প্রতি বছর একটি টেনিস বলের সমান ক্ষুদ্রাকৃতির দূষণ কণা সংগ্রহ করবে”।
“শুনতে হয়তো এটি খুব বেশি মনে হচ্ছে না, কিন্তু আপনার ফুসফুসে একটি টেনিস বলের কথা ভাবুন, যা বাতাস পরিষ্কার করতে অবদান রাখছে, এবং কেবল চীনেই এমন ১০ লাখ ইউনিট চলছে।” তিনি বলেন, এই প্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়। এটি স্বাচালিত এবং ড্রাইভার-নিয়ন্ত্রিত উভয় মোড রাখার পরিকল্পনা আছে। কার্ডিফ বিজনেস স্কুলের সেন্টার ফর অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চের ব্যবসা ও স্থায়িত্ব বিভাগের অধ্যাপক পিটার ওয়েলস বিবিসিকে বলেন: “আমি বুঝতে পারছি না যে এই গাড়িটি কীভাবে গাড়ির মালিকানা এবং ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত অনেক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।”
“আমাদের শহুরে দূষিত এলাকায় বাতাস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এই গাড়ির অবদান এতই ছোট হবে যে তা অনুপাতে ধরা সম্ভব হবে না।” “মোট বাতাসের কতোটুকু এই গাড়ির ফিল্টার সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যেতে পারে সেটা তুলনা করলেই বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্য গাড়ির দূষণ ‘হজম’ করে ফেলবে যে গাড়ি!

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : গুডউড ফেস্টিভাল অফ স্পিডে এমন একটি গাড়ি দেখানো হয়েছে যা বাতাসের দূষণ ‘খেয়ে ফেলতে পারে’!
ব্রিটিশ ডিজাইনার টমাস হিদারউইকের নকশা করা ‘অ্যারো’ নামের এই গাড়ির উৎপাদন ২০২৩ সাল নাগাদ চীনে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। নির্মাতার পরিকল্পনা রয়েছে অন্তত ১০ লাখ গাড়ি তৈরি করার। চমকপ্রদ এই নকশার গাড়ি কেবল যে দূষণ কমাবে, তা নয়। ‘জায়গার সঙ্কট’ সমাধানও এর উদ্দেশ্যে। অবশ্য সমালোচকরা বলছেন, এটি কনসেপ্ট কারই থেকে যাবে, বাস্তব গাড়ি হয়ে উঠবে না। লন্ডনের রুটমাস্টার বাসের নতুন সংস্করণ ডিজাইন করেছেন বটে, তবে নকশাবিদ হিদারউইক আরও বেশি পরিচিত ক্যালিফোর্নিয়া এবং লন্ডনে গুগল সদর দপ্তরের মতো স্থাপত্য প্রকল্পের জন্য। তিনি বিবিসিকে বলেন, যদিও তিনি এর আগে কখনো গাড়ির নকশা করেননি, কিন্তু সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেখে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন।
“আমি যখন বড় হয়ে উঠছি তখন গাড়ির মাধ্যমেই অনেক সাড়া জাগানো নকশা উঠে এসেছে, সেটা ১৯৮০-এর দশকে ফোর্ড সিয়েরা হোক বা ফিয়াট প্যান্ডা। গাড়িকে আশ্রয় করেই প্রধান কিছু ধারণা উঠে আসছিল।”
“যখন চীনের আইএম মোটর্স আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলো, আমরা বললাম- আমরা গাড়ির ডিজাইনার নই! তারা বললো- সেই কারণেই আমরা তোমাদের চাই।’ এপ্রিলে সাংহাই কার শোতে প্রথম দেখানো এই গাড়িটির একটি বড় কাচের ছাদ রয়েছে। এর ভেতরটা একটি ঘরের মতো করে নকশা করা হয়েছে। ‘অ্যাডজাস্টেবল’ সিটগুলো বিছানায় রূপান্তর করা যায়। আবার মিটিং বা খাবারের জন্য একটা টেবিলও বানিয়ে ফেলা যায়। স্টিয়ারিং হুইল লুকানো যায় গাড়ির ড্যাশবোর্ডে। আর এর বাইরের অংশটি তরঙ্গের মতো ঢেউ খেলানো নকশার। হিদারউইক বলেন, “গাড়ি নির্মাতারা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করতে যেন একজন আরেকজনের ওপর পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু, একটি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি কেবল খানিকটা ভিন্ন চেহারার একই জিনিস হওয়া উচিত নয়।”
তিনি বিবিসিকে বলেন, “গাড়ির উপর দিয়ে বায়ু প্রবাহের প্রতিফলন ঘটানোর পাশাপাশি সামনের গ্রিলে একটি এয়ার ফিল্টার লাগানো হবে যা “প্রতি বছর একটি টেনিস বলের সমান ক্ষুদ্রাকৃতির দূষণ কণা সংগ্রহ করবে”।
“শুনতে হয়তো এটি খুব বেশি মনে হচ্ছে না, কিন্তু আপনার ফুসফুসে একটি টেনিস বলের কথা ভাবুন, যা বাতাস পরিষ্কার করতে অবদান রাখছে, এবং কেবল চীনেই এমন ১০ লাখ ইউনিট চলছে।” তিনি বলেন, এই প্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়। এটি স্বাচালিত এবং ড্রাইভার-নিয়ন্ত্রিত উভয় মোড রাখার পরিকল্পনা আছে। কার্ডিফ বিজনেস স্কুলের সেন্টার ফর অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চের ব্যবসা ও স্থায়িত্ব বিভাগের অধ্যাপক পিটার ওয়েলস বিবিসিকে বলেন: “আমি বুঝতে পারছি না যে এই গাড়িটি কীভাবে গাড়ির মালিকানা এবং ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত অনেক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।”
“আমাদের শহুরে দূষিত এলাকায় বাতাস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এই গাড়ির অবদান এতই ছোট হবে যে তা অনুপাতে ধরা সম্ভব হবে না।” “মোট বাতাসের কতোটুকু এই গাড়ির ফিল্টার সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যেতে পারে সেটা তুলনা করলেই বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়।”