ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৩৬ জেলায় নেই নতুন রোগী, টানা দ্বিতীয় দিন মৃত্যুহীন

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার মধ্যে গত একদিনে দেশের ৩৬টি জেলায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি; টানা দ্বিতীয় দিন দেশে কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ১২৪ জন। গত এক দিনে দেশের কোনো জেলা থেকে করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মহামারীতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১১২ জনে রয়েছে। বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী ধরা পড়ার পর প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছিল ১০ দিন পর ১৮ মার্চ। মহামারী শুরুর ওই পর্যায়ে দৈনিক মৃত্যু ০, ১, ৩ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। ১৫ দিন পর ৩ এপ্রিল কোনো মৃত্যুর খবর ছিল না। তারপর মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়তে থাকে। মৃত্যুহীন আরেকটি দিন আসে ২০ মাস পর, ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এর পরের ‘শূন্য’ মৃত্যুর খবর আসে ৯ ডিসেম্বর। ওই মাসেই বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। শনাক্ত রোগীর সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে গ্রাফ।
১৪ সপ্তাহ পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি। বুধবারও একই স্বস্তির খবর এল। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম পর পর দুটি মৃত্যুহীন দিন পেল বাংলাদেশ। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার নেমে এসেছে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা ওমিক্রনের প্রভাবে রেকর্ড ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছিল গত জানুয়ারির শেষে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন এক হাজার ১৯২ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১১৮ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬০ লাখ ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৬ কোটি ১৮ লাখের বেশি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৩৬ জেলায় নেই নতুন রোগী, টানা দ্বিতীয় দিন মৃত্যুহীন

আপডেট সময় : ০২:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার মধ্যে গত একদিনে দেশের ৩৬টি জেলায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি; টানা দ্বিতীয় দিন দেশে কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ১২৪ জন। গত এক দিনে দেশের কোনো জেলা থেকে করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মহামারীতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১১২ জনে রয়েছে। বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী ধরা পড়ার পর প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছিল ১০ দিন পর ১৮ মার্চ। মহামারী শুরুর ওই পর্যায়ে দৈনিক মৃত্যু ০, ১, ৩ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। ১৫ দিন পর ৩ এপ্রিল কোনো মৃত্যুর খবর ছিল না। তারপর মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়তে থাকে। মৃত্যুহীন আরেকটি দিন আসে ২০ মাস পর, ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এর পরের ‘শূন্য’ মৃত্যুর খবর আসে ৯ ডিসেম্বর। ওই মাসেই বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। শনাক্ত রোগীর সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে গ্রাফ।
১৪ সপ্তাহ পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি। বুধবারও একই স্বস্তির খবর এল। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম পর পর দুটি মৃত্যুহীন দিন পেল বাংলাদেশ। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার নেমে এসেছে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা ওমিক্রনের প্রভাবে রেকর্ড ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছিল গত জানুয়ারির শেষে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন এক হাজার ১৯২ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১১৮ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬০ লাখ ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৬ কোটি ১৮ লাখের বেশি।