ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

অনলাইন জুয়ার হোতা ৬০ জনের খোঁজে পুলিশ

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইন জুয়ার কারণে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বা পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে এবং এই জুয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জুয়ার ওয়েবসাইটগুলো ভারতসহ তিনটি দেশ থেকে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে এর সঙ্গে জড়িত ৫০ থেকে ৬০ জনকে খুঁজছে পুলিশ।
অনলাইন জুয়া কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানের দায়িত্বে থাকা এ কর্মকর্তা গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘দেশে ব্যবহৃত জুয়ার ওয়েবসাইটগুলো রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে পরিচালিত হয়। আমাদের দেশে যারা থাকেন তারা মাস্টার এজেন্ট। বিদেশে যারা পরিচালনা করেন, তারা সুপার এজেন্ট। যখন আইপিএল ও বিপিএল খেলাগুলো চলে তখন তারা বাজি ধরে।’
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনলাইন জুয়ার দেশীয় মাস্টার এজেন্টসহ তিন ব্যক্তিকে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন— তরিকুল ইসলাম বাবু (২৮), রানা হামিদ (২৬) ও সুমন মিয়া (২৫)। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই আসামিদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, নগদ ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, চারটি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, পাঁচটি সিম কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ২৩টি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। পুলিশ বলছে, এই ব্যক্তিরা দেশে বিভিন্ন লিংকের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া পরিচালনা করতেন। ভারত, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে এই অনলাইন জুয়ার এডমিন (মূল নিয়ন্ত্রণ) পরিচালনা করা হতো। চক্রটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। তরিকুল রানা ও সুমন অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে গাড়ি-বাড়ি-জমি করেছে।
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘এ চক্রটির আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এখনও ৫০ থেকে ৬০ জন পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এখন পর্যন্ত চক্রটি কত টাকা পাচার করেছে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এই চক্রটি। জুয়ার ওয়েবসাইটগুলোর এডমিন রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতে। বিটিআরসির মাধ্যমে আমরা ওয়েবসাইটগুলো বন্ধের চেষ্টা করবো। এ ক্ষেত্রে মনিটরিং বাড়াতে হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ম না মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ

অনলাইন জুয়ার হোতা ৬০ জনের খোঁজে পুলিশ

আপডেট সময় : ০২:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইন জুয়ার কারণে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বা পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে এবং এই জুয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জুয়ার ওয়েবসাইটগুলো ভারতসহ তিনটি দেশ থেকে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে এর সঙ্গে জড়িত ৫০ থেকে ৬০ জনকে খুঁজছে পুলিশ।
অনলাইন জুয়া কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। গোয়েন্দা পুলিশের প্রধানের দায়িত্বে থাকা এ কর্মকর্তা গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘দেশে ব্যবহৃত জুয়ার ওয়েবসাইটগুলো রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে পরিচালিত হয়। আমাদের দেশে যারা থাকেন তারা মাস্টার এজেন্ট। বিদেশে যারা পরিচালনা করেন, তারা সুপার এজেন্ট। যখন আইপিএল ও বিপিএল খেলাগুলো চলে তখন তারা বাজি ধরে।’
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনলাইন জুয়ার দেশীয় মাস্টার এজেন্টসহ তিন ব্যক্তিকে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন— তরিকুল ইসলাম বাবু (২৮), রানা হামিদ (২৬) ও সুমন মিয়া (২৫)। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই আসামিদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, নগদ ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, চারটি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, পাঁচটি সিম কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৩টি অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ২৩টি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। পুলিশ বলছে, এই ব্যক্তিরা দেশে বিভিন্ন লিংকের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া পরিচালনা করতেন। ভারত, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে এই অনলাইন জুয়ার এডমিন (মূল নিয়ন্ত্রণ) পরিচালনা করা হতো। চক্রটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। তরিকুল রানা ও সুমন অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে গাড়ি-বাড়ি-জমি করেছে।
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘এ চক্রটির আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এখনও ৫০ থেকে ৬০ জন পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এখন পর্যন্ত চক্রটি কত টাকা পাচার করেছে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এই চক্রটি। জুয়ার ওয়েবসাইটগুলোর এডমিন রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতে। বিটিআরসির মাধ্যমে আমরা ওয়েবসাইটগুলো বন্ধের চেষ্টা করবো। এ ক্ষেত্রে মনিটরিং বাড়াতে হবে।’