ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো জলবায়ু সম্মেলন

  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : গত শুক্রবার কপ২৬ সম্মেলনের পর্দা নামার কথা ছিল। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনে দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর চুক্তি চড়ূান্ত না হওয়ায় শনিবার পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের গ¬াসগোতে জলবায়ু সম্মেলনের চূড়ান্ত দিনে বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে সমাধানে না পৌঁছানোয় সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। আলোচকেরা যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার কারণে সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়। আলোচনাকারীদের শনিবার আবারও অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কপের প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ধনীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে এখনও ঐকমত্য হয়নি। চূড়ান্ত খসড়া চুক্তিটি আটকে যাওয়ায় সময় একদিন বাড়ানো হল। তবে এই প্রথমবার সম্মেলন পেছনো হয়নি, আগেও এমন ঘটনা ঘটে। সম্মেলনে যোগ দেওয়া সৌদি প্রতিনিধি আয়মান শাসলি বলেন, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়, এমন কোনও পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকবে তার দেশ।
শেষ মুহূর্তে খসড়া থেকে চূড়ান্ত চুক্তিতে যাওয়ার বিষয়ে কাজ করছেন সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি একক ভূমিকা রাখে কয়লা। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ১৯০টি দেশ ও সংস্থা কয়লার ব্যবহার ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কপ২৬-এ যে চুক্তির খসড়া প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কয়লা ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জোরালও বক্তব্য নেই বলে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
২০২২ সালে জলবায়ু সম্মেলন মিশরে : জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন কপ২৭ আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হবে মিশরে। দেশটির পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গত সেপ্টেম্বরে তার দেশে কপ২৭ আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশের ঘোষণা দেন। উত্তর আফ্রিকার দেশটির রেড সি রিসোর্ট শারম-ইল-শেখ-এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। স্কটল্যান্ডের গ-াসগোতে জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ২৬ চলছে। সেখানে জড়ো হয়েছেন বিশ্বনেতারা। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ নভেম্বর) জলবায়ু সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ও দিক নির্দেশনার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা, বন বিনাশের ইতি টানাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ২০২৩ সালে জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক টুইট বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল-মাকতুম। বহু বছর পর এটি হবে মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয়বার এবং ওপেকভুক্ত কোনও দেশে তৃতীয়বারের মতো বার্ষিক জলবায়ুবিষয়ক আলোচনা। এদিকে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় বাড়তি সময়ে গড়াল জাতিসংঘের কপ২৬ সম্মেলন। দুই সপ্তাহব্যাপী সম্মেলন শুক্রবার (১২ নভেম্বর) শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও শনিবারও (১৩ নভেম্বর) আলোচনায় বসতে হচ্ছে সমঝোতাকারীদের। সূত্র: রয়টার্স

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো জলবায়ু সম্মেলন

আপডেট সময় : ১২:৪৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : গত শুক্রবার কপ২৬ সম্মেলনের পর্দা নামার কথা ছিল। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনে দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর চুক্তি চড়ূান্ত না হওয়ায় শনিবার পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের গ¬াসগোতে জলবায়ু সম্মেলনের চূড়ান্ত দিনে বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে সমাধানে না পৌঁছানোয় সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। আলোচকেরা যুক্তিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার কারণে সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়। আলোচনাকারীদের শনিবার আবারও অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কপের প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ধনীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে এখনও ঐকমত্য হয়নি। চূড়ান্ত খসড়া চুক্তিটি আটকে যাওয়ায় সময় একদিন বাড়ানো হল। তবে এই প্রথমবার সম্মেলন পেছনো হয়নি, আগেও এমন ঘটনা ঘটে। সম্মেলনে যোগ দেওয়া সৌদি প্রতিনিধি আয়মান শাসলি বলেন, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়, এমন কোনও পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকবে তার দেশ।
শেষ মুহূর্তে খসড়া থেকে চূড়ান্ত চুক্তিতে যাওয়ার বিষয়ে কাজ করছেন সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি একক ভূমিকা রাখে কয়লা। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ১৯০টি দেশ ও সংস্থা কয়লার ব্যবহার ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কপ২৬-এ যে চুক্তির খসড়া প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কয়লা ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জোরালও বক্তব্য নেই বলে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
২০২২ সালে জলবায়ু সম্মেলন মিশরে : জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন কপ২৭ আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হবে মিশরে। দেশটির পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গত সেপ্টেম্বরে তার দেশে কপ২৭ আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশের ঘোষণা দেন। উত্তর আফ্রিকার দেশটির রেড সি রিসোর্ট শারম-ইল-শেখ-এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। স্কটল্যান্ডের গ-াসগোতে জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ২৬ চলছে। সেখানে জড়ো হয়েছেন বিশ্বনেতারা। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ নভেম্বর) জলবায়ু সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ও দিক নির্দেশনার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা, বন বিনাশের ইতি টানাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ২০২৩ সালে জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক টুইট বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল-মাকতুম। বহু বছর পর এটি হবে মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয়বার এবং ওপেকভুক্ত কোনও দেশে তৃতীয়বারের মতো বার্ষিক জলবায়ুবিষয়ক আলোচনা। এদিকে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় বাড়তি সময়ে গড়াল জাতিসংঘের কপ২৬ সম্মেলন। দুই সপ্তাহব্যাপী সম্মেলন শুক্রবার (১২ নভেম্বর) শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও শনিবারও (১৩ নভেম্বর) আলোচনায় বসতে হচ্ছে সমঝোতাকারীদের। সূত্র: রয়টার্স