ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

অনুমোদন পেল বুয়েট উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’

  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন চাহিদা মেটাতে ব্যয়বহুল হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ যন্ত্রটি উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আপাতত ২০০ ইউনিট উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার রাতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও ডিভাইসটির উদ্ভাবক বুয়েট শিক্ষক ড. তওফিক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যন্ত্রটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) অনুমোদন নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দুটি ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। কিন্তু ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ডিভাইসটি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তওফিক হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা আজকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি চিঠি পেয়েছি যে ওনারা আমাদের ২০০টি অক্সিজেট সি ফাইভ ডিভাইস তৈরি করার অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা আশা করছি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ডিভাইসটি কিছু মানুষের কাজে লাগবে। যাদের বিশেষ করে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেশি ও আইসিইউর সল্পতা রয়েছে। এই ডিভাইসটি ভালোভাবে পারফর্ম করার পরবর্তীতে আরও তৈরি করার অনুমোদন পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, কোন ধরনের রোগীদের কোন অবস্থায় এটি দেয়া যাবে এমন কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। এসব ডাটা দেখে পরবর্তীতে আরো অনুমোদন দেয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ‘
বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসানের নেতৃত্বে ‘অক্সিজেট’ নামের যে ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে সেটি দিয়ে হাসপাতালের সাধারণ বেডেই ৬০ লিটার পর্যন্ত হাই ফ্লো অক্সিজেন দেয়া সম্ভব বলে তারা জানান। বিষয়টি নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রচারের পর উচ্চ আদালতের নজরে আনেন একজন আইনজীবী। পরে বিচারক ‘অক্সিজেট’ নামের ডিভাইসের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার পরামর্শ দেন। একটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার জন্য খরচ যেখানে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা, সেখানে বুয়েটের আবিষ্কৃত যন্ত্রটির উৎপাদন খরচ পড়বে মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অনুমোদন পেল বুয়েট উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’

আপডেট সময় : ০১:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন চাহিদা মেটাতে ব্যয়বহুল হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ যন্ত্রটি উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আপাতত ২০০ ইউনিট উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার রাতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও ডিভাইসটির উদ্ভাবক বুয়েট শিক্ষক ড. তওফিক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যন্ত্রটি এরই মধ্যে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) অনুমোদন নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দুটি ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। কিন্তু ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ডিভাইসটি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তওফিক হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা আজকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি চিঠি পেয়েছি যে ওনারা আমাদের ২০০টি অক্সিজেট সি ফাইভ ডিভাইস তৈরি করার অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা আশা করছি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ডিভাইসটি কিছু মানুষের কাজে লাগবে। যাদের বিশেষ করে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেশি ও আইসিইউর সল্পতা রয়েছে। এই ডিভাইসটি ভালোভাবে পারফর্ম করার পরবর্তীতে আরও তৈরি করার অনুমোদন পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, কোন ধরনের রোগীদের কোন অবস্থায় এটি দেয়া যাবে এমন কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। এসব ডাটা দেখে পরবর্তীতে আরো অনুমোদন দেয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ‘
বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসানের নেতৃত্বে ‘অক্সিজেট’ নামের যে ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে সেটি দিয়ে হাসপাতালের সাধারণ বেডেই ৬০ লিটার পর্যন্ত হাই ফ্লো অক্সিজেন দেয়া সম্ভব বলে তারা জানান। বিষয়টি নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রচারের পর উচ্চ আদালতের নজরে আনেন একজন আইনজীবী। পরে বিচারক ‘অক্সিজেট’ নামের ডিভাইসের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার পরামর্শ দেন। একটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার জন্য খরচ যেখানে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা, সেখানে বুয়েটের আবিষ্কৃত যন্ত্রটির উৎপাদন খরচ পড়বে মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকা।