ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে মাইকেল চাকমা

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে হাসিনা ও আগের সরকারের কোনো পার্থক্য নেই

  • আপডেট সময় : ০৯:১০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর চতুর্থ কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক মাইকেল চাকমা -ছবি সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও আগের সরকারের কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম অধ্যাপক ইউনূস সরকারের আমলে ন্যায়বিচার পাব। কিন্তু এক বছর পর আমরা দেখি, হাসিনার সময় ও তাঁর আগে যত সরকার এসেছিল; তারা যেভাবে অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছিল, এর সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পার্থক্য নেই।’

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন মাইকেল চাকমা। চতুর্থ কাউন্সিল উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে এই অনুষ্ঠান হয়। মাইকেল চাকমা বলেন, ‘২০১০ সালে সাজেকে চার শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর কোনো বিচার আমরা পাইনি। বর্তমান কারাগারে বন্দী দীপঙ্কর তালুকদারের সামনেই বাড়িগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তাঁর সামনে লাশ ছিল। এসবের বিচার আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি। এখন হাসিনা চলে গেছে। এরপর যে ক্ষমতায় এসেছে, সেও হাসিনাকে অনুসরণ করছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সেবক নয় উল্লেখ করে মাইকেল চাকমা বলেন, এক বছর আগে কৃষক, শ্রমিক যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের কোনো অধিকার পূরণ হয়নি। দেশের সাধারণ মানুষের রক্তে যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারা সেবক হিসেবে বসেনি। তারা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, তারা তাদের স্বার্থের জন্য ক্ষমতায় বসেছে। বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী শাখার আহ্বায়ক জশদ জাকির এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, আর গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর যেন কেউ শোষণ-নিপীড়ন চালাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা কেবল একটা রেজিম হটিয়েছি। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন বলেন, ‘এই দেশের মানুষ কখনোই কোনো ফ্যাসিবাদকে টিকতে দেয়নি। প্রতিবারই রাজনৈতিকভাবে সচেতন শিক্ষার্থীরা ভূমিকা রেখেছেন।’
শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক রাম্রাসাইন মারমা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। এতে আরো বক্তব্য দেন ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক নেতা হারুন অর রশীদ, শাখা ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া অংশীদারিত্ব আরো গভীর করার অঙ্গীকার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে মাইকেল চাকমা

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে হাসিনা ও আগের সরকারের কোনো পার্থক্য নেই

আপডেট সময় : ০৯:১০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও আগের সরকারের কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমা। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম অধ্যাপক ইউনূস সরকারের আমলে ন্যায়বিচার পাব। কিন্তু এক বছর পর আমরা দেখি, হাসিনার সময় ও তাঁর আগে যত সরকার এসেছিল; তারা যেভাবে অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছিল, এর সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পার্থক্য নেই।’

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন মাইকেল চাকমা। চতুর্থ কাউন্সিল উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে এই অনুষ্ঠান হয়। মাইকেল চাকমা বলেন, ‘২০১০ সালে সাজেকে চার শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর কোনো বিচার আমরা পাইনি। বর্তমান কারাগারে বন্দী দীপঙ্কর তালুকদারের সামনেই বাড়িগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তাঁর সামনে লাশ ছিল। এসবের বিচার আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি। এখন হাসিনা চলে গেছে। এরপর যে ক্ষমতায় এসেছে, সেও হাসিনাকে অনুসরণ করছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সেবক নয় উল্লেখ করে মাইকেল চাকমা বলেন, এক বছর আগে কৃষক, শ্রমিক যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের কোনো অধিকার পূরণ হয়নি। দেশের সাধারণ মানুষের রক্তে যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারা সেবক হিসেবে বসেনি। তারা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, তারা তাদের স্বার্থের জন্য ক্ষমতায় বসেছে। বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী শাখার আহ্বায়ক জশদ জাকির এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, আর গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর যেন কেউ শোষণ-নিপীড়ন চালাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা কেবল একটা রেজিম হটিয়েছি। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন বলেন, ‘এই দেশের মানুষ কখনোই কোনো ফ্যাসিবাদকে টিকতে দেয়নি। প্রতিবারই রাজনৈতিকভাবে সচেতন শিক্ষার্থীরা ভূমিকা রেখেছেন।’
শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক রাম্রাসাইন মারমা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। এতে আরো বক্তব্য দেন ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক নেতা হারুন অর রশীদ, শাখা ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।