ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট

অধ্যাপক ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ও অভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় শহীদ’ ঘোষণার নির্দেশ কেন নয়

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

হাইকোর্ট -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ ‘২৪- এর অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের ‘জাতীয় শহীদ’ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৪ জুলাই) এ রুল দেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা, ’২৪-এর অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ ও তাঁদের জাতীয় শহীদ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ইমদাদুল হক (হোয়াইট ম্যান) গত ফেব্রুয়ারি মাসে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

আদেশের পর আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের হাল ধরার জন্য সাহস করে এগিয়ে এসেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় আসার পর উনি বলেছেন, দেশটাকে বিনির্মাণ করে নতুন রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো। সে লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছেন। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কারে হাত দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেখলাম যে, এই প্রথম তিনি জাতীয় সংস্কার ও দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য এবং উনি নিজেই বলেছেন মালয়েশিয়া বা অন্যান্য উন্নত জাতির সঙ্গে তুলনা করার জন্য কাজ করতে চান।’

একমাত্র ফ্যাসিস্ট সরকারের দল ছাড়া সবাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাঁকে সমর্থন করেছে বলে উল্লেখ করে আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘মতামত নিয়েই সংস্কার কমিশন গঠন করে উনি (অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) সংস্কারকাজে হাত দিয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেক সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর সংস্কারের বিষয়গুলোতে একমত পোষণ করে তাঁকে আমরা জাতীয় সংস্কারক হিসেবে ঘোষণা চেয়ে রিটটি করা হয়। একই সঙ্গে যারা অভ্যুত্থানে নিহত, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ অন্যদের জাতীয় শহীদ হিসেবে ঘোষণা চাওয়া হয়। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে ওই রুল দিয়েছেন।’ জনপ্রশাসনসচিব, প্রতিরক্ষাসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, তথ্য ও সম্প্রচারসচিব, অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট

অধ্যাপক ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ও অভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় শহীদ’ ঘোষণার নির্দেশ কেন নয়

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ ‘২৪- এর অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের ‘জাতীয় শহীদ’ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৪ জুলাই) এ রুল দেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা, ’২৪-এর অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ ও তাঁদের জাতীয় শহীদ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ইমদাদুল হক (হোয়াইট ম্যান) গত ফেব্রুয়ারি মাসে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

আদেশের পর আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের হাল ধরার জন্য সাহস করে এগিয়ে এসেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় আসার পর উনি বলেছেন, দেশটাকে বিনির্মাণ করে নতুন রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো। সে লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছেন। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কারে হাত দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেখলাম যে, এই প্রথম তিনি জাতীয় সংস্কার ও দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য এবং উনি নিজেই বলেছেন মালয়েশিয়া বা অন্যান্য উন্নত জাতির সঙ্গে তুলনা করার জন্য কাজ করতে চান।’

একমাত্র ফ্যাসিস্ট সরকারের দল ছাড়া সবাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে তাঁকে সমর্থন করেছে বলে উল্লেখ করে আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘মতামত নিয়েই সংস্কার কমিশন গঠন করে উনি (অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) সংস্কারকাজে হাত দিয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেক সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর সংস্কারের বিষয়গুলোতে একমত পোষণ করে তাঁকে আমরা জাতীয় সংস্কারক হিসেবে ঘোষণা চেয়ে রিটটি করা হয়। একই সঙ্গে যারা অভ্যুত্থানে নিহত, আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ অন্যদের জাতীয় শহীদ হিসেবে ঘোষণা চাওয়া হয়। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে ওই রুল দিয়েছেন।’ জনপ্রশাসনসচিব, প্রতিরক্ষাসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, তথ্য ও সম্প্রচারসচিব, অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।