ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫০ বছরে যেভাবে বিশ্ব বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটিয়েছে বারকোড

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ৫০ বছর আগে এই গ্রীষ্মেই আধুনিক ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড (ইউপিসি) বারকোডের মুখ দেখে বিশ্ব। সেই সময় হয়তো কারো ধারণা ছিল না একদিন বিশ্ব বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটাবে এই বারকোড।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ট্রয় শহরের এক মুদির দোকানে ১০ গ্রামের চিউয়িংগামের প্যাকেটে প্রথমবারের মতো বারকোড স্ক্যান করা হয়েছিল।
তথ্য সংগ্রহের একটি ভিজুয়াল পদ্ধতি বারকোড, যেটি মেশিনের মাধ্যমে কাজ করে। এটি সাধারণত এর ধারণকারী জিনিস বা পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেয়। গতানুগতিক কিছু বারকোড সমান্তরাল লাইনের মতো দেখতে, যার প্রস্থ ও মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গার তারতম্য ভিন্ন ভিন্ন তথ্যের জানান দেয়।
প্রথমদিকে এটি রৈখিক বা একমাত্রিক ব্যবস্থা হলেও পরবর্তীতে আয়তক্ষেত্র, বিন্দু, ষড়ভুজসহ অন্যান্য জ্যামিতিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে বারকোড ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয়। শুরুতে ‘বারকোড স্ক্যানার’ নামে বিশেষ অপটিকাল স্ক্যানার দিয়ে বারকোড স্ক্যান করা হত। এখন এমন কিছু সফটওয়ার তৈরি হয়েছে যা স্মার্টফোনের ক্যামেরায় তোলা ছবি পড়তে পারে। বেশিরভাগ প্রযুক্তি ৫০ বছরে যৌবন হারালেও বারকোড শক্ত অবস্থানে আছে এখনও। গোটা বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় একশ কোটিরও বেশি বারকোড স্ক্যান করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে নোরিজ। বিশেষ করে কিউআর কোডের মতো বারকোডের নতুন ধরনের প্রতীক আসার কারণে এই প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা দিন দিন আরও বেড়েছে।
‘ক্লেমসন ইউনিভার্সিটি’-এর মিডিয়া স্কলার ও গবেষক স্টোনি ব্রুক বলেছেন, আমার এ গবেষণাটি যদি অদ্ভুত দিকে মোড় না নিত তবে বেশিরভাগ লোকের মতো আমিও বারকোড নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতাম না। ষড়যন্ত্রকারীরা বারকোডের উপর একসময় বিরক্ত হলেও এটি বিশ্ব বাণিজ্যে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
মুদি দোকানের শিল্প উদ্ভাবন ছিল বারকোড: ১৯৭৪ সালের ২৬ জুন চিউয়িংগামের একটি প্যাকেটে প্রথম যে কোডটি স্ক্যান করা হয়েছিল তা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দোকানে স্ক্যান করা কোটি কোটি বারকোডের মতোই। ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে মুদি দোকানে শ্রমের মূল্য দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। একইসঙ্গে ইনভেন্টরি অর্থাৎ বিভিন্ন পণ্যকে শ্রেণীবদ্ধ করা বা নম্বর দেওয়ার প্রক্রিয়াটিও ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছিল। সেই সময় ওই মুদি দোকানের মালিক আশা করেছিলেন, বারকোডের বিষয়টি তাদের এই উভয় সংকটের সমাধান দিতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণাই ঠিক ছিল। ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে ‘মুদি-শিল্প’টি একটি কমিটি তৈরি করে। আর এই কমিটিই পরবর্তীতে ইউপিসি ডেটা স্ট্যান্ডার্ড বা তথ্যের আদর্শমান তৈরি করে ও সেই সময় অর্ধেক ডজন নকশা থেকে আইবিএম বারকোড প্রতীকটি বেছে নেয়। এখনও ব্যবহার হয়ে চলেছে সেই ডেটা স্ট্যান্ডার্ড ও আইবিএম বারকোড প্রতীক।
সেই সময় প্রথম ইউপিসি বারকোড তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে বারকোডের গুরুত্ব কয়েক বছরের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সফল ডিজিটাল ডেটা অবকাঠামোর একটি হয়ে উঠেছে বারকোড।
‘শেল্ফ-স্পেস’ বিপ্লব তৈরি করে বারকোড: বারকোড কেবল লোকদের কেনাকাটার ধরনই পাল্টে দেয়নি, বরং বিভিন্ন পণ্যকে ‘মেশিনের লেখা পাঠযোগ্য’ করেও তুলেছিল। পাশাপাশি এগুলো পণ্যকে শ্রেণীবদ্ধ বা নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় পরিসরে উন্নতিও করতে পেরেছে। যার মানে দাঁড়ায়, বেশি বিক্রি হওয়া বিভিন্ন পণ্যের তথ্য জানা গেলে তা দ্রুত আবার শেল্ফে যোগ করাযেতে পারে। এ ক্ষেত্রে যে কোনও আলাদা পণ্যের জন্য কম জায়গা বা ‘শেল্ফ-স্পেস’-এর প্রয়োজন পড়ে।
যেমনটি বারকোড বিশেষজ্ঞ স্টিফেন এ ব্রাউন বলেছেন, নতুন পণ্যের দ্রুত প্রসারের জন্য ‘শেল্ফ-স্পেস’-এর প্রয়োজনীয়তা কমেছে। তাই আপনার দোকানে ১৫ ধরনের টুথপেস্ট বিক্রির কৃতিত্ব আসলে বারকোডের। বর্তমানে বিভিন্ন সুপারস্টোর ও বড় বড় সব মুদি দোকান সম্ভবত বারকোডের ব্যবহার না করে থাকতে পারবে না। এমআইটি’র অধ্যাপক সঞ্জয় শর্মা বলেছেন, “যদি বারকোড উদ্ভাবন না হত তবে বর্তমানে বাণিজ্যের পুরো চেহারা ও কাঠামো একেবারে অন্যরকম হত।”
অন্যান্য শিল্পে বারকোডের প্রসার: আধুনিক বারকোড মুদি-শিল্পে তৈরি হলেও বেশিদিন এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ১৯৮০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইউপিসি সিস্টেমের সাফল্য অন্যান্য শিল্পকেও বারকোড গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছে। যেমন– তিন বছরের ব্যবধানে ওয়ালমার্ট ও মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে শুরু করে মার্কিন স্বচালিত শিল্প সকলেই নিজেদের সরবরাহ চেইনের বিভিন্ন বস্তু ট্র্যাক করতে বারকোডের ব্যবহার শুরু করে।
পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি শিপিং কোম্পানিও নিজেদের তথ্য শনাক্ত করতে বারকোড ব্যবহার করে। এমনকি আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানি ফেডএক্স ও ইউপিএস’ও তাদের নিজস্ব বারকোড তৈরি করেছে। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে বিভিন্ন বারকোড ‘বিশ্বের নতুন পথের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ হয়ে ওঠে। দ্রুত বিশ্বায়ন ঘটাতে বিভিন্ন ধরনের বারকোড এমনভাবে সহায়তা করেছিল, যেখানে বারকোডের অস্তিত্ব না থাকলে তা কল্পনা করাও কঠিন, বলেছেন সমাজবিজ্ঞানী নাইজেল থ্রিফ্ট।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ

৫০ বছরে যেভাবে বিশ্ব বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটিয়েছে বারকোড

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : ৫০ বছর আগে এই গ্রীষ্মেই আধুনিক ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড (ইউপিসি) বারকোডের মুখ দেখে বিশ্ব। সেই সময় হয়তো কারো ধারণা ছিল না একদিন বিশ্ব বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটাবে এই বারকোড।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ট্রয় শহরের এক মুদির দোকানে ১০ গ্রামের চিউয়িংগামের প্যাকেটে প্রথমবারের মতো বারকোড স্ক্যান করা হয়েছিল।
তথ্য সংগ্রহের একটি ভিজুয়াল পদ্ধতি বারকোড, যেটি মেশিনের মাধ্যমে কাজ করে। এটি সাধারণত এর ধারণকারী জিনিস বা পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেয়। গতানুগতিক কিছু বারকোড সমান্তরাল লাইনের মতো দেখতে, যার প্রস্থ ও মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গার তারতম্য ভিন্ন ভিন্ন তথ্যের জানান দেয়।
প্রথমদিকে এটি রৈখিক বা একমাত্রিক ব্যবস্থা হলেও পরবর্তীতে আয়তক্ষেত্র, বিন্দু, ষড়ভুজসহ অন্যান্য জ্যামিতিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে বারকোড ব্যবস্থার প্রচলন শুরু হয়। শুরুতে ‘বারকোড স্ক্যানার’ নামে বিশেষ অপটিকাল স্ক্যানার দিয়ে বারকোড স্ক্যান করা হত। এখন এমন কিছু সফটওয়ার তৈরি হয়েছে যা স্মার্টফোনের ক্যামেরায় তোলা ছবি পড়তে পারে। বেশিরভাগ প্রযুক্তি ৫০ বছরে যৌবন হারালেও বারকোড শক্ত অবস্থানে আছে এখনও। গোটা বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় একশ কোটিরও বেশি বারকোড স্ক্যান করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে নোরিজ। বিশেষ করে কিউআর কোডের মতো বারকোডের নতুন ধরনের প্রতীক আসার কারণে এই প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা দিন দিন আরও বেড়েছে।
‘ক্লেমসন ইউনিভার্সিটি’-এর মিডিয়া স্কলার ও গবেষক স্টোনি ব্রুক বলেছেন, আমার এ গবেষণাটি যদি অদ্ভুত দিকে মোড় না নিত তবে বেশিরভাগ লোকের মতো আমিও বারকোড নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবতাম না। ষড়যন্ত্রকারীরা বারকোডের উপর একসময় বিরক্ত হলেও এটি বিশ্ব বাণিজ্যে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
মুদি দোকানের শিল্প উদ্ভাবন ছিল বারকোড: ১৯৭৪ সালের ২৬ জুন চিউয়িংগামের একটি প্যাকেটে প্রথম যে কোডটি স্ক্যান করা হয়েছিল তা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দোকানে স্ক্যান করা কোটি কোটি বারকোডের মতোই। ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে মুদি দোকানে শ্রমের মূল্য দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। একইসঙ্গে ইনভেন্টরি অর্থাৎ বিভিন্ন পণ্যকে শ্রেণীবদ্ধ করা বা নম্বর দেওয়ার প্রক্রিয়াটিও ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছিল। সেই সময় ওই মুদি দোকানের মালিক আশা করেছিলেন, বারকোডের বিষয়টি তাদের এই উভয় সংকটের সমাধান দিতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণাই ঠিক ছিল। ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে ‘মুদি-শিল্প’টি একটি কমিটি তৈরি করে। আর এই কমিটিই পরবর্তীতে ইউপিসি ডেটা স্ট্যান্ডার্ড বা তথ্যের আদর্শমান তৈরি করে ও সেই সময় অর্ধেক ডজন নকশা থেকে আইবিএম বারকোড প্রতীকটি বেছে নেয়। এখনও ব্যবহার হয়ে চলেছে সেই ডেটা স্ট্যান্ডার্ড ও আইবিএম বারকোড প্রতীক।
সেই সময় প্রথম ইউপিসি বারকোড তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে বারকোডের গুরুত্ব কয়েক বছরের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সফল ডিজিটাল ডেটা অবকাঠামোর একটি হয়ে উঠেছে বারকোড।
‘শেল্ফ-স্পেস’ বিপ্লব তৈরি করে বারকোড: বারকোড কেবল লোকদের কেনাকাটার ধরনই পাল্টে দেয়নি, বরং বিভিন্ন পণ্যকে ‘মেশিনের লেখা পাঠযোগ্য’ করেও তুলেছিল। পাশাপাশি এগুলো পণ্যকে শ্রেণীবদ্ধ বা নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় পরিসরে উন্নতিও করতে পেরেছে। যার মানে দাঁড়ায়, বেশি বিক্রি হওয়া বিভিন্ন পণ্যের তথ্য জানা গেলে তা দ্রুত আবার শেল্ফে যোগ করাযেতে পারে। এ ক্ষেত্রে যে কোনও আলাদা পণ্যের জন্য কম জায়গা বা ‘শেল্ফ-স্পেস’-এর প্রয়োজন পড়ে।
যেমনটি বারকোড বিশেষজ্ঞ স্টিফেন এ ব্রাউন বলেছেন, নতুন পণ্যের দ্রুত প্রসারের জন্য ‘শেল্ফ-স্পেস’-এর প্রয়োজনীয়তা কমেছে। তাই আপনার দোকানে ১৫ ধরনের টুথপেস্ট বিক্রির কৃতিত্ব আসলে বারকোডের। বর্তমানে বিভিন্ন সুপারস্টোর ও বড় বড় সব মুদি দোকান সম্ভবত বারকোডের ব্যবহার না করে থাকতে পারবে না। এমআইটি’র অধ্যাপক সঞ্জয় শর্মা বলেছেন, “যদি বারকোড উদ্ভাবন না হত তবে বর্তমানে বাণিজ্যের পুরো চেহারা ও কাঠামো একেবারে অন্যরকম হত।”
অন্যান্য শিল্পে বারকোডের প্রসার: আধুনিক বারকোড মুদি-শিল্পে তৈরি হলেও বেশিদিন এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ১৯৮০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইউপিসি সিস্টেমের সাফল্য অন্যান্য শিল্পকেও বারকোড গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছে। যেমন– তিন বছরের ব্যবধানে ওয়ালমার্ট ও মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে শুরু করে মার্কিন স্বচালিত শিল্প সকলেই নিজেদের সরবরাহ চেইনের বিভিন্ন বস্তু ট্র্যাক করতে বারকোডের ব্যবহার শুরু করে।
পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি শিপিং কোম্পানিও নিজেদের তথ্য শনাক্ত করতে বারকোড ব্যবহার করে। এমনকি আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানি ফেডএক্স ও ইউপিএস’ও তাদের নিজস্ব বারকোড তৈরি করেছে। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে বিভিন্ন বারকোড ‘বিশ্বের নতুন পথের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ হয়ে ওঠে। দ্রুত বিশ্বায়ন ঘটাতে বিভিন্ন ধরনের বারকোড এমনভাবে সহায়তা করেছিল, যেখানে বারকোডের অস্তিত্ব না থাকলে তা কল্পনা করাও কঠিন, বলেছেন সমাজবিজ্ঞানী নাইজেল থ্রিফ্ট।