ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

অনলাইন জুয়া খেলে চার মাসে চার কোটি টাকা পাচার : সিআইডি

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইন জুয়ার সাইট পরিচালনা করে বা জুয়া খেলে দেশ থেকে চার মাসে চার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে একটি চক্র। এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ।
এই চক্রের গ্রেপ্তারকৃত তিন বাংলাদেশি এজেন্ট হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুল্লাহ আল আউয়াল ও মো. তোরাফ হোসেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, চারটি এজেন্ট সিম, দুটি মার্চেন্ট সিম, নগদের একটি ডিএসও সিম, দুটি পার্সোনাল সিমসহ মোট ১২টি সিম ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। সিআইডি জানায়, জুয়ার ওয়েবসাইটটি রাশিয়া থেকে পরিচালিত হতো। এই সাইট দেশের গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত অল্পশিক্ষিত থেকে শুরু করে অর্ধশিক্ষিত পর্যন্ত মানুষ খেলছেন। গত চার মাসে চক্রটি দেশ থেকে চার কোটি টাকা পাচার করেছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত মনিটরিংকালে একটি বেটিং সাইট নজরে আসে। সেখানে অনলাইনে বেটিং করা হয় বা জুয়া খেলা হয়। এ বিষয়ে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে সাইটটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে শনাক্ত করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অনলাইন জুয়ার সাইট যেভাবে পরিচালিত হয়:
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর/ইমেইলের মাধ্যমে এই বেটিং সাইটে বা অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন। অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি হয় যাকে জুয়াড়িরা ইউএসডিটি বলে। শুরুতে এর ব্যালান্স শূন্য থাকে। ওয়ালেটে ব্যালান্স যোগ করার জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে। এর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং ট্রাস্ট এজিয়াটা অন্যতম। এগুলোর যে কোনো একটি বেছে নিলে সেখানে একটি এজেন্ট নম্বর দেখায় যেখানে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ই-ওয়ালেট বা ইউএসডিটি ব্যালান্স যুক্ত হয়ে যায়। এ টাকা অথবা ব্যালান্স দিয়ে তিনি পরবর্তীতে জুয়া খেলতে পারেন। বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্টরা জমাকৃত টাকা তুলে ওই টাকা বাইন্যান্স নামক মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে কনভার্ট করেন। পরে বাইন্যান্সের মাধ্যমে এই টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়। গ্রেপ্তার এই তিনজন গত চার মাসে বাংলাদেশ থেকে চার কোটি টাকা পাচার করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অনলাইন জুয়া খেলে চার মাসে চার কোটি টাকা পাচার : সিআইডি

আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইন জুয়ার সাইট পরিচালনা করে বা জুয়া খেলে দেশ থেকে চার মাসে চার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে একটি চক্র। এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ।
এই চক্রের গ্রেপ্তারকৃত তিন বাংলাদেশি এজেন্ট হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুল্লাহ আল আউয়াল ও মো. তোরাফ হোসেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, চারটি এজেন্ট সিম, দুটি মার্চেন্ট সিম, নগদের একটি ডিএসও সিম, দুটি পার্সোনাল সিমসহ মোট ১২টি সিম ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। সিআইডি জানায়, জুয়ার ওয়েবসাইটটি রাশিয়া থেকে পরিচালিত হতো। এই সাইট দেশের গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত অল্পশিক্ষিত থেকে শুরু করে অর্ধশিক্ষিত পর্যন্ত মানুষ খেলছেন। গত চার মাসে চক্রটি দেশ থেকে চার কোটি টাকা পাচার করেছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত মনিটরিংকালে একটি বেটিং সাইট নজরে আসে। সেখানে অনলাইনে বেটিং করা হয় বা জুয়া খেলা হয়। এ বিষয়ে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে সাইটটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে শনাক্ত করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অনলাইন জুয়ার সাইট যেভাবে পরিচালিত হয়:
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর/ইমেইলের মাধ্যমে এই বেটিং সাইটে বা অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন। অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি হয় যাকে জুয়াড়িরা ইউএসডিটি বলে। শুরুতে এর ব্যালান্স শূন্য থাকে। ওয়ালেটে ব্যালান্স যোগ করার জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে। এর মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং ট্রাস্ট এজিয়াটা অন্যতম। এগুলোর যে কোনো একটি বেছে নিলে সেখানে একটি এজেন্ট নম্বর দেখায় যেখানে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ই-ওয়ালেট বা ইউএসডিটি ব্যালান্স যুক্ত হয়ে যায়। এ টাকা অথবা ব্যালান্স দিয়ে তিনি পরবর্তীতে জুয়া খেলতে পারেন। বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্টরা জমাকৃত টাকা তুলে ওই টাকা বাইন্যান্স নামক মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে কনভার্ট করেন। পরে বাইন্যান্সের মাধ্যমে এই টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়। গ্রেপ্তার এই তিনজন গত চার মাসে বাংলাদেশ থেকে চার কোটি টাকা পাচার করেছে।