ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ পেলেন ঢাবির ১২ শিক্ষার্থী

  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯ সালের বি.এস.এস (সম্মান) পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ পেয়েছেন বিভাগটির ১২ শিক্ষার্থী।
গতকাল রোববার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সর্বোচ্চ ফলাফল (সিজিপিএ- ৩.৭০) নিয়ে প্রথম পুরস্কারে ভূষিত হন মিলি আক্তার। এছাড়াও বাকি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- রিতু কর্মকার, জান্নাতুল ইসলাম রিয়া, তাহুরা তাবাসসুম তরি, সুমাইয়া জাহিদ, মো. তরিকুল ইসলাম, টিপু সুলতান, সাইদুল ইসলাম, তানহা তাসনিম ইতি, ফারহানা আক্তার, মোছা. নুসরাত জাবিন বিভা, সুমাইয়া আরেফিন আর্নি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য আখতারুজ্জামান ও অতিথি বক্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম বক্তব্য রাখেন। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফোরদৌসের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা বিভিন্ন বৃত্তি, উপবৃত্তির কথা শুনে থাকি। কিন্তু এটার নাম পুরস্কার রাখার বিষয়টি অনন্য। ভালো কাজের বদলে যা দেওয়া হয় সচরাচর সেটাকে পুরস্কার বলা হয়। মানুষ ও মানবতার জন্য যখন আমরা কাজ করবো তখন সেটা ভালো কাজ বলে বিবেচিত হবে। আমি মনে করি, যারা সিতারা পারভিন পুরস্কার পেয়েছে তারা বড় রকমের চ্যালেঞ্জ মেকার হিসেবে এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সিতারা পারভীন যেরকম চেতনা ও মূল্যবোধ ধারণ করতেন, সেগুলোকে আমরা যদি ধারণ করতে পারি তাহলে সিতারা পারভিনের প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা সেটা কিছুটা হলেও আদায় করা সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সিতারা পারভীনের স্মৃতিচারণ করে বিভাগটির বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, তার কমিটমেন্টের কমতি ছিলো না। পাশাপাশি তার মানবিকতার জায়গাটা অনন্য ছিলো। কথা ও কাজে একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন। নানাসময় তিনি মানসিকভাবে আমাদের বিভিন্ন সহযোগিতা করতেন। যেসব শিক্ষার্থী ‘অধ্যাপক সিতারা পারভিন পুরস্কার’ পেয়েছেন তাদের জন্য এটা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। অধ্যাপক সিতারা পারভীনের স্বামী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রত্যক শিক্ষার্থীকে পুরস্করের চেয়ে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা করে দেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের মেয়ে এবং অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী অধ্যাপক সিতারা পারভীনের স্মরণে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। অধ্যাপক ড. সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার স্মৃতির উদ্দেশে পরিবারের পক্ষ থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়। প্রতিবছর বিভাগটির সম্মান শ্রেণিতে ভালো ফল অর্জনকারী ১০ শিক্ষার্থীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বিভাগটির বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রাক্তন শিক্ষকরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ পেলেন ঢাবির ১২ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ০১:১৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯ সালের বি.এস.এস (সম্মান) পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ পেয়েছেন বিভাগটির ১২ শিক্ষার্থী।
গতকাল রোববার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সর্বোচ্চ ফলাফল (সিজিপিএ- ৩.৭০) নিয়ে প্রথম পুরস্কারে ভূষিত হন মিলি আক্তার। এছাড়াও বাকি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- রিতু কর্মকার, জান্নাতুল ইসলাম রিয়া, তাহুরা তাবাসসুম তরি, সুমাইয়া জাহিদ, মো. তরিকুল ইসলাম, টিপু সুলতান, সাইদুল ইসলাম, তানহা তাসনিম ইতি, ফারহানা আক্তার, মোছা. নুসরাত জাবিন বিভা, সুমাইয়া আরেফিন আর্নি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য আখতারুজ্জামান ও অতিথি বক্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম বক্তব্য রাখেন। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফোরদৌসের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা বিভিন্ন বৃত্তি, উপবৃত্তির কথা শুনে থাকি। কিন্তু এটার নাম পুরস্কার রাখার বিষয়টি অনন্য। ভালো কাজের বদলে যা দেওয়া হয় সচরাচর সেটাকে পুরস্কার বলা হয়। মানুষ ও মানবতার জন্য যখন আমরা কাজ করবো তখন সেটা ভালো কাজ বলে বিবেচিত হবে। আমি মনে করি, যারা সিতারা পারভিন পুরস্কার পেয়েছে তারা বড় রকমের চ্যালেঞ্জ মেকার হিসেবে এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সিতারা পারভীন যেরকম চেতনা ও মূল্যবোধ ধারণ করতেন, সেগুলোকে আমরা যদি ধারণ করতে পারি তাহলে সিতারা পারভিনের প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা সেটা কিছুটা হলেও আদায় করা সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সিতারা পারভীনের স্মৃতিচারণ করে বিভাগটির বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, তার কমিটমেন্টের কমতি ছিলো না। পাশাপাশি তার মানবিকতার জায়গাটা অনন্য ছিলো। কথা ও কাজে একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন। নানাসময় তিনি মানসিকভাবে আমাদের বিভিন্ন সহযোগিতা করতেন। যেসব শিক্ষার্থী ‘অধ্যাপক সিতারা পারভিন পুরস্কার’ পেয়েছেন তাদের জন্য এটা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। অধ্যাপক সিতারা পারভীনের স্বামী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রত্যক শিক্ষার্থীকে পুরস্করের চেয়ে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা করে দেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের মেয়ে এবং অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী অধ্যাপক সিতারা পারভীনের স্মরণে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। অধ্যাপক ড. সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার স্মৃতির উদ্দেশে পরিবারের পক্ষ থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়। প্রতিবছর বিভাগটির সম্মান শ্রেণিতে ভালো ফল অর্জনকারী ১০ শিক্ষার্থীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বিভাগটির বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রাক্তন শিক্ষকরা।