ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে

  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১
  • ২৩১ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডে¯ ‹ : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখতে চাইলে কমাতে হবে লবণ খাওয়ার পরিমাণ। খাবার সঙ্গে বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। তাছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবারে যে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে একথা এখন প্রায় সবারই জানা। অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্ত চাপের ঝুঁকি বাড়ায়। স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। যা থেকে হতে পারে হৃদরোগ ও স্ট্রোক। এসব এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য। তবে নতুন তথ্য হল অতিরিক্ত লবণ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে। আর এই মহামারীর সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমুন্নত রাখা যে জরুরি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এরকম তথ্যই দিয়েছেন ‘বার্লিন ইন্সটিটিউট ফর মেডিকেল সিস্টেমস বায়োলজি (বিআইএসএম)’-এর গবেষক ডা. সাবরিনা গাইসবার্গার।
রক্তে উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম থাকলে নির্দিষ্ট কিছু শ্বেত কণিকা অস্বাস্থকর কোষের ক্ষেত্রে বিরূপ আচরণ করে। তাদের ২০১৫ সালের করা একটি গবেষণা থেকে এই তথ্য দেন ডা. সাবরিনা।
তাই, নতুন গবেষণার জন্য গাইসবার্গ ও তার দল, উচ্চমাত্রায় লবণের দ্রবণের সংস্পর্শে থাকা রোগ প্রতিরোধক কোষের বিপাকক্রিয়ার ওপর নজর দেন। ফলে তারা জানতে পারেন কীভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর লবণ প্রভাব ফেলে। গাইসবার্গ ব্যাখ্যা করেন, “এটা শ্বাসপ্রশ্বাসের শৃঙ্খলায় ঝামেলা তৈরি করে। ফলে কোষ কম অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কম ‘এটিপি’ উৎপন্ন হয়।”
এটিপি, বা ‘অ্যাডেনোসিন ট্রাইফস্ফেট’ হল সার্বজনীন জ্বালানী, যা সকল কোষের শক্তি যোগায়। যা পেশির শক্তি বাড়ায় ও বিপাকক্রিয়া নিয়মিত রাখে। অর্থাৎ শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম এটিপি’র সরবারহ কমায়, এটা পরিপক্ক রক্ত কোষগুলোকে দুর্বল করে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় নিয়জিত থাকা শ্বেত রক্ত কণিকার কার্যকরিতা কমে যায়। প্রতিদিন কতটুকু লবণ গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে এই সমীক্ষায় বলা হয়, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক পাঁচ থেকে ছয় গ্রাম লবণ গ্রহণে সীমাবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেয়। আর এই পরিমাণ অবশ্যই বিভিন্ন খাবারে লুকিয়ে থাকা লবণের পরিমাণ-সহ বিবেচনা করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান ফায়ার সার্ভিস ডিজির

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মে ২০২১

লাইফস্টাইল ডে¯ ‹ : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখতে চাইলে কমাতে হবে লবণ খাওয়ার পরিমাণ। খাবার সঙ্গে বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। তাছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবারে যে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে একথা এখন প্রায় সবারই জানা। অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্ত চাপের ঝুঁকি বাড়ায়। স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। যা থেকে হতে পারে হৃদরোগ ও স্ট্রোক। এসব এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য। তবে নতুন তথ্য হল অতিরিক্ত লবণ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দিতে পারে। আর এই মহামারীর সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমুন্নত রাখা যে জরুরি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এরকম তথ্যই দিয়েছেন ‘বার্লিন ইন্সটিটিউট ফর মেডিকেল সিস্টেমস বায়োলজি (বিআইএসএম)’-এর গবেষক ডা. সাবরিনা গাইসবার্গার।
রক্তে উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম থাকলে নির্দিষ্ট কিছু শ্বেত কণিকা অস্বাস্থকর কোষের ক্ষেত্রে বিরূপ আচরণ করে। তাদের ২০১৫ সালের করা একটি গবেষণা থেকে এই তথ্য দেন ডা. সাবরিনা।
তাই, নতুন গবেষণার জন্য গাইসবার্গ ও তার দল, উচ্চমাত্রায় লবণের দ্রবণের সংস্পর্শে থাকা রোগ প্রতিরোধক কোষের বিপাকক্রিয়ার ওপর নজর দেন। ফলে তারা জানতে পারেন কীভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর লবণ প্রভাব ফেলে। গাইসবার্গ ব্যাখ্যা করেন, “এটা শ্বাসপ্রশ্বাসের শৃঙ্খলায় ঝামেলা তৈরি করে। ফলে কোষ কম অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কম ‘এটিপি’ উৎপন্ন হয়।”
এটিপি, বা ‘অ্যাডেনোসিন ট্রাইফস্ফেট’ হল সার্বজনীন জ্বালানী, যা সকল কোষের শক্তি যোগায়। যা পেশির শক্তি বাড়ায় ও বিপাকক্রিয়া নিয়মিত রাখে। অর্থাৎ শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম এটিপি’র সরবারহ কমায়, এটা পরিপক্ক রক্ত কোষগুলোকে দুর্বল করে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় নিয়জিত থাকা শ্বেত রক্ত কণিকার কার্যকরিতা কমে যায়। প্রতিদিন কতটুকু লবণ গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে এই সমীক্ষায় বলা হয়, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক পাঁচ থেকে ছয় গ্রাম লবণ গ্রহণে সীমাবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেয়। আর এই পরিমাণ অবশ্যই বিভিন্ন খাবারে লুকিয়ে থাকা লবণের পরিমাণ-সহ বিবেচনা করতে হবে।