ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

অটোরিকশার দৈনিক জমা নিয়ে মালিক-শ্রমিক পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৈনিক জমার টাকা বাড়ানোসহ ৯ দফা দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ। একই সময় দৈনিক জমা না বাড়ানোসহ দুই দফা দাবিতে প্রেসক্লাবের বাইরে মানববন্ধন করেছে ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা, মিশুকচালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অটোরিকশা মালিকপক্ষ বলছে, বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় এবং সরকারি ট্যাক্স বাড়ায় তাঁরা নির্ধারিত দৈনিক জমার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের দাবি, দৈনিক জমার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
এদিকে প্রেসক্লাবের বাইরে মানববন্ধন করা অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মালিকপক্ষ সরকারনির্ধারিত দৈনিক জমার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা জমা নেয়। এ কারণে তাঁরা সড়কে মিটারে ভাড়া নেন না।
প্রেসক্লাবের ভেতরে জহুরুল হক হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বরকত উল্লাহ বলেন, অটোরিকশার দৈনিক জমা ২০১৫ সালে সবশেষ নির্ধারণ করা হয় ৯০০ টাকা এবং মিটারে প্রতি কিলোমিটারে ১২ টাকা। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অটোরিকশার যন্ত্রাংশের দাম বাড়ায় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ট্যাক্সের দাম বাড়ায় এভাবে অটোরিকশা ব্যবসা চালানো মালিকদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক জমা ৯০০ টাকার বেশি চালকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় স্বীকার করে বরকত উল্লাহ বলেন, ‘এ ছাড়া আমাদের মালিকদের আর কোনো উপায় নেই। আমরা দৈনিক জমা অন্তত ১ হাজার ২০০ টাকা এবং মিটারে প্রতি কিলোমিটারে ২০ টাকা করতে হবে।’ তিনি বলেন, নগরীতে বৈধ অটোরিকশা ১৫ হাজার। আর অবৈধ অটোরিকশা ৩২ হাজারের বেশি। এগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা থেকে আসা।
অটোরিকশামালিকদের অন্যতম দাবি হলো—ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা এবং প্রাইভেট অটোরিকশা ঢাকা মহানগরীতে চলাচল বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন জেলার অটোরিকশার নির্ধারিত রং বাস্তবায়ন করে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস দিতে হবে, মহানগরীতে অটোরিকশার জন্য স্থায়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে নো পার্কিংয়ের মামলা বন্ধ করতে হবে, সহজ শর্তে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে এবং অটোরিকশা রেকারিংয়ের ভয় দেখিয়ে পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। তাঁদের দাবি দুটি। অটোরিকশার জন্য দৈনিক জমা ৯০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না এবং চালকদের নামে ৫ হাজার অটোরিকশা না দেওয়া পর্যন্ত মহানগরীতে কোনো প্রকার থ্রি-হুইলার উচ্ছেদ করা যাবে না। ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা, মিশুকচালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এমনিতেই মালিকেরা ৯০০ টাকার জায়গায় ১ হাজার ২০০ টাকা জমা রাখেন। মালিকেরা শিফট ভেদে ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত জমা রাখেন, যা অন্যায়। অটোরিকশার দৈনিক জমা কোনোভাবেই ৯০০ টাকার বেশি আইন করে নেওয়া যাবে না। সংগঠনটির আরেক নেতা মো. জব্বার মিয়া বলেন, সিএনজি অটোরিকশার জমা বাড়ানোর দাবিতে মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিকেরা। ন্যায্য দাবি আদায়ে শ্রমিকেরা রাজপথে থাকবেন। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির নেতা মিজানুর রহমান, নূর রশিদ, রুহুল আমিন প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অটোরিকশার দৈনিক জমা নিয়ে মালিক-শ্রমিক পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৈনিক জমার টাকা বাড়ানোসহ ৯ দফা দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ। একই সময় দৈনিক জমা না বাড়ানোসহ দুই দফা দাবিতে প্রেসক্লাবের বাইরে মানববন্ধন করেছে ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা, মিশুকচালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অটোরিকশা মালিকপক্ষ বলছে, বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় এবং সরকারি ট্যাক্স বাড়ায় তাঁরা নির্ধারিত দৈনিক জমার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদের দাবি, দৈনিক জমার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
এদিকে প্রেসক্লাবের বাইরে মানববন্ধন করা অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মালিকপক্ষ সরকারনির্ধারিত দৈনিক জমার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা জমা নেয়। এ কারণে তাঁরা সড়কে মিটারে ভাড়া নেন না।
প্রেসক্লাবের ভেতরে জহুরুল হক হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বরকত উল্লাহ বলেন, অটোরিকশার দৈনিক জমা ২০১৫ সালে সবশেষ নির্ধারণ করা হয় ৯০০ টাকা এবং মিটারে প্রতি কিলোমিটারে ১২ টাকা। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অটোরিকশার যন্ত্রাংশের দাম বাড়ায় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ট্যাক্সের দাম বাড়ায় এভাবে অটোরিকশা ব্যবসা চালানো মালিকদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক জমা ৯০০ টাকার বেশি চালকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় স্বীকার করে বরকত উল্লাহ বলেন, ‘এ ছাড়া আমাদের মালিকদের আর কোনো উপায় নেই। আমরা দৈনিক জমা অন্তত ১ হাজার ২০০ টাকা এবং মিটারে প্রতি কিলোমিটারে ২০ টাকা করতে হবে।’ তিনি বলেন, নগরীতে বৈধ অটোরিকশা ১৫ হাজার। আর অবৈধ অটোরিকশা ৩২ হাজারের বেশি। এগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা থেকে আসা।
অটোরিকশামালিকদের অন্যতম দাবি হলো—ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা এবং প্রাইভেট অটোরিকশা ঢাকা মহানগরীতে চলাচল বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন জেলার অটোরিকশার নির্ধারিত রং বাস্তবায়ন করে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস দিতে হবে, মহানগরীতে অটোরিকশার জন্য স্থায়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে নো পার্কিংয়ের মামলা বন্ধ করতে হবে, সহজ শর্তে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে এবং অটোরিকশা রেকারিংয়ের ভয় দেখিয়ে পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। তাঁদের দাবি দুটি। অটোরিকশার জন্য দৈনিক জমা ৯০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না এবং চালকদের নামে ৫ হাজার অটোরিকশা না দেওয়া পর্যন্ত মহানগরীতে কোনো প্রকার থ্রি-হুইলার উচ্ছেদ করা যাবে না। ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা, মিশুকচালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এমনিতেই মালিকেরা ৯০০ টাকার জায়গায় ১ হাজার ২০০ টাকা জমা রাখেন। মালিকেরা শিফট ভেদে ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত জমা রাখেন, যা অন্যায়। অটোরিকশার দৈনিক জমা কোনোভাবেই ৯০০ টাকার বেশি আইন করে নেওয়া যাবে না। সংগঠনটির আরেক নেতা মো. জব্বার মিয়া বলেন, সিএনজি অটোরিকশার জমা বাড়ানোর দাবিতে মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিকেরা। ন্যায্য দাবি আদায়ে শ্রমিকেরা রাজপথে থাকবেন। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির নেতা মিজানুর রহমান, নূর রশিদ, রুহুল আমিন প্রমুখ।