ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

অনুমতি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যেকোনও পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা যাবে।

মঙ্গলবার (২০ মে) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। তাজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য কোর্ট রুম ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যে কোনো পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারবে।’

এদিকে তাজুল ইসলামের পোস্ট শেয়ার করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য কোর্টরুমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করা হয়েছে বলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। ট্রায়ালের যেকোনও পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারবে।

আমার অভিমত, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত।

 

এতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। বিচার নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ হবে। বিচারকের অনুমতিক্রমে সম্প্রচার করার বিধান করা হলে, বিচারকরা বিতর্কিত হতে পারেন। কোন অংশটুকু সম্প্রচারযোগ্য তা নির্ধারণ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া এত বড় একটা বিচার তো স্বচক্ষে দেখার অধিকার সাধারণ মানুষের আছে।’

 

‘একইসঙ্গে বাংলাদেশের সব আদালতের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত। এতে বিচার বিভাগের দুর্নীতি কমে যাবে। টাউট উচ্ছেদ হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে।’ আইন পেশার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বাড়বে বলেও জানান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অনুমতি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যেকোনও পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা যাবে।

মঙ্গলবার (২০ মে) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। তাজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য কোর্ট রুম ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যে কোনো পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারবে।’

এদিকে তাজুল ইসলামের পোস্ট শেয়ার করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য কোর্টরুমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করা হয়েছে বলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। ট্রায়ালের যেকোনও পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হতে পারবে।

আমার অভিমত, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত।

 

এতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। বিচার নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ হবে। বিচারকের অনুমতিক্রমে সম্প্রচার করার বিধান করা হলে, বিচারকরা বিতর্কিত হতে পারেন। কোন অংশটুকু সম্প্রচারযোগ্য তা নির্ধারণ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া এত বড় একটা বিচার তো স্বচক্ষে দেখার অধিকার সাধারণ মানুষের আছে।’

 

‘একইসঙ্গে বাংলাদেশের সব আদালতের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত। এতে বিচার বিভাগের দুর্নীতি কমে যাবে। টাউট উচ্ছেদ হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে।’ আইন পেশার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বাড়বে বলেও জানান ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।