বিদেশের খবর: ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চালানো ভয়াবহ সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজাতে অবরোধও জারি রেখেছে। ফলে গাজায় বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল মানবিক ও ত্রাণসহায়তা ঢুকতে না দেওয়ায় সেখানে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে; সৃষ্টি হয়েছে মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজার বাসিন্দাদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, আমরা গাজার মানুষকে অনাহারে থাকতে দিতে পারি না; এমনকি গাজায় মানবিক বিপর্যয় এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে- যা সহ্য করা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের ‘পুনর্গঠন চুক্তি’ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্টারমার বলেন, গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই। নিরীহ শিশুদের ওপর বারবার বোমাবর্ষণ- এই দুর্ভোগ একেবারেই অসহনীয়। তিনি বলেন, গাজায় নিরপরাধ শিশুদের ওপর চলমান বোমাবর্ষণ এবং মানবিক বিপর্যয় এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে- যা সহ্য করা যায় না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘গাজার মানুষদের অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।’
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ঘোষণায় বলা হয়, তারা কেবল সীমিত পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। এই প্রসঙ্গে স্টারমার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এই সহায়তার পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে অপর্যাপ্ত- এটা মেনে নেওয়া যায় না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো- যখন আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বারবার গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি এবং চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ