ক্রীড়া ডেস্ক: রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ভিনিসিয়ুসের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সৌদি আরবের ক্লাবগুলো থেকে বড় অংকের অফার পাচ্ছেন। যদিও স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাবটিতেই থাকতে চান ভিনিসিয়ুস। তবে রিয়ালের সঙ্গে বেতনের সমন্বয় করতে চান তিনি। ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের প্রত্যাশা, অতি শীঘ্রই বেতন সমন্বয় করে তার সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে রিয়াল। সোমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামার আগে এ প্রত্যাশা প্রকাশ করেন ভিনিসিয়ুস। ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইএসপিএন’ জানিয়েছে, সৌদি প্রো লিগ এখনও ভিনিসিয়ুসকে দলে নেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে।
তবে এ ফরোয়ার্ড মাদ্রিদেই থাকতে চান। তবে লা লিগার ক্লাবটির সঙ্গে গত মাসে এক বৈঠকের পর চুক্তির নবায়নের প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছেন ভিনি। ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘আমি খুবই শান্ত আছি। কারণ আমার ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে এবং আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব নতুন চুক্তি করতে পারবো।’ ‘আমি এখানে সুখে আছি, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলছি, সেরা কোচ (কার্লো আনচেলত্তি), সেরা সভাপতি (ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ), যেখানে সবাই আমাকে ভালোবাসে। এখানে ছাড়া অন্য কোথাও ভালো থাকতে পারবো না।’ ভিনিসিয়ুস রিয়ালের হয়ে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন—২০২২ এবং ২০২৪ সালের ফাইনালে গোলও করেছিলেন। এছাড়া তিনি গত বছর ফিফার দ্য বেস্ট মেনস প্লেয়ার পুরস্কারও জেতেন। ভিনিসিয়ুসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের নিশ্চয়তা দিতে পারবেন কিনা। উত্তরে ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘আমি এখানে ইতিহাস গড়তে এসেছি, এই ক্লাব আমাকে যা কিছু দিয়েছে তার জন্য (প্রস্তুত)।’ শৈশব থেকে রিয়ালের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন জানিয়ে ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘আশা করি আমি আরও গোল করতে পারবো, আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারবো এই জার্সি পরে। আমার শৈশবের স্বপ্ন ছিল এখানে খেলা। এখন আমি এখানে আরও অনেক কিছু জিততে চাই এবং এই ক্লাবের ইতিহাসের অংশ হতে চাই, যা অনেক কঠিন। কারণ এখানে অনেক মহান কিংবদন্তি খেলেছেন।’
সম্প্রতি লা লিগায় রেফারিদের নিয়ে রিয়ালের মাদ্রিদের অসন্তুষ্টি রয়েছে। ভিনিসিয়ুস মনে করেন, লা লিগার চেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেফারিরা খেলোয়াড়দের বেশি সুরক্ষা দেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপে রেফারিরা বিনোদন দেওয়া খেলোয়াড়দের বেশি সুরক্ষা দেয়। এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা এমন খেলোয়াড়দের শাস্তি দেয় যারা আমাদের লাথি মারে এবং খেলা থামিয়ে দেয়। আমরা রেফারিদের নিয়ে কথা বলতে চাই না, তবে এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’ অনেক সময় রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে কিংবা প্রতিপক্ষ দলের খেলেয়াড়দের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লাল বা হলুদ কার্ড দেখেন ভিনিসিয়ুস। এক্ষেত্রে বয়সের কারণেই মেজাজ হারান বলে মনে করেন তিনি। ভিনিসিয়ুস বলেন, ‘রেফারিরা অন্যদের কার্ড দেয় না, কিন্তু যখন আমি প্রথমবার অভিযোগ করি, তখনই আমি কার্ড পাই । আমি অনেক কিছু করি যা করা উচিত নয়। তবে আমি উন্নতি করছি, আমি (এখন) আরও শান্ত। মানুষ ভুলে যায় যে আমি মাত্র ২৪ বছরের।’ ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় রিয়াল। অনুষ্ঠানে রিয়ালের কেউ যাননি, ভিনিসিয়ুসও নয়। রদ্রি ব্যালন ডি’অর জিতলেও দ্বিতীয় হয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। তবুও কেন অনুষ্ঠানে গেলেন না তিনি? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি যা করি, তা ক্লাবের নির্দেশ অনুযায়ী (করি)। ক্লাব আমাকে মাদ্রিদে থাকতে বলেছিল এবং আমি থেকে গেছি (প্যারিসে যাইনি)।’