The Daily Ajker Prottasha

৬৪ জেলায় ৪৯২ বিডিসেট স্থাপন হবে : পলক

0 0
Read Time:4 Minute, 13 Second

নিজস্ব প্রতিবেদক : তরুণদের প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের জন্য দেশের ৬৪টি জেলায় ৪৯২টি ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) স্থাপন করা হবে। এছাড়াও জামালপুরের প্রতিটি উপজেলায় বিডিসেট ও একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হবে। গতকাল রোববার জামালপুরের শারীরিক প্রতিবন্ধী আকলিমা আক্তারকে ল্যাপটপ প্রদানকালে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় আইসিটি বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের কাছে আকলিমার জন্য ল্যাপটপটি তুলে দেন পলক। এ সময় জামালপুর প্রান্ত থেকে অনলাইনে যুক্ত হন আকলিমা আক্তার, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাংবাদিকরা।
ল্যাপটপ প্রদানকালে পলক বলেন, আইসিটি খাতে বিগত ১২ বছরে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণীর প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামীতে ৬৪ জেলায় বিশেষভাবে সক্ষমদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাদের হাতে বিশ্বজয়ের হাতিয়ার ল্যাপটপ দেওয়া হবে। এছাড়াও চার হাজার ফ্রিল্যান্সারদেরকে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যেসব শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণ-তরুণীরা প্রযু্ক্িতনির্ভর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সে স্বপ্নপূরণের জন্য আইসিটি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার সবসময়ই যেকোন প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকবে। শারীরিক প্রতিবন্ধীরা অনেকেই প্রতিভাবান। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তাদের প্রতিভার সঠিক বিকাশ ঘটাতে এবং অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতা আনতে আমাদের সবার কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ সময় মির্জা আজম বলেন, জামালপুর পৌরমেয়র আকলিমা আক্তারকে চাকরি দিয়ে যে সহযোগিতা করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের এ উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী আকলিমার ল্যাপটপটি জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের হাতে তুলে দেন।
জামালপুর পৌরসভার কম্পুপুর গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেনের পাঁচ ছেলে মেয়ের মধ্যে আকলিমা দ্বিতীয়। জন্মের ছয় মাস পর টাইফয়েডে স্বাভাবিক হাঁটা চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন জামালপুরের আকলিমা। কিন্তু প্রতিবন্ধকতার কাছে তিনি হার মানেনি। মায়ের কোলে চড়ে আর হামাগুড়ি দিয়ে ক্লাস করে অর্জন করেছেন মাস্টার্স ডিগ্রি। পড়ালেখা শেষে চাকরির জন্য যখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তখন আকলিমার সাহায্যে এগিয়ে আসেন জামালপুর পৌর মেয়র এবং পৌরসভার কর আদায় শাখায় কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Average Rating

5 Star
0%
4 Star
0%
3 Star
0%
2 Star
0%
1 Star
0%

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *