ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে

  • আপডেট সময় : ০৩:০৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে চলমান লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে চায় সরকার। এ জন্য অফিসের সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি বিয়েসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি বিভাগ এবং উৎপাদন, বিতরণ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী এসব কথা বলেন। বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধকালীন সময় উল্লেখ করে, এই যুদ্ধ মোকাবিলায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে জানিয়ে ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা হতে পারে। সেখান থেকে কতটা কমাতে পারি সেই চিন্তা করা হচ্ছে। আমরা সাশ্রয়ী হলে হয়ত চাহিদা সাড়ে ১২ হাজার নামিয়ে আনতে পারব। তিনি আরো জানান, আর ডিসেম্বরের মধ্যে ভারত থেকে আমদানির বিদ্যুৎ আসবে। একই সময়ের মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন পরিস্থিতির উন্নতি হবে। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, কোভিডের সময় জীবন অন্যভাবে ছিল। অফিসের সময় সংশোধন করা গেলে যেমন ৯টা থেকে ৩টা করা যায় কি না বা ঘরে বসে কাজ করতে পারি কি না, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায় চিন্তা করতে পারে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এসির ব্যবহার ২৫ এর নিচে রাখা এবং ব্যবহার কম করলে হয়তো লোডশেডিং অনেক কম হবে। মসজিদে এসির ব্যবহার কমাতে হবে। বিয়েসহ সব অনুষ্ঠান সাতটার মধ্যে শেষ করতে হবে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে। তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কীভাবে আগে জানানো যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আগেই যদি লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে জানাতে পারি, তাহলে গ্রাহকরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারবে। সেটি জেলা লেভেলের কর্মকর্তারা জানাবেন। তবে তাৎক্ষণিক সেটা জানানো কঠিন। সেজন্য আমাদের বিপিডিসি একটা অ্যাপ তৈরি করেছে, সেখানে ঢুকলে জানা যাবে কোন এলাকায় কখন, কবে লোডশেডিং হবে। সেটি সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই জানানো হবে। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন, তারা সেটি বাস্তবায়ন করবে, তাদের প্রয়োজনে আরও শক্তিশালী করা হবে। যাতে ঘাটতিটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে

আপডেট সময় : ০৩:০৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশজুড়ে চলমান লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে চায় সরকার। এ জন্য অফিসের সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি বিয়েসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি বিভাগ এবং উৎপাদন, বিতরণ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী এসব কথা বলেন। বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধকালীন সময় উল্লেখ করে, এই যুদ্ধ মোকাবিলায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে জানিয়ে ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা হতে পারে। সেখান থেকে কতটা কমাতে পারি সেই চিন্তা করা হচ্ছে। আমরা সাশ্রয়ী হলে হয়ত চাহিদা সাড়ে ১২ হাজার নামিয়ে আনতে পারব। তিনি আরো জানান, আর ডিসেম্বরের মধ্যে ভারত থেকে আমদানির বিদ্যুৎ আসবে। একই সময়ের মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন পরিস্থিতির উন্নতি হবে। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, কোভিডের সময় জীবন অন্যভাবে ছিল। অফিসের সময় সংশোধন করা গেলে যেমন ৯টা থেকে ৩টা করা যায় কি না বা ঘরে বসে কাজ করতে পারি কি না, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায় চিন্তা করতে পারে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এসির ব্যবহার ২৫ এর নিচে রাখা এবং ব্যবহার কম করলে হয়তো লোডশেডিং অনেক কম হবে। মসজিদে এসির ব্যবহার কমাতে হবে। বিয়েসহ সব অনুষ্ঠান সাতটার মধ্যে শেষ করতে হবে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে। তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কীভাবে আগে জানানো যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আগেই যদি লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে জানাতে পারি, তাহলে গ্রাহকরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারবে। সেটি জেলা লেভেলের কর্মকর্তারা জানাবেন। তবে তাৎক্ষণিক সেটা জানানো কঠিন। সেজন্য আমাদের বিপিডিসি একটা অ্যাপ তৈরি করেছে, সেখানে ঢুকলে জানা যাবে কোন এলাকায় কখন, কবে লোডশেডিং হবে। সেটি সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই জানানো হবে। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন, তারা সেটি বাস্তবায়ন করবে, তাদের প্রয়োজনে আরও শক্তিশালী করা হবে। যাতে ঘাটতিটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি।