বিনোদন ডেস্ক: চলতি বছর মুক্তির জন্য প্রস্তুত সদ্যপ্রয়াত নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জনের শেষ ছবি ‘চাঁদের অমাবস্যা’। বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর এ নামের কালজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে বানানো হয়েছে ছবিটি। এরই মধ্যে অবমুক্ত হয়েছে ছবির পোস্টার। শিগগিরই ছবিটি মুক্তি দিতে উৎসুক ছিলেন অঞ্জন, সে রকমই জানিয়েছেন তার কাছের মানুষেরা। ‘চাঁদের অমাবস্যা’ মুক্তির দায়িত্ব নিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি। শুরুতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি। প্রেক্ষাগৃহে দেখানোর পর সেটি ঘরে বসে দেখতে পাবে চরকির গ্রাহকেরা। জাগো নিউজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চরকি কর্তৃপক্ষ। তারা জানায় চলতি বছর সিনেমাটি মুক্তি পাবে সেটা মোটামুটি নিশ্চিত, তবে দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মাণ করা হয় ‘চাঁদের অমাবস্যা’। গত বছর ছবির কাজ শেষ করেন অঞ্জন। ওই বছরই ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা ছিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং নিজের অসুস্থতার কারণে ছবি মুক্তি দিতে পারেননি তিনি। ‘চাঁদের অমাবস্যা’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর, তনয় বিশ্বাস, ইরেশ যাকের, দ্বীপান্বিতা মার্টিন, শাহানা সুমি প্রমুখ। ছবিটির চিত্রগ্রহণ করেন ভারতের প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক ‘মাটির ময়না’ ও ‘মেঘমল্লার’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক সুধীর পালসানে। ছবিটি সম্পাদনা করেছেন সামীর আহমেদ। ছবিটির শব্দ সংযোজন ও রঙ বিন্যাস করা হবে ভারতের কলকাতা ও মুম্বাইতে।
২০১৪ সালে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প ‘রেইনকোট’ অবলম্বনে জাহিদুর রহিম অঞ্জন নির্মাণ করেন ‘মেঘমল্লার’। প্রথম ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এর আগে আন্তন চেকভের গল্প অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মর্নিং’ নির্মাণ করেন অঞ্জন। এটি তার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য। কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় ছবিটি। ২০০৭ সালে বাঙালি চিন্তাবিদ অতীশ দীপঙ্করের জীবনী নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর।’ জাহিদুর রহিম অঞ্জন ভারতের পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে চলচ্চিত্র বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। সর্বশেষ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এ ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে পড়াতেন তিনি। অঞ্জন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতে মৃত্যুবরণ করেছেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন।