ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

অন্তবর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় চায় বিএনপি

  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে এখন থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে রূপ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) সন্ধ্যায় যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম আমাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্বেগ নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার বিষয়টি ছিল আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।

‘আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি — এই মুহূর্ত থেকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কার্যত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে পরিচালিত করতে হবে, যাতে জনগণের আস্থা ফিরে আসে এবং প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রথমেই আমরা বলেছি, প্রশাসনে যে সব কর্মকর্তা অতীত সরকারের ঘনিষ্ঠ বা দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত, তাদের সরিয়ে দিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। একইভাবে জেলা প্রশাসন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতার নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার দাবি জানিয়েছি।’

‘আমরা আরও জানিয়েছি, পুলিশ বাহিনীতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা জরুরি। কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রভাব যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে উচ্চ আদালতে যারা এখনও দলীয় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আছেন, তাদের অবসারণ করে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা আমরা তুলে ধরেছি। যদিও বিচার বিভাগ স্বাধীন, তবু প্রধান উপদেষ্টার সামগ্রিক দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।

ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি, সরকারকে সম্পূর্ণভাবে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ অবস্থায় পরিচালিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে। এই বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছি, এবং তিনি আমাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় বৈঠকে বসেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ আগেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যকে বহনকারী গাড়ি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

ওআ/আপ্র/২০/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তবর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় চায় বিএনপি

আপডেট সময় : ০৮:০৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে এখন থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে রূপ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) সন্ধ্যায় যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম আমাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্বেগ নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার বিষয়টি ছিল আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।

‘আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি — এই মুহূর্ত থেকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কার্যত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে পরিচালিত করতে হবে, যাতে জনগণের আস্থা ফিরে আসে এবং প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রথমেই আমরা বলেছি, প্রশাসনে যে সব কর্মকর্তা অতীত সরকারের ঘনিষ্ঠ বা দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত, তাদের সরিয়ে দিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। একইভাবে জেলা প্রশাসন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতার নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার দাবি জানিয়েছি।’

‘আমরা আরও জানিয়েছি, পুলিশ বাহিনীতে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা জরুরি। কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রভাব যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে উচ্চ আদালতে যারা এখনও দলীয় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে আছেন, তাদের অবসারণ করে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা আমরা তুলে ধরেছি। যদিও বিচার বিভাগ স্বাধীন, তবু প্রধান উপদেষ্টার সামগ্রিক দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।

ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি, সরকারকে সম্পূর্ণভাবে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ অবস্থায় পরিচালিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে। এই বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছি, এবং তিনি আমাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় বৈঠকে বসেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ আগেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যকে বহনকারী গাড়ি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

ওআ/আপ্র/২০/১০/২০২৫