ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

অনলাইন প্রতারণায় বাংলাদেশিদের ব্যবহার করছে চাইনিজরা

  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইনে জুয়া, পণ্য বিক্রি ও মার্কেটিং সাইট খুলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছিল চীনা নাগরিকদের একটি চক্র। এক্ষেত্রে তারা চীনে অধ্যায়ন করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নানাভাবে কাজে লাগায়। পরে বিকাশ, নগদের মতো অর্থ প্লাটফর্মের মাধ্যমে টাকা নিয়ে সেসব ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রান্সফার করে নিত। চক্রের ১২ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন-রাতুল, রাজু ও মামুন।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এই তিনজন ছাড়াও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে চাইনিজরা বিভিন্ন প্রতারণার কাজ করছে। তাদের কাজে লাগিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তবে মূল হোতারা এখনো অধরা। তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির নিজ কাযালয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, চাইনিজরা যেহেতু এ দেশের ভাষা জানে না। তাই তারা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যারা সেখানে পড়তে যাচ্ছে (বিশেষ করে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়) তাদের কাজে লাগাচ্ছে। কিছু শিক্ষার্থীকে সেখানেই, আবার কিছু শিক্ষার্থীকে দেশে পাঠিয়ে এই কাজ করছে চীনারা। প্রতারণার অর্থ নিতে বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয় সেই কাজটি সারছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। আর যেসব শিক্ষার্থী এসব কাজ করছেন তারা সাময়িক লাভের আশায় এসব করছেন। গোয়েন্দাপ্রধান আরও বলেন, আমরা যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি তারা সেখানে গিয়েছিল এবং সেই দেশের ভাষা শিখেছে। চক্রটির সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। তাদের মূলহোতা হলেন একজন চাইনিজ। তার নাম চিংচং। তিনি চায়নায় একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় তারা কিছু মানুষকে প্রলোভন দেখান। স্বল্প সময়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আয় করে সেই টাকা আবার তারা ক্রিক্টোকারেন্সির মাধ্যমে চায়নায় পাঠাতো। তারা মার্কেটিং সাইট, বেটিং (জুয়া) সাইট খুলে প্রতারণা করতো। হারুন বলেন, তারা এই কাজে ৭০ থেকে ৮০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতেন। বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাগুলো নিয়ে পরে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে চায়নায় পাঠিয়ে দিত। এরপর সেই মোবাইলগুলো তারা বন্ধ করে দিত। তিনি জানান, এই চাইনিজদের অনেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন গার্মেন্টসেও চাকরি করেন,

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন প্রতারণায় বাংলাদেশিদের ব্যবহার করছে চাইনিজরা

আপডেট সময় : ০১:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইনে জুয়া, পণ্য বিক্রি ও মার্কেটিং সাইট খুলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছিল চীনা নাগরিকদের একটি চক্র। এক্ষেত্রে তারা চীনে অধ্যায়ন করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নানাভাবে কাজে লাগায়। পরে বিকাশ, নগদের মতো অর্থ প্লাটফর্মের মাধ্যমে টাকা নিয়ে সেসব ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রান্সফার করে নিত। চক্রের ১২ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন-রাতুল, রাজু ও মামুন।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এই তিনজন ছাড়াও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে চাইনিজরা বিভিন্ন প্রতারণার কাজ করছে। তাদের কাজে লাগিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তবে মূল হোতারা এখনো অধরা। তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির নিজ কাযালয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, চাইনিজরা যেহেতু এ দেশের ভাষা জানে না। তাই তারা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যারা সেখানে পড়তে যাচ্ছে (বিশেষ করে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়) তাদের কাজে লাগাচ্ছে। কিছু শিক্ষার্থীকে সেখানেই, আবার কিছু শিক্ষার্থীকে দেশে পাঠিয়ে এই কাজ করছে চীনারা। প্রতারণার অর্থ নিতে বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয় সেই কাজটি সারছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। আর যেসব শিক্ষার্থী এসব কাজ করছেন তারা সাময়িক লাভের আশায় এসব করছেন। গোয়েন্দাপ্রধান আরও বলেন, আমরা যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি তারা সেখানে গিয়েছিল এবং সেই দেশের ভাষা শিখেছে। চক্রটির সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। তাদের মূলহোতা হলেন একজন চাইনিজ। তার নাম চিংচং। তিনি চায়নায় একটি সার্ভার স্থাপন করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় তারা কিছু মানুষকে প্রলোভন দেখান। স্বল্প সময়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আয় করে সেই টাকা আবার তারা ক্রিক্টোকারেন্সির মাধ্যমে চায়নায় পাঠাতো। তারা মার্কেটিং সাইট, বেটিং (জুয়া) সাইট খুলে প্রতারণা করতো। হারুন বলেন, তারা এই কাজে ৭০ থেকে ৮০টি মোবাইল সিম ব্যবহার করতেন। বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাগুলো নিয়ে পরে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে চায়নায় পাঠিয়ে দিত। এরপর সেই মোবাইলগুলো তারা বন্ধ করে দিত। তিনি জানান, এই চাইনিজদের অনেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন গার্মেন্টসেও চাকরি করেন,