চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গায় জিকে সেচ প্রকল্পের অকেজো পাম্প দ্রুত সচল করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক জোট। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার পানিশূন্য জিকে খালের ভেতরে অবস্থান করে এ মানববন্ধন করেন তারা। এতে অংশ নেন সেচ খালের আওতাধীন কয়েক শতাধিক কৃষক। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি থেকে এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, কৃষক জোটের চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস উষা, মহাসিন আলী, কৃষক জোটের ডাউকি ইউনিয়ন সভাপতি মোজাম্মেল হক, কালিদাসপুর ইউনিয়ন সভাপতি হাসানুজ্জামান রিপন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খাঁন, সদস্য মজিরন নেছা, তাপসি খাতুন, তহমিনা বেগম প্রমুখ। এসময় কৃষক জোটের প্রকল্প সমন্নয়কারী মশিউর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা আসমা হেনা চুমকি, রিসোর সমন্নয়কারী দারুল ইসলাম, কৃষক জোটের মাঠ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষকের বোরো মৌসুমের ধান চাষ জিকে খালের পানির ওপর নির্ভরশীল। এ অঞ্চলের কৃষকদের দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। তারা ঠিক মতো পানি পাননা। অতিকষ্টে তাদের ফসল ফলাতে হয়। মৌসুমের শুরুতেই সেচ পানি সংকটে রয়েছে। দীর্ঘদিন সেচ পাম্প নষ্টের অজুহাতে কৃষকদের দুর্ভোগে ফেলে হয়রানির অভিযোগও করেন তারা। এসময় আন্দোলনকারীরা দ্রুত সেচ পাম্প সংস্কার করে পানি দেওয়ার দাবি জানান। উপস্থিত কৃষক আব্দুল ওহাব আলী জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে সেচ খালে পানি সরবরাহ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার জিকের অধীনে সেচের জমি আছে এক লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে বোরো ৩৫ থেকে ৪০ হাজার, আমন ৫০ থেকে ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। ভেড়ামারায় প্রধান পাম্প হাউসের দুটির মধ্যে ২০২২ সাল থেকে একটি নষ্ট। অন্যটি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছিল। ফেব্রুয়ারির শুরুতে চুয়াডাঙ্গায় পানি দিলে চাষিরা বোরো রোপণ করেন। ২১ দিন পর সচল সেচ পাম্পটিও অকেজো হয়ে পড়ে। সেচ পানি না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জনপ্রিয় সংবাদ