ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সোলেমানকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৬

  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সোলেমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ হত্যাকা-ে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- নজরুল ইসলাম (৪৫), সাব্বির (৩০), তাকবির (২৫), জাকির (৩২), জসিম উদ্দিন (৪৫), সেলিম উদ্দিন (৪২)। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলি র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার জয়শ্রী ইউনিয়নের শান্তিপুর এলাকায় ড্রেন পুনঃনির্মাণ করার কারণে ইউপি সদস্য রাসেল ও তার লোকজনের ওপর নজরুল তার সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালায়। মূলত সাতারিয়া-পাথারিয়া হাওরের বোরো ধানের জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়। গ্রেপ্তার নজরুল ও তার লোকজন অ্যাক্সেভেটর দিয়ে মাটি তুলে ড্রেনটি ধ্বংস করে দেয়। ঘটনার দিন ২৬ ডিসেম্বর রাসেল মেম্বারের লোকজন তাদের স্বত্ব দখলীয় হাওরের বোরো জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেনটি পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে নজরুলের নেতৃত্বে সাব্বির, তাকবির, জাকির, মিজান, নাঈম, জসিম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, নয়ন, আক্কল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮ ও ১০ জন দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা, রড, রডের পাইপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সোলেমানসহ মোট ১০ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সোলেমানসহ মোট ছয়জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৯ জানুয়ারি সোলেমানের মৃত্যু হয়। র‌্যাব-৩ অধিনায়ক বলেন, হামলার ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি সোলেমানের চাচাতো ভাই দীন ইসলাম বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সোলেমানের মৃত্যুর পর গত ১০ জানুয়ারি আদালতের মাধ্যমে দ-বিধি আইনের ৩০২ ধারা সংযোজিত হয়ে মামলাটি হত্যা মামলায় হিসেবে গণ্য হয়। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ধর্মপাশায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করে। এ হত্যাকা-টি দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এরপর র‌্যাব-৯ এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যান। পরে গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দলকে জানায়। র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল আসামিদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত হওয়ার পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী নজরুল ইসলাম ও তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, আসামি নজরুল তার আত্মীয়-স্বজন ও অনুসারীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে সাধারণ মানুষের জমি-জমা দখল করে আসছিলেন। সোলেমানের চাচাতো ভাই রাসেল ইউপি সদস্য। রাসেল নজরুলের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় নজরুল রাসেলের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এর আগে শান্তিপুর গ্রামের একটি মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য নদীপথে আনা বালু মসজিদ ঘাটে আনলোড করার সময় নজরুল বাধা দেন। ওইদিন সোলেমান তার চাচাতো ভাই রাসেল পক্ষ নিয়ে নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। এতে নজরুল সোলেমানের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে নজরুলের কুকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে সোলেমান নজরুলের চক্ষুশূলে পরিণত হয়। এ কারণেই নজরুল সোলেমানকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। নজরুল রাসেল ও সোলেমানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি দেন।
নজরুল শান্তিপুর এলাকার একজন চিহ্নিত অপরাধী। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দখলদারিত্বের জন্য নজরুল বিভিন্ন লোকজনকে হুমকি দিতেন। ঘটনার দিন পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী নজরুল নিজেই সোলেমানের মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিলে মাথার ডান পার্শ্বের তালুতে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে সোলেমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নজরুলের নির্দেশে অন্যান্য সহযোগীরা মাটিতে পড়ে থাকা সোলেমানকে নৃশংসভাবে আঘাত করতে থাকেন। এতে সোলেমান গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ বলেন, আসামি নজরুলের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় একটি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও দুটি মারামারি মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার জাকির হোসেন ও সেলিম উদ্দিনের নামেও ধর্মপাশা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সোলেমানকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৬

আপডেট সময় : ০১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সোলেমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ হত্যাকা-ে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন- নজরুল ইসলাম (৪৫), সাব্বির (৩০), তাকবির (২৫), জাকির (৩২), জসিম উদ্দিন (৪৫), সেলিম উদ্দিন (৪২)। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলি র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার জয়শ্রী ইউনিয়নের শান্তিপুর এলাকায় ড্রেন পুনঃনির্মাণ করার কারণে ইউপি সদস্য রাসেল ও তার লোকজনের ওপর নজরুল তার সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালায়। মূলত সাতারিয়া-পাথারিয়া হাওরের বোরো ধানের জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়। গ্রেপ্তার নজরুল ও তার লোকজন অ্যাক্সেভেটর দিয়ে মাটি তুলে ড্রেনটি ধ্বংস করে দেয়। ঘটনার দিন ২৬ ডিসেম্বর রাসেল মেম্বারের লোকজন তাদের স্বত্ব দখলীয় হাওরের বোরো জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেনটি পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে নজরুলের নেতৃত্বে সাব্বির, তাকবির, জাকির, মিজান, নাঈম, জসিম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, নয়ন, আক্কল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮ ও ১০ জন দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা, রড, রডের পাইপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সোলেমানসহ মোট ১০ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সোলেমানসহ মোট ছয়জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৯ জানুয়ারি সোলেমানের মৃত্যু হয়। র‌্যাব-৩ অধিনায়ক বলেন, হামলার ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি সোলেমানের চাচাতো ভাই দীন ইসলাম বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সোলেমানের মৃত্যুর পর গত ১০ জানুয়ারি আদালতের মাধ্যমে দ-বিধি আইনের ৩০২ ধারা সংযোজিত হয়ে মামলাটি হত্যা মামলায় হিসেবে গণ্য হয়। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ধর্মপাশায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করে। এ হত্যাকা-টি দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এরপর র‌্যাব-৯ এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যান। পরে গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দলকে জানায়। র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল আসামিদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত হওয়ার পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী নজরুল ইসলাম ও তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, আসামি নজরুল তার আত্মীয়-স্বজন ও অনুসারীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে সাধারণ মানুষের জমি-জমা দখল করে আসছিলেন। সোলেমানের চাচাতো ভাই রাসেল ইউপি সদস্য। রাসেল নজরুলের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় নজরুল রাসেলের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এর আগে শান্তিপুর গ্রামের একটি মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য নদীপথে আনা বালু মসজিদ ঘাটে আনলোড করার সময় নজরুল বাধা দেন। ওইদিন সোলেমান তার চাচাতো ভাই রাসেল পক্ষ নিয়ে নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। এতে নজরুল সোলেমানের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে নজরুলের কুকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে সোলেমান নজরুলের চক্ষুশূলে পরিণত হয়। এ কারণেই নজরুল সোলেমানকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। নজরুল রাসেল ও সোলেমানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি দেন।
নজরুল শান্তিপুর এলাকার একজন চিহ্নিত অপরাধী। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দখলদারিত্বের জন্য নজরুল বিভিন্ন লোকজনকে হুমকি দিতেন। ঘটনার দিন পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী নজরুল নিজেই সোলেমানের মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিলে মাথার ডান পার্শ্বের তালুতে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে সোলেমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নজরুলের নির্দেশে অন্যান্য সহযোগীরা মাটিতে পড়ে থাকা সোলেমানকে নৃশংসভাবে আঘাত করতে থাকেন। এতে সোলেমান গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ বলেন, আসামি নজরুলের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় একটি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও দুটি মারামারি মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার জাকির হোসেন ও সেলিম উদ্দিনের নামেও ধর্মপাশা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।