ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে ১০ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানার মামলায় চারজন ও রমনা থানায় করা মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) মো. আ. হান্নান বাদী হয়ে গত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নং-৩১। এ মামলার চার আসামি হলেন- নাইমুর রহমান তানজির (১৯), শহিউল্লাহ (২৬), ফারুক ও রায়হান।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরীক্ষার্থী সংগ্রহপূর্বক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার হলে অবৈধভাবে এবং অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করে পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
একইদিন (২৪ জানুয়ারি) রাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি দায়ের করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান। মামলা নং-২১। ওই মামলার ছয় আসামি হলেন- আল আমিন আজাদ রনি (৩০), রাকিবুল হাসান (২৬), হাসিবুল হাসান (২৪), নাহিদ হাসান (২৬), মাহবুবা নাসরিন রুপা (৩১), রাজু আহমেদ (২৪)।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, ডিবির এসআই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হয়েছিল। বাইরে থেকে সেই ফাঁস করা প্রশ্নের উত্তর আবার পাঠানো হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সংস্থাটির একজন বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত চক্রের সাত সদস্য ও তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।
গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৬টি ইয়ার ডিভাইস, ৬টি মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার, ৫টি ব্যাংকের চেক, ৭টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০টি স্মার্টফোন, ৬টি বাটন মোবাইল, ১৮টি প্রবেশপত্র ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া ৩ সেট প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে ১০ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

আপডেট সময় : ০১:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানার মামলায় চারজন ও রমনা থানায় করা মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) মো. আ. হান্নান বাদী হয়ে গত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নং-৩১। এ মামলার চার আসামি হলেন- নাইমুর রহমান তানজির (১৯), শহিউল্লাহ (২৬), ফারুক ও রায়হান।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরীক্ষার্থী সংগ্রহপূর্বক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার হলে অবৈধভাবে এবং অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করে পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
একইদিন (২৪ জানুয়ারি) রাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি দায়ের করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান। মামলা নং-২১। ওই মামলার ছয় আসামি হলেন- আল আমিন আজাদ রনি (৩০), রাকিবুল হাসান (২৬), হাসিবুল হাসান (২৪), নাহিদ হাসান (২৬), মাহবুবা নাসরিন রুপা (৩১), রাজু আহমেদ (২৪)।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, ডিবির এসআই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানো হয়েছিল। বাইরে থেকে সেই ফাঁস করা প্রশ্নের উত্তর আবার পাঠানো হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সংস্থাটির একজন বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত চক্রের সাত সদস্য ও তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।
গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৬টি ইয়ার ডিভাইস, ৬টি মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার, ৫টি ব্যাংকের চেক, ৭টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০টি স্মার্টফোন, ৬টি বাটন মোবাইল, ১৮টি প্রবেশপত্র ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া ৩ সেট প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়।