ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু গণহত্যার শামিল : ভারতের আদালত

  • আপডেট সময় : ১২:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় অক্সিজেনের অভাবে রোগীদের মৃত্যুকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এসময় উত্তর প্রদেশে এমন ঘটনা ঘটায় রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত। আদালত জানায়, এই ধরনের ঘটনা আইনত অপরাধ। লখনউ কিংবা মীরাটে অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংবাদ প্রতিদিন
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, এই অভিযোগগুলি একেবারেই ঠিক নয়। অক্সিজেন সরবরাহ তো বটেই, অন্যান্য ওষুধপত্র কিংবা হাসপাতালে বেডের অভাব নিয়ে যা শোনা যাচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যদিও আসল ছবিটা যে তা নয়, তেমন অভিযোগ ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠেছে।
গত মঙ্গলবার এলাহাবাদ আদালতে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিদ্ধার্থ ভার্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের বেঞ্চ রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন প্রশাসনকে। আদালত জানায়, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি কীভাবে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের মৃত্যু হয়েছে। এটা রীতিমতো আইনত অপরাধ এবং গণহত্যার থেকে কম কিছু নয়।’
বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ‘কী করে আপনারা মানুষকে এভাবে মারা যেতে দিতে পারেন, যেখানে বিজ্ঞান এত উন্নত হয়ে গিয়েছে? হৃদযন্ত্র কিংবা মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনও কত অনায়াসে করা যাচ্ছে আজকাল।’
লখনউ ও মীরাটের জেলাশাসকদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাদের হাজিরা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু গণহত্যার শামিল : ভারতের আদালত

আপডেট সময় : ১২:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় অক্সিজেনের অভাবে রোগীদের মৃত্যুকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এসময় উত্তর প্রদেশে এমন ঘটনা ঘটায় রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে আদালত। আদালত জানায়, এই ধরনের ঘটনা আইনত অপরাধ। লখনউ কিংবা মীরাটে অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংবাদ প্রতিদিন
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, এই অভিযোগগুলি একেবারেই ঠিক নয়। অক্সিজেন সরবরাহ তো বটেই, অন্যান্য ওষুধপত্র কিংবা হাসপাতালে বেডের অভাব নিয়ে যা শোনা যাচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যদিও আসল ছবিটা যে তা নয়, তেমন অভিযোগ ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠেছে।
গত মঙ্গলবার এলাহাবাদ আদালতে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিদ্ধার্থ ভার্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের বেঞ্চ রীতিমতো ভর্ৎসনা করেন প্রশাসনকে। আদালত জানায়, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি কীভাবে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অভাবে কোভিড রোগীদের মৃত্যু হয়েছে। এটা রীতিমতো আইনত অপরাধ এবং গণহত্যার থেকে কম কিছু নয়।’
বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ‘কী করে আপনারা মানুষকে এভাবে মারা যেতে দিতে পারেন, যেখানে বিজ্ঞান এত উন্নত হয়ে গিয়েছে? হৃদযন্ত্র কিংবা মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনও কত অনায়াসে করা যাচ্ছে আজকাল।’
লখনউ ও মীরাটের জেলাশাসকদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাদের হাজিরা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।