ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে: বিজিএমইএ

  • আপডেট সময় : ১২:৫১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে, বাংলাদেশে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় বাজারে টিকে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর হবে। পুরোনো অর্ডারগুলোতে প্রচুর লোকসান হবে। অনেক কারখানা নতুন অর্ডার নিতে পারবে না। ফলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কারখানায় গ্যাংস সংকট চলছে। সরকার নির্দেশিত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না ৫-৬ ঘণ্টা। এ কারণে দিনে ৬ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় জ্বালানি তেলও বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, আমাদের হাতে প্রচুর কাজের আদেশ (অর্ডার) রয়েছে। বড় অঙ্কের লোকসান দিয়ে এখন ওই (অর্ডারের) পণ্য উৎপাদন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, ট্রাক ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। এসবের সঙ্গে শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হবে। লোকসান থেকে বাঁচতে চাইলে অনেক কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। ফারুক হাসান বলেন, আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে ফরেইন এক্সচেঞ্জের (বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময়) ওপর। গত বছর যে রপ্তানি আয় হয়েছে তার ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক খাতের মাধ্যমে। এ কারণে এখনও মুদ্রাস্ফীতি আমাদের সেভাবে বাড়েনি। কিন্তু নতুন করে জ্বালানির দাম বাড়ায় বিশ্ববাজারে আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। দেশের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম স্থিতিশীল রাখা উচিত ছিল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না। পুরোনো অর্ডারগুলোতে অনেক লোকসান হবে। নতুন করে উৎপাদনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে পিছিয়ে যাব। এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তেলের দাম বাড়ায় সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপাতি বলেন, পুরোনো অর্ডারগুলোতে অনেক লোকসান হবে। নতুন করে উৎপাদনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে আমরা পিছিয়ে পড়ব। তিনি আরও বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বাস ও ট্রাকের ভাড়া বাড়বে। বাড়বে জিনিসপত্রের দামও। ফলে লোকসান কমাতে কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এজন্য সরকারের উচিত চিন্তা-ভাবনা করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা। পোশাক খাতের তরুণ উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমাদের সবকিছুই ঊর্ধ্বমুখী। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এখন আবার জ্বালানির দাম বাড়ায় বাজার প্রতিযোগিতায় তার প্রভাব পড়বেই, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, এখন যে অর্ডারগুলো আছে, এগুলো দু-তিন মাস আগের অর্ডার নেওয়া। এগুলোর খরচ তো বেশি পড়বে। নতুন করে যে অর্ডার আসবে তার উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে: বিজিএমইএ

আপডেট সময় : ১২:৫১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে, বাংলাদেশে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় বাজারে টিকে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর হবে। পুরোনো অর্ডারগুলোতে প্রচুর লোকসান হবে। অনেক কারখানা নতুন অর্ডার নিতে পারবে না। ফলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কারখানায় গ্যাংস সংকট চলছে। সরকার নির্দেশিত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না ৫-৬ ঘণ্টা। এ কারণে দিনে ৬ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় জ্বালানি তেলও বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, আমাদের হাতে প্রচুর কাজের আদেশ (অর্ডার) রয়েছে। বড় অঙ্কের লোকসান দিয়ে এখন ওই (অর্ডারের) পণ্য উৎপাদন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, ট্রাক ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। এসবের সঙ্গে শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হবে। লোকসান থেকে বাঁচতে চাইলে অনেক কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। ফারুক হাসান বলেন, আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে ফরেইন এক্সচেঞ্জের (বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময়) ওপর। গত বছর যে রপ্তানি আয় হয়েছে তার ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক খাতের মাধ্যমে। এ কারণে এখনও মুদ্রাস্ফীতি আমাদের সেভাবে বাড়েনি। কিন্তু নতুন করে জ্বালানির দাম বাড়ায় বিশ্ববাজারে আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। দেশের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম স্থিতিশীল রাখা উচিত ছিল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না। পুরোনো অর্ডারগুলোতে অনেক লোকসান হবে। নতুন করে উৎপাদনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে পিছিয়ে যাব। এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তেলের দাম বাড়ায় সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপাতি বলেন, পুরোনো অর্ডারগুলোতে অনেক লোকসান হবে। নতুন করে উৎপাদনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে আমরা পিছিয়ে পড়ব। তিনি আরও বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বাস ও ট্রাকের ভাড়া বাড়বে। বাড়বে জিনিসপত্রের দামও। ফলে লোকসান কমাতে কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এজন্য সরকারের উচিত চিন্তা-ভাবনা করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা। পোশাক খাতের তরুণ উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমাদের সবকিছুই ঊর্ধ্বমুখী। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এখন আবার জ্বালানির দাম বাড়ায় বাজার প্রতিযোগিতায় তার প্রভাব পড়বেই, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, এখন যে অর্ডারগুলো আছে, এগুলো দু-তিন মাস আগের অর্ডার নেওয়া। এগুলোর খরচ তো বেশি পড়বে। নতুন করে যে অর্ডার আসবে তার উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে।