নিজস্ব প্রতিবেদক: সচিবালয়ে আগুনে ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরেছেন গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের প্রায় ২০০ কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, আগুনে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের প্রায় ২০০টি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি তদন্ত শেষেই বলা যাবে।
তিনি বলেন, ‘ভবনটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা যাবে ক না, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বোঝা যাবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে সংস্কার সম্ভব কিনা। সংস্কার করা সম্ভব হলে সংস্কার কাজে কতদিন লাগতে পারে, সেটিও তদন্ত রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার জমা দেওয়া হবে: সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তদন্ত কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে অনেকগুলো দল কাজ করছে একসঙ্গে। সেনাবাহিনীর টিম কাজ করছে, বুয়েটের টিম কাজ করছে, পিডব্লিউটির লোকেরা কাজ করছে, পুলিশ ও আইসিটি লোকেরাও কাজ করছে। আমরা সবাই টিম হয়ে কাজ করছি। তাদের থেকে আলামত সংগ্রহ করে সেগুলো আলোচনা করে একটা কনক্লুশনে আসার চেষ্টা করছি যে প্রাথমিকভাবে কি বলা যায়।
সেটা করতে গিয়ে আমরা দেখতে পারছি কিছু জিনিসের ল্যাব টেস্ট করা হয়েছে। সোমবার কিছু আলামত নেওয়া হয়েছে সেগুলোও টেস্ট করা হচ্ছে। আমাদের প্রাথমিকভাবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কিছুক্ষণ আগে আরও একদিনের সময় চেয়ে নিয়েছি। কারণ কিছু টেস্ট আজ রাতে হবে। সেগুলো হলে আমরা আবার বসবো। তখন আমরা একটা প্রাথমিক ধারণা নিতে পারবো।
তাহলে কি আগামীকাল প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেবেন? জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা আশা করছি আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। যদি পারি এর আগে হয়ে গেলে দিয়ে দেবো। তবে আমরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় নিয়েছি। কারণ আমাদের অনেকগুলো টিম কাজ করছে।
সেগুলো একত্রে করে সামারি করার জন্য একটু সময়তো লাগবেই। আর কিছু জিনিস আছে যেগুলোর ল্যাব টেস্টের ক্যাপাসিটি আমাদের দেশে নেই। সেগুলো বিদেশে পাঠিয়ে টেস্ট করা হবে।
এক প্রশ্নের জমাবে নাসিমুল গণি বলেন, আমরা আগেই বলেছি, কিছু আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এটা আমাদের আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল। যেখানে এসব পরীক্ষার সুযোগ আছে সেখানেই পাঠানো হবে।
প্রাথমিক তদন্তে আপনারা কি দেখতে পেলেন- এ বিষয়ে কমিটির প্রধান বলেন, এ ধরনের প্রশ্ন এখন করবেন না। আমি বলতে পারবো না।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন কতদিনের মধ্যে দেওয়া হবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বিদেশে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত যাবে এবং আসবে, এতে কিছু সময় লাগবে। তবে যত দ্রুত করা সম্ভব আমরা সেটা করবো।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়ে সেই সময় কিছু বলার প্রয়োজন হলে বলা হবে বলেও জানিয়েছেন নাসিমুল গণি।