ঢাকা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

অক্সফোর্ড ইউনিয়নে প্রথমবার ফিলিস্তিনি সভাপতি

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: অক্সফোর্ড ইউনিয়নের নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফিলিস্তিনি নারী আরওয়া এলরাইশ। রোববার (৩০ নভেম্বর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অক্সফোর্ড ইউনিয়ন মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি বিতর্ক সমিতি। এটি ১৮২৩ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ব্রিটেনের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়নগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক স্টুডেন্ট সোসাইটিও।

অক্সফোর্ড ইউনিয়নের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন ফিলিস্তিনি নারী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরওয়া এলরাইশ। তিনি পিপিই (দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ২০২৬ সালের ট্রিনিটি টার্মে এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর তিনটি টার্ম থাকে—মাইকেলমাস (অক্টোবর–ডিসেম্বর), হিলারি (জানুয়ারি–মার্চ) এবং ট্রিনিটি (এপ্রিল–জুন)।

এমন সময়ে আরওয়ার নির্বাচিত হয়েছেন যখন ইউনিয়নটি বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে রয়েছে। আগের সভাপতি জর্জ আবারনইয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, কারণ তিনি সামাজিকমাধ্যমে এক হত্যার ঘটনা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। নিন্দার মুখে জর্জ নিজেই নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন এবং পরে অনাস্থা ভোটে তিনি সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

নির্বাচনের পরে আরওয়া বলেছেন, ‘ইউনিয়নের সদস্যরা আমার ও আমার দলের প্রতি ভরসা রেখেছেন। সবাই ভেদাভেদ ভুলে মিলিতভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। ২০২৬ সালের ট্রিনিটি টার্মে সদস্যদের সেবা করতে আমি মুখিয়ে আছি।’

তবে আরওয়া নিজেও বিতর্কের বাইরে নন। জর্জের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠিক অনাস্থা প্রস্তাবের সময় তিনি সাবেক শিক্ষার্থীদের ‘বর্ণবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়েছেন এবং তাদের ভোটাধিকার সীমিত করার প্রস্তাবও দিয়েছেন।

এছাড়াও আরওয়া নিজের শৈশবের দুঃখের কথা শেয়ার করেছেন। তিনি নিজেকে ‘ফিলিস্তিনি’ দাবি করলেও গাজার কোন এলাকায় তিনি থাকতেন, তা জানা যায়নি। কাতারের দোহা কলেজ থেকে এ-লেভেল সম্পন্ন করেছেন আরওয়া। তার বাবা মোহামেদ এলরাইশ কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক গবেষণা বিভাগের প্রধান ছিলেন। ২০০২–২০১১ সালে লন্ডনে ছিলেন তিনি, ২০১২ সাল থেকে কাতারে বসবাস করছেন। আরওয়ার জন্ম আনুমানিক ২০০৫–২০০৭ সালের মধ্যে।

ওআ/আপ্র/১/১২/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অক্সফোর্ড ইউনিয়নে প্রথমবার ফিলিস্তিনি সভাপতি

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: অক্সফোর্ড ইউনিয়নের নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফিলিস্তিনি নারী আরওয়া এলরাইশ। রোববার (৩০ নভেম্বর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অক্সফোর্ড ইউনিয়ন মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি বিতর্ক সমিতি। এটি ১৮২৩ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ব্রিটেনের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়নগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক স্টুডেন্ট সোসাইটিও।

অক্সফোর্ড ইউনিয়নের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন ফিলিস্তিনি নারী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরওয়া এলরাইশ। তিনি পিপিই (দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ২০২৬ সালের ট্রিনিটি টার্মে এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর তিনটি টার্ম থাকে—মাইকেলমাস (অক্টোবর–ডিসেম্বর), হিলারি (জানুয়ারি–মার্চ) এবং ট্রিনিটি (এপ্রিল–জুন)।

এমন সময়ে আরওয়ার নির্বাচিত হয়েছেন যখন ইউনিয়নটি বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে রয়েছে। আগের সভাপতি জর্জ আবারনইয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, কারণ তিনি সামাজিকমাধ্যমে এক হত্যার ঘটনা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। নিন্দার মুখে জর্জ নিজেই নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন এবং পরে অনাস্থা ভোটে তিনি সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

নির্বাচনের পরে আরওয়া বলেছেন, ‘ইউনিয়নের সদস্যরা আমার ও আমার দলের প্রতি ভরসা রেখেছেন। সবাই ভেদাভেদ ভুলে মিলিতভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। ২০২৬ সালের ট্রিনিটি টার্মে সদস্যদের সেবা করতে আমি মুখিয়ে আছি।’

তবে আরওয়া নিজেও বিতর্কের বাইরে নন। জর্জের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠিক অনাস্থা প্রস্তাবের সময় তিনি সাবেক শিক্ষার্থীদের ‘বর্ণবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়েছেন এবং তাদের ভোটাধিকার সীমিত করার প্রস্তাবও দিয়েছেন।

এছাড়াও আরওয়া নিজের শৈশবের দুঃখের কথা শেয়ার করেছেন। তিনি নিজেকে ‘ফিলিস্তিনি’ দাবি করলেও গাজার কোন এলাকায় তিনি থাকতেন, তা জানা যায়নি। কাতারের দোহা কলেজ থেকে এ-লেভেল সম্পন্ন করেছেন আরওয়া। তার বাবা মোহামেদ এলরাইশ কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক গবেষণা বিভাগের প্রধান ছিলেন। ২০০২–২০১১ সালে লন্ডনে ছিলেন তিনি, ২০১২ সাল থেকে কাতারে বসবাস করছেন। আরওয়ার জন্ম আনুমানিক ২০০৫–২০০৭ সালের মধ্যে।

ওআ/আপ্র/১/১২/২০২৫