ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অতিরিক্ত শুল্কারোপ বেনাপোল বন্দরে ফল আমদানি বন্ধ

  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

যশোর সংবাদদাতা : ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এতে ফল আমদানিতে ধস নামতে শুরু করেছে। ফলে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে কোন ধরনের ফল ভারত থেকে আমদানি করা হবে না- বলে জানিয়েছেন বেনাপোল আমদানি ও রফফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন।

এদিকে গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন ফল আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে। কাস্টমসের সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে অর্ধেকেরও নীচে নেমে এসেছে। এই বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ফল আমদানি থেকে প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হত। সেটি বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটিতে। ফল আমদানিকারক লাইবা ওভারসিজ বলছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসে ফল আমদানির খাত থেকে। আর মাত্র কয়েকদিন আছে পবিত্র রমজানের।

দেশে রমজান মাসে ফলের চাহিদা একটু বেশি। রমজানের আগে ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক কর আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হত। সেটি গতকাল পর্যন্ত ২০ থেকে ২২ ট্রাকে এসে নেমেছে। হঠাৎ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত মাসের ১৩ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০শতাংশ করে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানি করা ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে সব প্রকার ফলের। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যবসায়ীরা আগের মতো ফল আমদানি করতে পারছে না। আসন্ন রমজানে ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারন ক্রেতারা। আমদানি ও রফতানিকারক সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘ফল আমদানিতে সরকার হঠাৎ করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ওপরে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, গত মাস থেকে ভারত হতে বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি কমে গেছে। এর ওপর সরকার আবার অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় ফল আমদানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

যার ফলে ফল আমদানি একদম শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ফল আমদানি কারকরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছে। চিঠির কোন উত্তর আমরা পায়নি। এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা পেলে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অতিরিক্ত শুল্কারোপ বেনাপোল বন্দরে ফল আমদানি বন্ধ

আপডেট সময় : ০৭:০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোর সংবাদদাতা : ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এতে ফল আমদানিতে ধস নামতে শুরু করেছে। ফলে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে কোন ধরনের ফল ভারত থেকে আমদানি করা হবে না- বলে জানিয়েছেন বেনাপোল আমদানি ও রফফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন।

এদিকে গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন ফল আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে। কাস্টমসের সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে অর্ধেকেরও নীচে নেমে এসেছে। এই বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ফল আমদানি থেকে প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হত। সেটি বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটিতে। ফল আমদানিকারক লাইবা ওভারসিজ বলছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসে ফল আমদানির খাত থেকে। আর মাত্র কয়েকদিন আছে পবিত্র রমজানের।

দেশে রমজান মাসে ফলের চাহিদা একটু বেশি। রমজানের আগে ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক কর আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হত। সেটি গতকাল পর্যন্ত ২০ থেকে ২২ ট্রাকে এসে নেমেছে। হঠাৎ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত মাসের ১৩ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০শতাংশ করে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানি করা ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে সব প্রকার ফলের। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যবসায়ীরা আগের মতো ফল আমদানি করতে পারছে না। আসন্ন রমজানে ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারন ক্রেতারা। আমদানি ও রফতানিকারক সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘ফল আমদানিতে সরকার হঠাৎ করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ওপরে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানান, গত মাস থেকে ভারত হতে বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি কমে গেছে। এর ওপর সরকার আবার অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায় ফল আমদানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

যার ফলে ফল আমদানি একদম শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ফল আমদানি কারকরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছে। চিঠির কোন উত্তর আমরা পায়নি। এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা পেলে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’