ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

অনতিবিলম্বে ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় এনসিপি

  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনতিবিলম্বে ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। এছাড়া বিএনপিপন্থি আখ্যা দিয়ে আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার পদত্যাগে বাধ্য করানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে এনসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা। এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য আল আমিন টুটুল বলেন, জনভোগান্তির আন্দোলন করে জনগণকে পাশে পাবেন না। এক দল চলে গেছে, আরেক দল খাওয়ার অপেক্ষায়। আমরা চাই স্থানীয় নির্বাচন, যাতে সবাই নাগরিক সুবিধা পায়।

বেলা সাড়ে ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়। এর আগে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নির্বাচন ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। তবে দুপুর দেড়টায় পুলিশ বেস্টনি অতিক্রম করে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় মৃদু উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এরপরই কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হন। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ছাড়াও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সরোয়ার তুষারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে কলাবাগান প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, বর্তমান ইসি প্রশ্নবিদ্ধ কাজ করছে, অবৈধ আইনে গঠিত হয়েছে। আমরা এ ইসি পুনর্গঠনের দাবি জানাই। দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আবু আবদুল্লাহ বলেন, অবৈধ উপায়ে গঠিত এ ইসি মেনে নেব না। পল্লবী থানা শাখার রেহানা আক্তার রুমা বলেন, আমরা এখানে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। এ ইসির পরিবর্তন চাইছি।

রমনা থানা শাখার নারী প্রতিনিধি ডা. ইশরাত জাহান বলেন, আমি একজন মা, এখানে উপস্থিত হয়েছি। বড় দলগুলোর ব্যর্থতায় আমরা এনসিপিতে যোগ দিয়েছি। এ ইসিকে ধিক্কার জানাই, তারা একটি বড় দলকে সাপোর্ট করছে।

‘আপনারা বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না। প্রয়োজনে আমরা মায়েরা পদত্যাগের দাবিতে বসে যাবো।’

মিরপুর মডেল থানার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ সারা দেশের মানুষের একই চাওয়া-ঢাকা দক্ষিণ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইসির পদত্যাগ চাই। ইসি পুনর্গঠন চাই। উত্তরা পূর্ব থানার প্রতিনিধি মাহিন সরকার বলেন, ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিতে হবে। এ ইসি হাসিনা সরকারের মতো চলছে। নতুন ইসি দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন দিন, এর আগে জাতীয় নির্বাচনের আলাপ হবে না।

ধানমন্ডি থানা শাখার প্রতিনিধি জসিম নায়েদ বলেন, দেশে কোনো স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি। আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি চেয়েছিলাম। একটি দল পেট ভরতে যা লাগে করছে। …এ আট মাস ধরে সেবা পাচ্ছে না জনগণ। এজন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার।

গেন্ডারিয়ার প্রতিনিধি কামরুল হাসান বলেন, হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আপনাদের উৎখাতে ১৫ সেকেন্ডও লাগবে না, পালাবেন কোথায়?

মোহাম্মদপুরের প্রতিনিধি আবু সুফিয়ান বলেন, এটা গণদাবি। ইসি পুনর্গঠন হলে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে। তাই নতুন ইসি চাই।

এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।

আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি: বিএনপিপন্থি আখ্যা দিয়ে আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।

বুধবার (২১মে) এসব দাবি নিয়ে সকাল থেকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির মহানগর উত্তর শাখা। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে এই বিতর্কিত কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনের সবার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। কমিশন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন বিএনপির মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছে। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। এতে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।
২০২২ সালের নির্বাচনি আইনে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, হাসিনা রেজিমের তিনটি জালিয়াতির নির্বাচনে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাদের অবিলম্বে অপসারণ করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে ছাত্র-জনতা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এ কমিশন পুনর্গঠন না করে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তিনি পুনর্গঠনের পর টেস্ট কেস হিসেবে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে কমিশনকে ধ্বংস করেছে, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা পুরোপুরি পুনর্গঠন না করলে এনসিপি জাতীয় নির্বাচনে যাবে না।

নগর ভবনের সামনে অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের টাকায় আন্দোলন করছে বিএনপির লোকজন। সারা বাংলাদেশেই এমনটি চলছে। কুমিল্লায় এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় হাসনাত আব্দুল্লাহকে বিষোদগার করা হয়। তিনি ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সমালোচনা করে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশের অর্থনীতি গুড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কাজ করছেন। আইন মন্ত্রণালয় গুড়িয়ে দিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কাজ করছেন।
পাটোয়ারী বলেন, আসিফ নজরুল-সালেহউদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ চাইতে বাধ্য হবো। জনগণ যেভাবে ছুড়ে ফেলেছে আপনাদের ছুড়ে ফেলা হবে। ইসি পুনর্গঠন ছাড়া এনসিপি কোনো ভোট করতে দেবে না। ইসি বিএনপির দলীয় কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে। রক্তের ম্যানডেট নিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করতে পারেন না। ইসিকে আগে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় দালাল চক্র দখল করছে। উপদেষ্টা প্যানেল থেকে বিএনপিপন্থিদের বের করে দেন। আমরা দেখতে চাই। বিএনপি লাশের রাজনীতি শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপি বড় বড় কথা বলে। আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপি নগর ভবন বন্ধ করছে। বাংলাদেশে মুজিবীয় সংবিধান চলবে না। তিনি আরো বলেন, সালেহউদ্দিন আপনি ভারতের দালাল হয়ে গেছেন। দেশ ধ্বংস করছেন। সালেহউদ্দিন ভারতের প্রেসক্রিপশনে কাজ করছে। আইন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আসিফ নজরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করছেন। জনগণের রক্তের সঙ্গে তিনি বেইমানি করছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র না দিলে আপনি দেশে থাকতে পারবেন না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

অনতিবিলম্বে ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় এনসিপি

আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনতিবিলম্বে ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। এছাড়া বিএনপিপন্থি আখ্যা দিয়ে আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার পদত্যাগে বাধ্য করানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে এনসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা। এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য আল আমিন টুটুল বলেন, জনভোগান্তির আন্দোলন করে জনগণকে পাশে পাবেন না। এক দল চলে গেছে, আরেক দল খাওয়ার অপেক্ষায়। আমরা চাই স্থানীয় নির্বাচন, যাতে সবাই নাগরিক সুবিধা পায়।

বেলা সাড়ে ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়। এর আগে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নির্বাচন ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। তবে দুপুর দেড়টায় পুলিশ বেস্টনি অতিক্রম করে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় মৃদু উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এরপরই কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হন। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ছাড়াও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সরোয়ার তুষারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে কলাবাগান প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, বর্তমান ইসি প্রশ্নবিদ্ধ কাজ করছে, অবৈধ আইনে গঠিত হয়েছে। আমরা এ ইসি পুনর্গঠনের দাবি জানাই। দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আবু আবদুল্লাহ বলেন, অবৈধ উপায়ে গঠিত এ ইসি মেনে নেব না। পল্লবী থানা শাখার রেহানা আক্তার রুমা বলেন, আমরা এখানে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। এ ইসির পরিবর্তন চাইছি।

রমনা থানা শাখার নারী প্রতিনিধি ডা. ইশরাত জাহান বলেন, আমি একজন মা, এখানে উপস্থিত হয়েছি। বড় দলগুলোর ব্যর্থতায় আমরা এনসিপিতে যোগ দিয়েছি। এ ইসিকে ধিক্কার জানাই, তারা একটি বড় দলকে সাপোর্ট করছে।

‘আপনারা বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না। প্রয়োজনে আমরা মায়েরা পদত্যাগের দাবিতে বসে যাবো।’

মিরপুর মডেল থানার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ সারা দেশের মানুষের একই চাওয়া-ঢাকা দক্ষিণ নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইসির পদত্যাগ চাই। ইসি পুনর্গঠন চাই। উত্তরা পূর্ব থানার প্রতিনিধি মাহিন সরকার বলেন, ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিতে হবে। এ ইসি হাসিনা সরকারের মতো চলছে। নতুন ইসি দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন দিন, এর আগে জাতীয় নির্বাচনের আলাপ হবে না।

ধানমন্ডি থানা শাখার প্রতিনিধি জসিম নায়েদ বলেন, দেশে কোনো স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি। আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি চেয়েছিলাম। একটি দল পেট ভরতে যা লাগে করছে। …এ আট মাস ধরে সেবা পাচ্ছে না জনগণ। এজন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার।

গেন্ডারিয়ার প্রতিনিধি কামরুল হাসান বলেন, হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আপনাদের উৎখাতে ১৫ সেকেন্ডও লাগবে না, পালাবেন কোথায়?

মোহাম্মদপুরের প্রতিনিধি আবু সুফিয়ান বলেন, এটা গণদাবি। ইসি পুনর্গঠন হলে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে। তাই নতুন ইসি চাই।

এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।

আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি: বিএনপিপন্থি আখ্যা দিয়ে আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী।

বুধবার (২১মে) এসব দাবি নিয়ে সকাল থেকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির মহানগর উত্তর শাখা। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে এই বিতর্কিত কমিশন গঠিত হয়েছে। কমিশনের সবার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। কমিশন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন বিএনপির মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছে। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। এতে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।
২০২২ সালের নির্বাচনি আইনে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, হাসিনা রেজিমের তিনটি জালিয়াতির নির্বাচনে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাদের অবিলম্বে অপসারণ করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে ছাত্র-জনতা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এ কমিশন পুনর্গঠন না করে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তিনি পুনর্গঠনের পর টেস্ট কেস হিসেবে স্থানীয় নির্বাচন দাবি করেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে কমিশনকে ধ্বংস করেছে, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা পুরোপুরি পুনর্গঠন না করলে এনসিপি জাতীয় নির্বাচনে যাবে না।

নগর ভবনের সামনে অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের টাকায় আন্দোলন করছে বিএনপির লোকজন। সারা বাংলাদেশেই এমনটি চলছে। কুমিল্লায় এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় হাসনাত আব্দুল্লাহকে বিষোদগার করা হয়। তিনি ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সমালোচনা করে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশের অর্থনীতি গুড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ কাজ করছেন। আইন মন্ত্রণালয় গুড়িয়ে দিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কাজ করছেন।
পাটোয়ারী বলেন, আসিফ নজরুল-সালেহউদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ চাইতে বাধ্য হবো। জনগণ যেভাবে ছুড়ে ফেলেছে আপনাদের ছুড়ে ফেলা হবে। ইসি পুনর্গঠন ছাড়া এনসিপি কোনো ভোট করতে দেবে না। ইসি বিএনপির দলীয় কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে। রক্তের ম্যানডেট নিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করতে পারেন না। ইসিকে আগে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় দালাল চক্র দখল করছে। উপদেষ্টা প্যানেল থেকে বিএনপিপন্থিদের বের করে দেন। আমরা দেখতে চাই। বিএনপি লাশের রাজনীতি শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপি বড় বড় কথা বলে। আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপি নগর ভবন বন্ধ করছে। বাংলাদেশে মুজিবীয় সংবিধান চলবে না। তিনি আরো বলেন, সালেহউদ্দিন আপনি ভারতের দালাল হয়ে গেছেন। দেশ ধ্বংস করছেন। সালেহউদ্দিন ভারতের প্রেসক্রিপশনে কাজ করছে। আইন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আসিফ নজরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা করছেন। জনগণের রক্তের সঙ্গে তিনি বেইমানি করছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র না দিলে আপনি দেশে থাকতে পারবেন না।