ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

অকাল গর্ভপাতের লক্ষণ জেনে নিন

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : গর্ভাবস্থার সময়টা যেকোনো নারীর জন্য কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। গর্ভধারণের পর থেকে নারীর শরীর ও মনে অনেক পরিবর্তন চলে আসে। গর্ভের শিশুটি সুস্থ আছে কি না তা বোঝার জন্য কিছু পরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণ রয়েছে। আবার কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে বোঝা যায় অনাগত শিশুটি ঝুঁকিতে রয়েছে কি না। ঝুঁকির কারণ ও লক্ষণ জানা থাকলে এই সমস্যা প্রতিহত করা সহজ হবে। ঝঃধহভড়ৎফপযরষফৎবহং.ড়ৎম এর মতে, যোনিপথে রক্তপাত বা দাগ, অস্বাভাবিক তরল স্রাব এবং তলপেটে ব্যথা, ক্র্যাম্পিং এবং পিঠে ব্যথা অকাল প্রসবের ইঙ্গিত হতে পারে।
ঝুঁকি থাকলে কীভাবে বুঝবেন?
সিগারেট, অ্যালকোহল এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি বাড়তে পারে, এমনটাই জানাচ্ছে গধুড়পষরহরপ.ড়ৎম। সেইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, মৃগীরোগ, থাইরয়েড থাকলেও বাড়তে পারে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি। তাই আপনার যদি আগে থেকেই এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে সন্তান ধারণের আগে ও পরে সতর্ক থাকুন।
শিশুর নড়চড়া কমে গেলে
বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পার হওয়ার পরে যদি গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কমে যায় কিংবা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে অনাগত শিশু ও মা ঝুঁকিমুক্ত হতে পারে।
হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ
বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে নিয়মিত গর্ভস্থ শিশুর হার্টবিট পরীক্ষা করাতে হবে। ভ্রূণের হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ করে এবং যদি কোনো ঝুঁকি থেকে থাকে তাহলে আপনার চিকিৎসত অবশ্যই সেই বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যকর হার্টবিট প্রতি মিনিটে ১১০ থেকে ১৬০ বিটের মধ্যে থাকে। তাই গর্ভবতী হলে নিয়মিত এই পরীক্ষা করান।
ওজন বৃদ্ধি না হলে
হবু মায়েদের ওজন বেড়ে যাওয়াকে হেলদি প্রেগন্যান্সি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গর্ভাবস্থার ১২-১৫ সপ্তাহের কাছাকাছি ওজন বাড়লে ভালো বলে মনে করেন। এ কারণেই চিকিৎসকেরা নিয়মিত গর্ভবতীর ওজন পরীক্ষা করেন। এসময় হবু মায়ের পেটের আকারও স্ফীত হতে থাকবে। যদি এরকম কিছু না হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অকাল গর্ভপাতের লক্ষণ জেনে নিন

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : গর্ভাবস্থার সময়টা যেকোনো নারীর জন্য কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। গর্ভধারণের পর থেকে নারীর শরীর ও মনে অনেক পরিবর্তন চলে আসে। গর্ভের শিশুটি সুস্থ আছে কি না তা বোঝার জন্য কিছু পরীক্ষা বা পর্যবেক্ষণ রয়েছে। আবার কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে বোঝা যায় অনাগত শিশুটি ঝুঁকিতে রয়েছে কি না। ঝুঁকির কারণ ও লক্ষণ জানা থাকলে এই সমস্যা প্রতিহত করা সহজ হবে। ঝঃধহভড়ৎফপযরষফৎবহং.ড়ৎম এর মতে, যোনিপথে রক্তপাত বা দাগ, অস্বাভাবিক তরল স্রাব এবং তলপেটে ব্যথা, ক্র্যাম্পিং এবং পিঠে ব্যথা অকাল প্রসবের ইঙ্গিত হতে পারে।
ঝুঁকি থাকলে কীভাবে বুঝবেন?
সিগারেট, অ্যালকোহল এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি বাড়তে পারে, এমনটাই জানাচ্ছে গধুড়পষরহরপ.ড়ৎম। সেইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, মৃগীরোগ, থাইরয়েড থাকলেও বাড়তে পারে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি। তাই আপনার যদি আগে থেকেই এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে সন্তান ধারণের আগে ও পরে সতর্ক থাকুন।
শিশুর নড়চড়া কমে গেলে
বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পার হওয়ার পরে যদি গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কমে যায় কিংবা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে অনাগত শিশু ও মা ঝুঁকিমুক্ত হতে পারে।
হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ
বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে নিয়মিত গর্ভস্থ শিশুর হার্টবিট পরীক্ষা করাতে হবে। ভ্রূণের হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ করে এবং যদি কোনো ঝুঁকি থেকে থাকে তাহলে আপনার চিকিৎসত অবশ্যই সেই বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যকর হার্টবিট প্রতি মিনিটে ১১০ থেকে ১৬০ বিটের মধ্যে থাকে। তাই গর্ভবতী হলে নিয়মিত এই পরীক্ষা করান।
ওজন বৃদ্ধি না হলে
হবু মায়েদের ওজন বেড়ে যাওয়াকে হেলদি প্রেগন্যান্সি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গর্ভাবস্থার ১২-১৫ সপ্তাহের কাছাকাছি ওজন বাড়লে ভালো বলে মনে করেন। এ কারণেই চিকিৎসকেরা নিয়মিত গর্ভবতীর ওজন পরীক্ষা করেন। এসময় হবু মায়ের পেটের আকারও স্ফীত হতে থাকবে। যদি এরকম কিছু না হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন।