খান অপূর্ব আহমদ
গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, অতিরিক্ত তাপমাত্রা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এ কারণে তাপপ্রবাহজনিত প্রধান স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সবারই জানা জরুরি। তা হলো-
হিট পিডিমা: গরমে হাত-পা ফুলে যাওয়া হিট পিডিমার লক্ষণ। বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি পান ও পা উঁচু করে রাখা এই অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে।
হিট ক্র্যাম্প: গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে পেশিতে টান ধরার সমস্যা। ওআরএস বা লবণ-চিনি মিশ্রিত পানি পান এবং বিশ্রাম এই অবস্থায় সহায়ক।
হিট টিটানি: হাত-পা বেঁকে যাওয়া বা অসাড় হয়ে পড়া। বিশ্রাম, হাত-পা মালিশ এবং পর্যাপ্ত পানি পান এই অবস্থায় কার্যকর।
হিট সিংকোপ: মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল বা বরফ পানিতে গা মুছে নেওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান এই অবস্থায় সহায়ক।
হিট স্ট্রোক: শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি হওয়া। ত্বক শুষ্ক ও গরম, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস ও বিভ্রান্তি এই অবস্থার লক্ষণ। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ঘামাচি: গরমে ত্বকে লালচে দানা বা ফুসকুড়ি হওয়া। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার না করে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল বা শরীর মুছে নেওয়া এই অবস্থায় সহায়ক।
সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: রোদে বের হওয়া এড়িয়ে চলা, বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত; হালকা রঙ, ঢিলেঢালা ও তুলার কাপড় পরা; পর্যাপ্ত পানি পান করা; ওআরএস বা লবণ-চিনি মিশ্রিত পানি পান করা ভালো; গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ব্যায়াম এড়িয়ে চলা; শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ