স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: আইভিএফ পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় অনেক দম্পতি নিজের অজান্তেই তাদের প্রজনন ক্ষমতা চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলছেন। অথচ সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অনেকাংশেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সাধারণত বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় শতকরা ৫-১০ শতাংশ রোগীদের আইভিএফ পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে বিএসএমএমইউতে প্রথম টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার (১ নভেম্বর) আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানু। গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সি-ব্লকে মা ও প্রসূতি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রথম টেস্টটিউব নবজাতকের জন্ম হয়। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে দানিয়া, যার অর্থ মহান আল্লাহর দান বা উপহার। অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানু বলেন, মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ প্রত্যেক নারীর জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া। তবে নানা কারণে এ সুখের অনুভূতি থেকে বঞ্চিত হন নারীরা। নিজের অজান্তেই প্রজননের সক্ষমতা হারান তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনে সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম টেস্টটিউব বেবির সফল জন্ম হয়েছে। এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক সব চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এখানে আরও নতুন নতুন গবেষণা করা হবে। প্রতিটি বিভাগে নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ও সেবা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হবে। যাতে রোগীদের দেশের বাইরে যেতে না হয়।’
অজ্ঞতায় প্রজনন ক্ষমতা হারাচ্ছেন অনেক দম্পতি
অজ্ঞতায় প্রজনন ক্ষমতা হারাচ্ছেন অনেক দম্পতি
জনপ্রিয় সংবাদ