ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

অনলাইন হাটে এবার বিক্রি কম

  • আপডেট সময় : ০২:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন বছর আগে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ফেইসবুকে একটি পেইজ খুলেছিলেন কুমিল্লার সানজীদা আক্তার। মহামারীর মধ্যে গত দুই বছর ক্রেতাদের কাছ থেকে সাড়াও পেয়েছিলেন ভালো। এ বছরের কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে এলেও আগের মত সাড়া তিনি পাচ্ছেন না। সাতক্ষীরার সুলতান এগ্রোর রুবায়েত আহমেদ এ বছরই প্রথম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিজের খামারের গরু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে খামারের প্রায় সব গরু বিক্রিও হয়ে গেছে, তবে অনলাইনে তিনি ক্রেতা পাননি, খামারে এসেই ক্রেতারা কিনে নিয়ে গেছেন। উদ্যোক্তাসহ এ খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির এই চিত্র সারা দেশেই মোটামুটি কাছাকাছি। এর সম্ভাব্য দুটি কারণও তাদের কথায় এসেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক এখন আর আগের মত নেই। ফলে সুযোগ যেখানে আছে, সেখানে খামারে কিংবা হাটে গিয়েই পশু কিনতে চাইছেন ক্রেতারা। আর দ্বিতীয় কারণটি হল আস্থার সঙ্কট, কারণ গত দুই বছর অনলাইনে গরু কেনার অভিজ্ঞতা সবার ভালো নয়। তবে লাভ যে একেবারে হচ্ছে না তা নয়। অনলাইনে বিক্রি কম হলেও প্রচারের কাজটা ভালো হচ্ছে বলে জানালেন কয়েকজন খামারি। আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশে উদযাপিত হবে কোরবানির ঈদ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে মোট ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৩২ জন খামারির কাছে এক কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। আর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৫টির। কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯৭টি গরু, ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৪টি মহিষ, ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৫টি ছাগল, ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৮২টি ভেড়া এবং ১ হাজার ৪০৯টি অন্যান্য পশু রয়েছে। সানজু-শফিক এগ্রো’র উদ্যোক্তা সানজীদা আক্তার জানান, গত বছর তার খামারের ১৩টি গরু ঈদের আগে অনলাইনে বিক্রি হয়েছিল। এবার এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র তিনটা। “ক্রেতারা সবাই দেখে নিতে চাইছেন। আমরা যেহেতু হোম ডেলিভারি দিই নিজ দায়িত্বে, সেজন্য আশা করেছিলাম এবারও ভালো সাড়া পাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশানুরূপ সাড়া পাইনি।” সাতক্ষীরার রুবায়েত আহমেদ জানালেন, তার খামারের গরু তিনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজে দিয়েছিলেন বিক্রির জন্য। “এখনও সেখানে কোনো ক্রেতা পাইনি। ভেবেছিলাম অনলাইনে ভালো সাড়া পাব। কিন্তু আমার খামারের প্রায় সব গরু সরাসরি বিক্রি হয়ে গেছে।” ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, গতবছর অনলাইন হাট থেকে বেচাকেনা হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার গরু-ছাগল ও অন্যান্য পশু।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

অনলাইন হাটে এবার বিক্রি কম

আপডেট সময় : ০২:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন বছর আগে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ফেইসবুকে একটি পেইজ খুলেছিলেন কুমিল্লার সানজীদা আক্তার। মহামারীর মধ্যে গত দুই বছর ক্রেতাদের কাছ থেকে সাড়াও পেয়েছিলেন ভালো। এ বছরের কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে এলেও আগের মত সাড়া তিনি পাচ্ছেন না। সাতক্ষীরার সুলতান এগ্রোর রুবায়েত আহমেদ এ বছরই প্রথম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিজের খামারের গরু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে খামারের প্রায় সব গরু বিক্রিও হয়ে গেছে, তবে অনলাইনে তিনি ক্রেতা পাননি, খামারে এসেই ক্রেতারা কিনে নিয়ে গেছেন। উদ্যোক্তাসহ এ খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির এই চিত্র সারা দেশেই মোটামুটি কাছাকাছি। এর সম্ভাব্য দুটি কারণও তাদের কথায় এসেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক এখন আর আগের মত নেই। ফলে সুযোগ যেখানে আছে, সেখানে খামারে কিংবা হাটে গিয়েই পশু কিনতে চাইছেন ক্রেতারা। আর দ্বিতীয় কারণটি হল আস্থার সঙ্কট, কারণ গত দুই বছর অনলাইনে গরু কেনার অভিজ্ঞতা সবার ভালো নয়। তবে লাভ যে একেবারে হচ্ছে না তা নয়। অনলাইনে বিক্রি কম হলেও প্রচারের কাজটা ভালো হচ্ছে বলে জানালেন কয়েকজন খামারি। আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশে উদযাপিত হবে কোরবানির ঈদ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে মোট ৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৩২ জন খামারির কাছে এক কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। আর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৫টির। কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯৭টি গরু, ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৪টি মহিষ, ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৫টি ছাগল, ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৮২টি ভেড়া এবং ১ হাজার ৪০৯টি অন্যান্য পশু রয়েছে। সানজু-শফিক এগ্রো’র উদ্যোক্তা সানজীদা আক্তার জানান, গত বছর তার খামারের ১৩টি গরু ঈদের আগে অনলাইনে বিক্রি হয়েছিল। এবার এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র তিনটা। “ক্রেতারা সবাই দেখে নিতে চাইছেন। আমরা যেহেতু হোম ডেলিভারি দিই নিজ দায়িত্বে, সেজন্য আশা করেছিলাম এবারও ভালো সাড়া পাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশানুরূপ সাড়া পাইনি।” সাতক্ষীরার রুবায়েত আহমেদ জানালেন, তার খামারের গরু তিনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজে দিয়েছিলেন বিক্রির জন্য। “এখনও সেখানে কোনো ক্রেতা পাইনি। ভেবেছিলাম অনলাইনে ভালো সাড়া পাব। কিন্তু আমার খামারের প্রায় সব গরু সরাসরি বিক্রি হয়ে গেছে।” ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, গতবছর অনলাইন হাট থেকে বেচাকেনা হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার গরু-ছাগল ও অন্যান্য পশু।