ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

অগ্নিদগ্ধ সেই অভিনেত্রী জানালেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক: ক্যারিয়ারে যখন সু-বাতাস বইছে, ঠিক তখনই শুটিং সেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। একটি নাটকের শুটিং করতে গিয়ে শর্টসার্কিট বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন অগ্নিদগ্ধ সেই শারমিন আঁখি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শারমিন আঁখি লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ বাচ্চাদের কাছে যত কম ভিজিটর যাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। প্রচুর ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকবে এই সময়টা। আগুনে পোড়ার পরবর্তী এফেক্ট হচ্ছে ইনফেকশন। চিকিৎসাধীন বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে চাইলে প্লিজ আবেগের বশবর্তী হয়ে এই মুহূর্তে তাদের দেখতে যাবেন না। আমাদের চামড়া জার্ম প্রটেক্ট করে। যেখানে চামড়া নেই, সেখানে প্রটেকশন একদম ০ (শূন্য) লেভেলে। ইনফেকশনের কারণে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়। পোড়ায় মরে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘চামড়ার পোড়ার কষ্টের সাথে অন্য কোনো যন্ত্রণার তুলনা করবেন না। উপরেরটা পোড়ায়, ভেতরটাও পোড়ায়। ড্রেসিংয়ের যন্ত্রণা আরো অসহ্যকর। নতুন চামড়া আসলেই সেই চামড়া ঘষে আবার উঠানো হয়। ট্রমা শুরু হবে আর দশ দিন পরে। এখন প্রতিটা বাচ্চা অনুভূতিশূন্য।’ শারমিন আঁখি বলেন, ‘এই মুহূর্তে একমাত্র ডাক্তার ছাড়া ওদের আশপাশে যত কম যাওয়া যায়, ততই ভালো। বাসায় ফেরার পর প্রত্যেকটা বাচ্চার মনোসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি তিন মাস মনোসামাজিক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছিলাম। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাটা অনেক জরুরি।’
বলা দরকার, ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ে শারমিন আঁখি আহত হয়েছিলেন। দীর্ঘ দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরেছেন। বর্তমানে এই অভিনেত্রী চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে আছেন। মাঝে মাঝে তাকে কাজে পাওয়া যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ম না মেনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৫ গাড়িচালকের নামে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ

অগ্নিদগ্ধ সেই অভিনেত্রী জানালেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

বিনোদন প্রতিবেদক: ক্যারিয়ারে যখন সু-বাতাস বইছে, ঠিক তখনই শুটিং সেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। একটি নাটকের শুটিং করতে গিয়ে শর্টসার্কিট বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন অগ্নিদগ্ধ সেই শারমিন আঁখি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শারমিন আঁখি লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ বাচ্চাদের কাছে যত কম ভিজিটর যাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। প্রচুর ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকবে এই সময়টা। আগুনে পোড়ার পরবর্তী এফেক্ট হচ্ছে ইনফেকশন। চিকিৎসাধীন বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে চাইলে প্লিজ আবেগের বশবর্তী হয়ে এই মুহূর্তে তাদের দেখতে যাবেন না। আমাদের চামড়া জার্ম প্রটেক্ট করে। যেখানে চামড়া নেই, সেখানে প্রটেকশন একদম ০ (শূন্য) লেভেলে। ইনফেকশনের কারণে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়। পোড়ায় মরে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘চামড়ার পোড়ার কষ্টের সাথে অন্য কোনো যন্ত্রণার তুলনা করবেন না। উপরেরটা পোড়ায়, ভেতরটাও পোড়ায়। ড্রেসিংয়ের যন্ত্রণা আরো অসহ্যকর। নতুন চামড়া আসলেই সেই চামড়া ঘষে আবার উঠানো হয়। ট্রমা শুরু হবে আর দশ দিন পরে। এখন প্রতিটা বাচ্চা অনুভূতিশূন্য।’ শারমিন আঁখি বলেন, ‘এই মুহূর্তে একমাত্র ডাক্তার ছাড়া ওদের আশপাশে যত কম যাওয়া যায়, ততই ভালো। বাসায় ফেরার পর প্রত্যেকটা বাচ্চার মনোসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি তিন মাস মনোসামাজিক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়েছিলাম। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাটা অনেক জরুরি।’
বলা দরকার, ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ে শারমিন আঁখি আহত হয়েছিলেন। দীর্ঘ দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরেছেন। বর্তমানে এই অভিনেত্রী চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে আছেন। মাঝে মাঝে তাকে কাজে পাওয়া যায়।