ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

অঞ্জনের প্রাণশক্তির মূলে ‘রসবোধ’

  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: সত্তরের চৌকাঠ ছুঁইছুঁই গায়ক অভিনেতা ও নির্মাতা অঞ্জন দত্তের চলচ্চিত্র ও গানের সঙ্গে বসবাস চার দশক ধরে। জীবনের এই পর্যায়ে এসে অঞ্জন মনে করছেন, তার প্রাণশক্তির মূল কারণ হল ‘রসবোধ’। নিজেকে নিয়ে এই উপলব্ধির কথা অঞ্জন তুলে ধরেছেন ফেইসবুকে। বলেছেন, চলচ্চিত্র আর ওটিটি নিয়ে নিজস্ব ভাবনা, এবং কিছু হাহাকারের কথাও। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে ওটিটির জন্য একটি সিরিজ বানানোর কথাও জানিয়েছেন। অঞ্জন বলেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে আমার ক্রমশ মনে হচ্ছে, আমার শক্তি হল রসবোধ। তাই আবার একটা নতুন, সম্পূর্ণ অন্য রকম প্রচেষ্টা। বাংলাদেশের একটি প্ল্যাটফর্মের জন্য একটা মিউজিক্যাল কমেডি তৈরি করব।“ ‘দুই বন্ধু’ নামে এ ওয়েব সিরিজে থাকছেন অঞ্জন দত্ত নিজে। এছাড়া বাংলাদেশের অভিনেত্রী তমা মির্জা, সুপ্রভাত, কলকাতার শাওন চক্রবর্তীর কাজ করার কথা রয়েছে। ১৯৮১ সালে অভিনয় শুরু করা অঞ্জন সিনেমা বানানো শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। তারও আগে ১৯৯৪ সালে বের করেন গানের প্রথম অ্যালবাম। সিনেমা দিয়ে নির্মাণ শুরু করলেও এই মাধ্যমটি তাকে সেভাবে উদ্দীপ্ত করেনি বলে সোজাসাপ্টা বলেছেন অঞ্জন। তার ভাষ্য, তিনি অনেক সাধ করে সিনেমা বানাতে এসেছিলেন। কিন্তু চলচ্চিত্রের ‘আঙ্গিক’ তাকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি।“
তার বেশিরভাগ সিনেমায় ‘বহু ভাষ্য’ থাকে বলেও জানান অঞ্জন। তবে হালের ওটিটি মাধ্যমের প্রংশসা করেছেন অঞ্জন মন খুলে। তার মতে, ওয়েব সিরিজের গল্পে লেখকের কাজের পরিসর বড়। “এখন ওটিটির যুগ, তাই সেখানেও ঢুকে পড়লাম। ওয়েব সিরিজে লেখক সত্তা অনেক বড়ভাবে এসেছে।“ সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ বানাতে কখনও বড় বাজেট বা ব্যানারও হাতে আসেনি বলে আক্ষেপ ঝরেছে অঞ্জনের কথায়। তিনি বলেন, “আমার সব কাজ যে খুব ভালো হয়েছে একেবারেই নয়। তবে সকলের মাথায় নিয়ে কিছু তৈরি করি না আমি। নিজের ইচ্ছে বা ভেতরের চাহিদা অনেক বড়।“ অঞ্জন বলেন, “আমার তিনটি সিনেমা ‘দত্ত ভার্সেস দত্ত’, ‘সাহেবের কাটলেট’ বা ‘রিভলভার রহস্য’ একেবারেই চলেনি। কিন্তু তিনটিই আমার অত্যন্ত প্রিয়। চললে খুব ভালো লাগত।“

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অঞ্জনের প্রাণশক্তির মূলে ‘রসবোধ’

আপডেট সময় : ০১:১৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক: সত্তরের চৌকাঠ ছুঁইছুঁই গায়ক অভিনেতা ও নির্মাতা অঞ্জন দত্তের চলচ্চিত্র ও গানের সঙ্গে বসবাস চার দশক ধরে। জীবনের এই পর্যায়ে এসে অঞ্জন মনে করছেন, তার প্রাণশক্তির মূল কারণ হল ‘রসবোধ’। নিজেকে নিয়ে এই উপলব্ধির কথা অঞ্জন তুলে ধরেছেন ফেইসবুকে। বলেছেন, চলচ্চিত্র আর ওটিটি নিয়ে নিজস্ব ভাবনা, এবং কিছু হাহাকারের কথাও। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে ওটিটির জন্য একটি সিরিজ বানানোর কথাও জানিয়েছেন। অঞ্জন বলেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে আমার ক্রমশ মনে হচ্ছে, আমার শক্তি হল রসবোধ। তাই আবার একটা নতুন, সম্পূর্ণ অন্য রকম প্রচেষ্টা। বাংলাদেশের একটি প্ল্যাটফর্মের জন্য একটা মিউজিক্যাল কমেডি তৈরি করব।“ ‘দুই বন্ধু’ নামে এ ওয়েব সিরিজে থাকছেন অঞ্জন দত্ত নিজে। এছাড়া বাংলাদেশের অভিনেত্রী তমা মির্জা, সুপ্রভাত, কলকাতার শাওন চক্রবর্তীর কাজ করার কথা রয়েছে। ১৯৮১ সালে অভিনয় শুরু করা অঞ্জন সিনেমা বানানো শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। তারও আগে ১৯৯৪ সালে বের করেন গানের প্রথম অ্যালবাম। সিনেমা দিয়ে নির্মাণ শুরু করলেও এই মাধ্যমটি তাকে সেভাবে উদ্দীপ্ত করেনি বলে সোজাসাপ্টা বলেছেন অঞ্জন। তার ভাষ্য, তিনি অনেক সাধ করে সিনেমা বানাতে এসেছিলেন। কিন্তু চলচ্চিত্রের ‘আঙ্গিক’ তাকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি।“
তার বেশিরভাগ সিনেমায় ‘বহু ভাষ্য’ থাকে বলেও জানান অঞ্জন। তবে হালের ওটিটি মাধ্যমের প্রংশসা করেছেন অঞ্জন মন খুলে। তার মতে, ওয়েব সিরিজের গল্পে লেখকের কাজের পরিসর বড়। “এখন ওটিটির যুগ, তাই সেখানেও ঢুকে পড়লাম। ওয়েব সিরিজে লেখক সত্তা অনেক বড়ভাবে এসেছে।“ সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ বানাতে কখনও বড় বাজেট বা ব্যানারও হাতে আসেনি বলে আক্ষেপ ঝরেছে অঞ্জনের কথায়। তিনি বলেন, “আমার সব কাজ যে খুব ভালো হয়েছে একেবারেই নয়। তবে সকলের মাথায় নিয়ে কিছু তৈরি করি না আমি। নিজের ইচ্ছে বা ভেতরের চাহিদা অনেক বড়।“ অঞ্জন বলেন, “আমার তিনটি সিনেমা ‘দত্ত ভার্সেস দত্ত’, ‘সাহেবের কাটলেট’ বা ‘রিভলভার রহস্য’ একেবারেই চলেনি। কিন্তু তিনটিই আমার অত্যন্ত প্রিয়। চললে খুব ভালো লাগত।“